রিকশা এমদাদ বাহিনীর তাণ্ডবে অতিষ্ঠ বাড্ডাবাসী, থানায় মামলা

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাড্ডায় রিকশা সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজি ও অবৈধ জমি বাণিজ্যের গডফাদার হয়ে উঠেছেন বাড্ডা সাবেক আওয়ামী লীগের সভাপতি এমদাদুল হক এমদাদ ওরফে রিকশা এমদাদ। তার অন্যতম দুজন সহযোগী বাঁধন ও তার ছোট ভাই পলক। এলাকায় বাঁধন ও পালকের ডান হাত হিসেবে কাজ করে মোঃ সাইফুজ্জামান রনি ও মোঃ পাপ্পু। তারা এলাকায় সন্ত্রাসী রাজত্ব সৃষ্টি করেছে সহযোগিতা করছে চাঁদাবাজিতে। আর চাঁদা আদায়ের দায়িত্বে আছে এমদাদের ভাগিনা হান্নান, বাপ্পী। এরাই মূলত বাড্ডা এলাকায় গড়ে তুলেছেন বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী। এছাড়াও মাদক, ছিনতাই, চুরিসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে এলাকার পরিবেশ নাভিশ্বাস করে রেখেছেন তারা। আর সাধারণ মানুষ বাধা দিলে নির্যাতনসহ প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে তারা।
মেরুল বাড্ডা, কবরস্থান রোড, ডিআইটি প্রোজেক্ট ও ডি আইটি সড়ক হয়ে পোস্ট অফিস গলি থেকে পাঁচতলা বাজার পর্যন্ত আধিপত্য বিস্তার করে একচেটিয়া চাঁদাবাজি করছে এমদদাদ। জানা যায় আর এই বাহিনীর কাজই হলো এলাকায় অটো রিকশা থেকে চাঁদাবাজি করা। বাড্ডা এলাকায় চলমান সকল অটো রিকশা থেকে সাপ্তাহিক ২৫০ বা মাসিক ১ হাজার টাকা করে চাঁদা দিতে হয় এই বাহিনীকে। আর এভাবেই শুধুমাত্র চাঁদা আদায় করে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। এছাড়াও নতুন কোনো অটোরিকশা সড়কে নামলে মালিককে গুনতে হয় ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা। কোনো রিকশা গ্যারেজ মালিক চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে হান্নান, বাপ্পী, পলক ও বাঁধন গ্রুপ তাদের নিজস্ব টর্চার সেলে নির্যাতন করার অভিযোগ রয়েছে। চাঁদাবাজির অভিযোগে পলক ও বাঁধন গ্রুপের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তাছাড়া পলক বর্তমানে হত্যা মামলার আসামি। তারা এসবের তোয়াক্কা না করে আবারো এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি তনন্ত সাপেক্ষে পলক ও বাঁধনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের প্রমাণ পায় বাড্ডা থানা পুলিশ। বাড্ডা থানা এলাকার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, নির্মাণাধীন ভবনসহ স্থাপনা তৈরির সময় মোটা অঙ্কের চাঁদাবাজির । সরাসরি চাঁদা দাবি না করতে পারলে অন্য কৌশল অবলম্বন করে এই চক্র। এর অংশ হিসেবে নির্মাণাধীন ভবনের মালিকদেরকে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী জোরপূর্বক ভয়ভীতির মাধ্যমে সরবরাহ করে বাজার মূল্যের অতিরিক্ত লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া। প্রায় সময় দোকানপাট ভাঙচুরে করে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করে।
অন্যদিকে আলিফ নগরে এমদাদুল হক এমদাদের রয়েছে একাধিক প্লট। যে তিনি গড়েছেন অবৈধ জমি বাণিজ্যে আর চাঁদাবাজি সিন্ডিকেটের টাকায়। ওইসব প্লটের দেখাশুনার দায়িত্বে আছে মো. মিজান ও জসীম নামের দুই ক্যাডার। মাটিকাটা থেকে শুরু করে সব বিষয় নজর দারিতে রাখেন এই ক্যাডার বাহিনীর সদস্যরা। কোনো নতুন ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হলে ইটা, বালু, রড এই বাহিনীর হাতে জিম্মি হয়ে পড়ে। জসীম এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু ও অবৈধ মাটিকারবারি। এসবের প্রেক্ষিতে একাধিক ভুক্তভোগী তাদের অভিযোগ জানাতে ভয় পাচ্ছে।
এ ব্যাপারে এমদাদুল হক এমদাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদককে এড়িয়ে যান। পরে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

জাল স্ট্যাম্প ও জাল স্ট্যাম্প তৈরির সরঞ্জামাদিসহ ০৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

মোঃ হাসানঃ

রাজধানীর রূপনগর ও মিরপুর এলাকায় প্রায় ৬০ কোটি টাকা সমমূল্যের জাল স্ট্যাম্প ও জাল স্ট্যাম্প তৈরির সরঞ্জামাদিসহ ০৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল ৩০ অক্টোবর হতে আজ ৩১ অক্টোবর ২০২২ ইং তারিখে সকাল পর্যন্ত র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল রাজধানী ঢাকার রূপনগর থানাধীন ইস্টার্ন হাউজিং ও মিরপুর-০২ এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ৬০,০০,০০,০০০/- (ষাট কোটি) টাকা সমমূল্যের জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প, জাল বাংলাদেশ কোট ফি, নন জুডিশিয়াল জাল স্ট্যাম্প ও সেগুলো তৈরির প্রায় ২০ লক্ষ টাকার সরঞ্জামাদিসহ উক্ত কারখানার মালিকসহ ০৩ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের নাম ১। মোঃ মোতাহার মিয়া (২৬), ২। মোঃ মিকাইল মিয়া (২০) ও ৩। মোছাঃ আম্বিয়া পারভেজ লুপা (২০) বলে জানা যায়। এসময় তাদের নিকট থেকে ৫০০ টাকার জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প ২৫৫৫০০ পিস, ২০০ টাকার জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প ১৮০০০০ পিস, ১০০ টাকার জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প ৩৬৯০০০০ পিস, ৫০ টাকার জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প ৪১৮০০০ পিস, ১০ টাকার জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প ২০৪০০০০ পিস, ১০ টাকার জাল ডাক টিকেট ২২৬০০০ পিস, ১০০ টাকার ননজুডিসিয়াল জাল স্ট্যাম্প ১৭০০০০০ পিস, ২০ টাকার জাল কোর্ট ফি ৩৬৮০০০ পিস, ১০ টাকার জাল কোর্ট ফি ৮৮০০ পিস, ০২টি ননজুডিসিয়াল জাল স্ট্যাম্প/রেভিনিউ স্ট্যাম্প তৈরীর মেশিন, ০১টি সিপিইউ, ০১টি মনিটর, ০১টি প্রিন্টার, ০১টি কী-বোর্ড, ০১টি মাউস, ০৩টি পাওয়ার ক্যাবল, ০২টি ডাটা ক্যাবল, ০২টি জাল স্ট্যাম্প বিক্রি সংক্রান্ত রেজিস্ট্রার, ০১টি কেমিক্যাল সহ জারিকেন, ০৯টি বিভিন্ন প্রকার জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প তৈরীর জন্য টিনের ডাইচ, ২০০০ পাতা জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প তৈরীর কাগজ, ০৪টি ননজুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে জলছাপ দেওয়ার ডাইচ এবং জালকৃত বিভিন্ন মানের রেভিনিউ স্ট্যাম্প বিক্রির নগদ- ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃতরা জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প, জাল বাংলাদেশ কোট ফি ও নন জুডিশিয়াল জাল স্ট্যাম্প প্রস্তুত ও সরবরাহকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা প্রায় ছয় মাসের অধিক সময় ধরে বাংলাদেশ সরকারের সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেসের মুদ্রনযোগ্য বিভিন্ন সরকারী রেভিনিউ স্ট্যাম্প জালিয়াতির মাধ্যমে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প প্রস্তুত করে দেশের বিভিন্ন অসাধু রেভিনিউ স্ট্যাম্প, বাংলাদেশ কোট ফি ও নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের নিকট সরবরাহ করে আসছিল বলে জানা যায়।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় নিয়মিত মামলা রুজুর কার্যক্রম প্রক্রিয়ধীন রয়েছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আমদানি করলে দিতে হবে না ভ্যাট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎতে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব ফকরুল বাংলাদেশে ইতিহাস গড়ল উইন্ডিজ দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন রাজউক ইমারত পরিদর্শক শামীম রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে কে জিতবে, তা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচেছ ট্রাম্প নাসার চন্দ্র মিশনে স্পেসএক্স জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে নতুন করে দেড় হাজারের বেশি আবেদন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি