কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাবে সভাপতি আব্দুল গনী সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল

জহিরুল ইসলাম মিঠু:

কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের দ্বিবার্ষিক (২০২৪-২৬) কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সাম্প্রতিক কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাবে কমিটির ঘোষণা দেন কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের আহবায়ক মুজিবুর রহমান।

এতে বাংলাভিশন ও দৈনিক ইনকিলাব প্রতিনিধি আব্দুল গনী কে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদ মোস্তফা কামাল (বাসস) এর নাম ঘোষণা করা হয়।

কার্যকরী কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সহসভাপতি মিয়া আব্দুল হান্নান (দৈনিক এশিয়া বানী), জিয়াউর রহমান(দৈনিক সমাচার),) সহসাধারণ সম্পাদক , শামীম আহমেদ ( ভোরের পাতা), মো:শাহীন (দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন) সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ (বাংলা ভিশন), কোষাধ্যক্ষ শামসুল ইসলাম সনেট (দৈনিক বাংলা ও মাইটিভি) ,দপ্তর সম্পাদক ইমরুল কায়েস (কালবেলা),প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রানা আহমেদ (এশিয়ান টিভি) ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক, শিপন উদ্দীন( জনকণ্ঠ), এবং কার্যকরী সদস্য পদে মুজিবুর রহমান(আনন্দ টিভি), মো: সাঈদ (মুক্তখবর) ও আরিফ সম্রাট (গ্লোবাল টিভি)এর নাম ঘোষণা করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাইফুল ইসলাম, আবু তালেব, আবুল বাশারসহ অনেকে।

সংবাদপত্র বন্ধ করে দেওয়া ছিল মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে বেইমানি: কাদের গনি চৌধুরী

মোঃ সাহিদুল আলম॥

শেখ মুজিবুর রহমান গণমাধ্যমের প্রতি যে নিপীড়ন চালিয়েছেন সেটা দুনিয়ার ইতিহাসে আর কোথাও হয়নি- এমনই মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী। তিনি বলেছেন, সদ্য স্বাধীন দেশের সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দেওয়া ছিল মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে বেইমানি।

আজ সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে সংবাদপত্রের কালো দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

৫০ বছর পরও কেন আজও সংবাদপত্রের কালো দিবস নিয়ে আলোচনা- এ প্রশ্ন তুলে বিএফইউজের মহাসচিব বলেন, ‘কারণ, সংবাদপত্রের ইতিহাসে এমন দিন আর কখনো আসেনি। সেদিন রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের আলোকে সংবাদপত্রের গলা চেপে ধরা হয়। সদ্য স্বাধীন হওয়া একটি দেশের সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দেওয়া ছিল মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে বেইমানি করা।
মূলত তখন সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পরে দুটি সরকারি ও দুটি বেসরকারি পত্রিকা সরকারের নিয়ন্ত্রণে এনে প্রকাশিত হয়। এ তথ্য জানিয়ে কাদের গণি চৌধুরী তখনকার বিশিষ্ট সাংবাদিকদের কীভাবে হয়রানি ও নির্যাতন করে শেখ মুজিবের সরকার, তা তুলে ধরেন।

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার পর যখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গুম, খুন, ব্যাংক লুটের ঘটনা ঘটাচ্ছিল, তখন তা পত্রিকায় আসার কারণে সব পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া হয়। সাংবাদিকদের নির্যাতন করা হয়।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলমের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহিন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠের সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, নিউ নেশনের সাবেক সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, বিএফইউজের সহ-সভাপতি খায়রুল বাশার, বিএফইউজের সহ  সভাপতি ও ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম মহসিন, বিএফইউজের সহকারী মহাসচিব বাসির জামাল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি খন্দকার হাসনাত করিম পিন্টু, আব্দুল আওয়াল ঠাকুর, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রাশেদুল হক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খান।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম