মাদকের শেল্টারদাতা মামুন আবারো শাহজাহান পুর থানায়

স্টাফ রিপোর্টার:

২০১২ সালে ঢাকা জেলার দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ঐতিহ্যবাহী মতিঝিল থানাকে ভেঙ্গে ৩ ভাগে বিভক্ত করে যথাক্রমে মতিঝিল, পল্টন ও শাহজাহানপুর থানা প্রতিষ্ঠিত হয় (ডিএমপিতে)। এ থানার সবচেয়ে পুরনো ও সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে চাকুরে পুলিশ অফিসার যে কিনা সদ্য বদলি হয়ে খিলগাঁও থানায় গিয়েছেন তার বিরুদ্ধে শাহজাহানপুর এলাকাবাসীর অভিযোগের শেষ নাই।
কিন্তু কয়েকদিন না পেরেতোই আবারো ফিরে এসেছেন মাহজাহানপুর থানায়।

রাজধানী ঢাকার শাহজাহানপুর থানা। ১.৭৭ বর্গকিলোমিটার নিয়ে গঠিত, এ থানার জনসংখ্যা ২,৭৪,৩২৪ জন (প্রায়)। থানাটির অন্তর্গত উত্তর ও দক্ষিণ শাহজাহানপুর, পশ্চিম শান্তিবাগ, শান্তিবাগ, মোমেনবাগ, গুলবাগ, বকশীবাগ, শহীদবাগ, রাজারবাগ (আংশিক), মালিবাগ প্রভৃতি এলাকাগুলি। এছাড়াও শাহজাহানপুর থানা এলাকাটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১১ ও ১২ নং এই দুটি ওয়ার্ডের মধ্যে সীমাবদ্ধ (প্রায়)।

অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, এই ঢাকা শাহজাহানপুর থানা পুলিশের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য চরিত্রের নাম এএস‌আই মামুন। উল্লেখ্য এই এএস‌আই মামুন ততোদিন ধরেই এই শাহজাহানপুর থানাতেই এএস‌আই পোষ্টিং-এ কর্মরত ছিলেন, যতোদিন থানাটির বয়স‌, -এটা তার একটা বিশেষ রহস্য! সরেজমিনের তথ্যমতে, প্রায় ১১ বছর বয়সী শাহজাহানপুর থানার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ও এলাকাবাসীর কাছে সবচেয়ে অভিশপ্ত পুলিশের নাম এএস‌আই মামুন

এলাকাবাসীর দাবি, এএস‌আই মামুন মানেই রিকভারি না পাওয়ার পরেও ধরে নিয়ে গিয়ে রিকভারি দিয়ে মামলা, মামুন মানেই দুই পিস ইয়াবা উদ্ধার বাদ বিশ/ত্রিশ পিস ইয়াবাসহ মামলা, মামুন মানেই এক স্টিক গাঁজাসহ ধরে পাঁচ হাজার জরিমানা আদায়, নয়তো থানায় নিয়ে গিয়ে ইয়াবার মামলা, অধুনায় মামুন মানেই ছিলো, ‘পেয়েছে গাঁজা দিয়েছে হেরোইনের মামলা, মামুন মানেই ধরেছে ইয়াবাসহ মামলা হয়েছে হেরোইনের’। গ্ৰেফতারকৃতদের ও প্রত্যক্ষদর্শীসহ যারা আসামীকে চেনেন তাদের সবার প্রশ্ন, “মামুন এতো ইয়াবা, হেরোইন পায় কোথা থেকে!?

শাহজাহানপুর থানায় সবচেয়ে দীর্ঘ দিন চাকরি করা এই এএস‌আই শাহজাহানপুর থানার প্রতিটি অলিগলি, বাড়িঘরের খবর জানেন বলে এলাকার লোকজন ও তার ফর্মারা বলেন। তাদের মতে, শাহজাহানপুর থানার ওসি সাহেবেরাও মামুনকে তোয়াক্কা করে চলেন, কারণ মামুন এই থানায় দীর্ঘদিন চাকরির ক্ষেত্রে সবচেয়ে সিনিয়র। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নতুন নতুন এ‌এস‌আই ও এস‌আইরা মামুনের নাম শুনলেও যেনো চমকে উঠে, ভুতের ভয় পেলে যেমন চমকায়!
সে খিলগাঁও থেকে শাহজাহানপুর থানায় যোগদান করেই মালিবাগ রেলগেইট বাজার মাদক সম্রাট হারিচের স্পষ্ট হানা দিয়ে মোটা অংকের চাদা দাবি করে আর না হলে স্পষ্ট বন্ধ করতে বলে এ বিষয়ে হারিচ বলেন আগে যা দিযেছি এখন তাই দেবো আর না হয় স্পষ্ট বন্ধ করে রাখবো।

প্রায় এক যুগের কাছাকাছি সুদীর্ঘ সময় ধরে ঢাকার মধ্যবিন্দু ছোট্ট শাহজাহানপুর থানায় হাজারও পুলিশ বদলি হয়ে এসেছেন গেছেন কিন্তু এক অজানা রহস্যের কারণে একমাত্র এএস‌আই মামুন থানাটির জন্ম লগ্ন থেকে ছিলেন, গত সপ্তাহে তাকে বদলি করে খিলগাঁও থানায় পাঠানো হয়েছে বটে কিন্তু শাহজাহানপুর থানানিবাসী লোকজনের তার বিরুদ্ধে রয়েছে পাহাড় পরিমান অভিযোগ ও অভিশাপ। এই অভিশাপ কাটতে না কাটতেই সে পুনরায় আবার শাহজাহানপুরে যোগদান করে, কি মধু এ থানায় প্রশ্ন সচেতন মহলের।
সকালে মতে, “এতো অপরাধের অপরাধী এই এএসআই মামুনের অন্ধকার জগতের হাত এতোই লম্বা যে তাকে ডিএমপি থেকে আর বের করা যায় না!

অতিরিক্ত সচিব হলেন ৯২ কর্মকর্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক॥
প্রশাসনে ৯২ জন যুগ্মসচিবকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) ৮৯ জনের পদোন্নতির আদেশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। লিয়েন ও শিক্ষাছুটিতে থাকা বাকি তিনজন ফিরলে তাদের পদোন্নতির আদেশ জারি করা হবে।

অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে ৮৭ কর্মকর্তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। তবে তাদের পদায়ন করা হয়নি। বাকি দুজন বিদেশে মিশনে কর্মরত আছেন। পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রশাসনে অতিরিক্ত সচিবের সংখ্যা হলো ৫০৮ জন। যদিও অতিরিক্ত সচিবের স্থায়ী পদের সংখ্যা ১৩০টি।

অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের যোগদানপত্র ই-মেইলে (sa1@mopa.gov.bd) পাঠাতে হবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে, অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দিতে ১৩তম ব্যাচকে মূল ব্যাচ হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এর আগের ব্যাচগুলোর বঞ্চিতরাও অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।

নিয়মিত পদ না থাকায় পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিবদের বেশিরভাগকেই পদোন্নতির আগে যেখানে ছিলেন, সেই কর্মস্থলেই থাকবেন অর্থাৎ ইনসিটু রাখা হবে। সাড়ে তিন শতাধিক কর্মকর্তা অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির যোগ্য হলেও ৯২ জনকে পদোন্নতি দেওয়ায় অনেকেই বঞ্চিত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

‘সরকারের উপসচিব, যুগ্মসচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতি বিধিমালা, ২০০২’-এ বলা হয়েছে, অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৭০ শতাংশ প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ও ৩০ শতাংশ অন্যান্য ক্যাডারের যুগ্মসচিব পদে কর্মরতদের বিবেচনায় নিতে হবে।

বিধিমালা অনুযায়ী, মূল্যায়ন নম্বরের অন্তত ৮৫ নম্বর পেতে হবে। যুগ্মসচিব পদে কমপক্ষে তিন বছর চাকরিসহ ২০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা বা যুগ্মসচিব পদে কমপক্ষে দুই বছরের চাকরিসহ ২২ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হন।

সর্বশেষ গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর ৯৮ জন যুগ্মসচিবকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

 

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম