কুমিল্লায় মাধবপুর কলেজপাড়া যুবসমাজের উদ্যোগে মাদক বিরোধী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা জেলার ব্রাক্ষনপাড়া উপজেলার মাধবপুর গ্রামে কলেজপাড়া যুবসমাজের উদ্যোগে মাদক বিরোধী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাক্ষনপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স, ম আজহারুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফরিদ উদ্দীন,বেগম দিলরোজ ওবায়দুল ট্যকনিক্যাল ইন্সটিটিউটের বাইস প্রিন্সিপাল মোঃ আতিকুর রহমান,ও মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাবু রতন চন্দ্র শীল।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডাঃ আবু হাসনাত মোহাম্মদ মহিউদ্দীন,
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্রাক্ষনপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স, ম আজহারুল ইসলাম বলেন এই সমাজকে মাদক মুক্ত করতে যুবসমাজের আজকের এই উদ্যোগে আমি স্বাগত জানাচ্ছি পাশাপাশি প্রশাসনিক যে কোন সহযোগীতা প্রয়োজন আমি তা করব ইনসাআল্লাহ।প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে কোন ভুমিকা নিতে আমরা প্রস্তত আছি।
উক্ত আলোচনা সভার আহব্যায়ক তাজুল ইসলাম বাবু বলেন মরহুম রফিকুল ইসলামের স্বপ্ন ছিল নজর প্রভাতী সাহিত্য সংগঠনের মাধ্যমে মাধবপুর যুবসমাজকে মাদকের করাল গ্রাস থেকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা। এই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার লক্ষেই আমাদের এই আয়োজন । আমরা চাই এই যুবসমাজকে সু শিক্ষায় শিক্ষিত করে মাদক থেকে মুক্ত করা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্দা আলহাজ্ব আব্দুর রশীদ, মোঃ ফরিদ, মোঃ শহিদ,মোঃ মাহাবুব,শেখ সোহেল,মঃ জাহাঙ্গীর আলম,মো; ফারুক,অপু ভুইয়া,জাহাঙ্গীর ভুইয়া,আবদুল্লা,মতিয়র সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবরগ ও মুরব্বীগন উপস্থীত ছিলেন।

কারাগারে ১০ টাকার ওষুধ ১০০ তে সাপ্লাই দিতেন

স্টাফ রিপোর্টার:

কুমিল্লার  আবু জাহের আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ঠিকাদারি করে দুর্নীতির মাধ্যমে কামিয়েছেন হাজার কোটি টাকা। কুমিল্লা জেলখানায় ঠিকাদারি কাজ পেয়ে করেছেন ব্যাপক দুর্নীতি। জেলখানার ভেতরে ১০ টাকার ওষুধ ১০০ টাকায় সাপ্লাই দিয়ে কামিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। কুমিল্লা শহরে নিজের নামে ও স্ত্রীর নামে রয়েছে ১০ তলা বাড়ি। যার বর্তমান মূল্য ২০ কোটি টাকা। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান থেকে ৭ জানুয়ারি হাসিনার তথাকথিত নির্বাচনে

কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাক্ষণপাড়া) আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য আবু জাহের ও তার ভাতিজা আবু তৈয়ব অপি গড়ে তুলেছেন অঢেল সম্পদ। ছেলে, মেয়ে, স্ত্রী, পুত্রের নামেও রয়েছে অনেক সম্পদ। শেখ হাসিনার পতনের পর তারা গা ঢাকা দিয়েছেন।
জাহেরের ছেলের নামে রয়েছে দেড় কোটি টাকা মূল্যের বিলাসবহুল গাড়ি, স্ত্রীর নামে রয়েছে ১ কোটি টাকার মূল্যে বিলাসবহুল গাড়ি, নিজের নামে ও স্ত্রীর নামে কসবা নয়নপুর রোডে মল্লিকা সিএনজি ও ফিলিং স্টেশন ১২০ শতক জায়গার ওপর গড়ে তুলেছেন, যার আনুমানিক মূল্য ২০০ কোটি টাকা।

প্রথমে এই এমপি রাজনীতি না করলেও আপন বড় ভাই ছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জেলার নেতা। তখন কুমিল্লা-৫ আসনের এমপি ছিলেন মরহুম আবদুল মতিন খসরু। যিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। তখনো আবু জাহের রাজনীতি করেননি। আবু তাহের উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালীন মারা যান। ভাইয়ের মৃত্যুর পর হঠাৎ করে রাজনীতিতে আসেন আবু জাহের। প্রথমে তিনি হন উপজেলা চেয়ারম্যান। পরে আব্দুল মতিন খসরুর মৃত্যুর পর তার জায়গা খালি হয়। তখন তিনি কুমিল্লা-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জাতীয় সংসদ-সদস্য নির্বাচনে কেটলি মার্কা নির্বাচন করে এমপি হন। অভিযোগ রয়েছে, এ সময় অনিয়ম করে এমপি হন আবু জাহের। আর এসব কিছু হয়েছে ভাতিজা কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু তৈয়ব অপির মাধ্যমে। তার এমপি হওয়ার পেছনে কাজ করেছেন কুমিল্লার সংসদ-সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার। তার বিরুদ্ধে কথা বলতে এলাকায় কেউ সাহস পেত না।
অপির সখ্য ছিল সাবেক রেলপথমন্ত্রী মজিবুল হক এমপি ও সাবেক অর্থমন্ত্রী লোটাস কামালের সঙ্গে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুই মন্ত্রীর হাত ধরে আবু তৈয়ব অপি অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। গড়ে তুলেছেন নিজের নামে ও স্ত্রী, ভাইয়ের নামে সম্পদের পাহাড়। কুমিল্লা রয়েছে বাগিচাগাঁও এলাকায় ২০ শতক জায়গার ওপর ১০ তলা বাড়ি। নিজের নামে ও স্ত্রীর নামে বিলাসবহুল গাড়ি। চাচা আবু জাহের এমপি হওয়ার পর নিজে হয়ে যান উপজেলা চেয়ারম্যান।
এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে বাগিচাগাঁও বাসায় গেলে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। বাড়ির কেয়ারটেকার বলেন, সরকার পতনের পর থেকে আবু জাহের এমপি মহোদয় ও আবু তৈয়ব অপি আর বাসায় আসেননি। বাসায় তালা রয়েছে। তবে ১০ তলা বাড়ির ভাড়াটিয়া আছেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম