বাংলাদেশ সংবাদপত্র শিল্প পরিষদের ৮ম সভা অনুষ্ঠিত: সংবাদপত্র শিল্প টিকিয়ে রাখতে প্রধানমন্ত্রীর  সহযোগিতা কামনা

স্টাফ রিপোর্টার:
সংবাদপত্র শিল্পের চলমান সমস্যা ও তার সমাধান নিয়ে বাংলাদেশ সংবাদপত্র শিল্প পরিষদের উদ্যোগে আজ ২৫ মে, ২০২৪ রোজ শনিবার ডেইলী ইন্ডাস্ট্রি কার্যালয়ে সংগঠনের ৮ম সভা তথা এক জরুরী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরিষদের সভাপতি ও ডেইলী ইন্ডাস্ট্রি’র সম্পাদক ও প্রকাশক ডক্টর এনায়েত করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় সংগঠনের ৭ম সভার কার্যবিরণী পাঠ করেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দৈনিক শেষ কথা ও দৈনিক সমাজ বাংলাদেশ সম্পাদক ও প্রকাশক ইউনুস সোহাগ। সভায় উপস্থিত সম্পাদক ও প্রকাশকদের উদ্দেশ্যে তিনি সংবাদপত্র শিল্পের বিরাজমান সমস্যা ও তার সমাধান নিয়ে ১৪ দফা দাবিগুলোও উপস্থাপন করেন। উক্ত দাবিগুলো ব্যাপারে সবাই মতামত ব্যক্ত করেন ও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা দৈনিক স্বপ্ন প্রতিদিন প্রকাশনা গ্রুপ চেয়ারম্যান মোঃ মমিনুর রশীদ মামুন, দৈনিক ভোরের ডাক সম্পাদক ও প্রকাশক কে এম বেলায়েত হোসেন, দৈনিক পাঞ্জেরী সম্পাদক ও প্রকাশক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম তালুকদার, দৈনিক আলোর জগত প্রকাশক ও সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক তালুকদার, ডেইলি বিজনেস ফাইল প্রকাশক ও সম্পাদক অভি চৌধুরী, দৈনিক তরুণ কণ্ঠ প্রকাশক রফিকুল ইসলাম শান্ত, দৈনিক মুক্ত তথ্য সম্পাদক ও প্রকাশক এডভোকেট এম এ মজিদ, দৈনিক মাতৃভূমির খবর সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রেজাউল করিম, দৈনিক সময়ের চিত্র সম্পাদক ও প্রকাশক এ আর এম মামুন, দৈনিক সংবাদ প্রতিক্ষণ সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ আব্দুল আউয়াল, দৈনিক বিশ্ব মানচিত্র সম্পাদক ও প্রকাশক এডভোকেট মোঃ রাসেদ উদ্দিন, দৈনিক বন্ধুজন সম্পাদকম-লীর সভাপতি ও প্রকাশনা গ্রুপ পরিচালক আসিফ হাসান নবী, দৈনিক ব্যাংক বীমা অর্থনীতি প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশনা গ্রুপ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুনীরুজ্জামান, দৈনিক আমাদের জাগরণ সম্পাদক ও প্রকাশক নূরুল আজিজ চৌধুরী, দৈনিক নববাণী সম্পাদক ও প্রকাশক এ এম এম সলিমউল্লাহ সরকার, দৈনিক ভোরের সময় প্রধান সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান, দৈনিক অগ্নিশিখা সম্পাদক ও প্রকাশক মোর্শেদ আলম, দৈনিক আজকের প্রভাত সম্পাদক ও প্রকাশনা গ্রুপ পরিচালক নেজামুল হক, ডেইলি ইভিনিং নিউজ সম্পাদক ও প্রকাশক এবিএম সেলিম আহমেদ, দৈনিক আলোর বার্তা ও দি ডেইলি স্টেট সম্পাদক ও প্রকাশক অধ্যাপক রফিকউল্লাহ শিকদার ও দি ডেইলি চ্যালেঞ্জ সম্পাদক ও প্রকাশক নাসির আল মামুন প্রমুখ।
দাবিগুলি হচ্ছে : ১। ডিএফপিসহ সকল সরকারী সংস্থার কাছে বকেয়া বিজ্ঞাপন বিল আগামী জুনের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে, ২। সরকারী বিজ্ঞাপনের সুষম বন্টন নীতিমালা প্রনয়ন করতে হবে এবং প্রতিটি বিজ্ঞাপণ কমপক্ষে ২টি ইংরেজী ও ৪টি বাংলা পত্রিকায় প্রদান করতে হবে, ৩।বিজ্ঞাপন বিলের উপর অগ্রীম আয়কর এবং সার্ভিস চার্জ বাতিল করতে হবে, ৪। ইংরেজী ও বাংলা পত্রিকার সরকারী বিজ্ঞাপনের মূল্য বৈষম্য দুর করতে হবে, ৫। নিবন্ধিত পত্রিকার অন-লাইন পোর্টালে সরকারী বিজ্ঞাপনের মূল্য নির্ধারন করে প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে, ৬। সরকারী বিজ্ঞাপনের মূল্য বাজার ভিত্তিক (মূল্যস্ফীতির ভিত্তিতে) বৃদ্ধি করতে হবে, ৭। সংবাদপত্র শিল্পের জন্য স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে, ৮। সাংবাদিক কর্মচারীদের আবাসন ব্যবস্থা করতে হবে, ৯। সংবাদপত্র শিল্পের জন্য আসন্ন বাজেটে ৫,০০০ (পাঁচ হাজার) কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে, ১০। প্রকাশিত বিজ্ঞাপন বিল সর্বোচ্চ তিন মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে, ১১।সংবাদপত্র কর্মীদের জন্য একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মান করতে হবে, ১২। সংবাদকর্মীদের জন্য বিশেষ পেনশন স্কীম চালু করতে হবে, ১৩। ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্টসহ সকল কালা-কানুন বাতিল করতে হবে, ১৪। সকল সম্পাদককে ভি আই পি মর্যাদা প্রদান করতে হবে।
দীর্ঘ আলোচনায় সংবাদপত্র মালিক ও প্রকাশকগণ বলেন, আমরা নিজেদের কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে সংবাদপত্র প্রকাশ করছি কিন্ত্র সরকারি সংস্থাগুলি আমাদের বকেয়া বিজ্ঞাপন বিল সময়মত পরিশোধ না করলে আমরা প্রকাশনা টিকিয়ে রাখবো কিভাবে? আর সাংবাদিক কর্মচারিদের বেতন-ভাতাই বা পরিশোধ করবো কোথা থেকে?
সভায় সংবাদপত্র শিল্প টিকিয়ে রাখার জন্য সরকারের বিশেষভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা কামনা করা হয়।

ইউনিক হাসপাতালে সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে মারধর ও হয়রানির শিকার সাংবাদিক

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের ছোয়ায়, অন্য দিকে পিছিয়ে পড়ছে স্বাস্থ্যখাতের সেবার মান। দেশে নামে বেনামে ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে ক্লিনিক ডায়াগষ্টিক সেন্টার। সরকার যেখানে স্বাস্থ্য সেবা এগিয়ে নিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রী সামন্ত লাল সেন,যেখানে স্পর্ট নিদর্শনা দিয়েছেন নিবন্ধন বিহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের জন্য। তারই ধারাবাহিকতায় সংবাদ সম্পাদনার জন্য সাভার উপজেলার নিবন্ধন বিহীন ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলো চিহ্নিত করতে মাঠ পযার্য়ে কাজ শুরু করে দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ পএিকার নিজস্ব প্রতিবেদক আলী রেজা রাজু ও দৈনিক দেশ প্রতিদিনের রুমন জোয়ার্দার জনি ঢাকার সাভারের হেমায়েতপুর সিঙ্গাইর সড়কে অবস্থিত ইউনিক হাসপাতালে (১০ ফেব্রুয়ারী) ইং তারিখে দুপুর অনুমানিক ১:২০ সময় প্রবেশ করে উক্ত হাসপাতালের অভ্যর্থনা বিভাগে মালিক পক্ষের সাথে কথার বলার জন্য জানায়। অনুমতি পেয়ে মালিক পক্ষের সাথে কথা বলার জন্য উক্ত হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত হাসপাতালের অফিস রুমে প্রবেশ করে। প্রবেশের পর মালিকপক্ষ অফিসরুমে ৩/৪ ও একজন ডা: সেখানে অবস্থান করছিলেন। তাদের কাছে জানতে চায় প্রতিষ্ঠান অনুমতিপ্রাপ্ত কি’না জানতে চায়লে তারা সাংবাদিক আলী রেজা রাজু,ও রুমন জোয়ার্দার জনিকে মাধধর ও মানসিক ভাবে লাঞ্চিত করে তাদের কাছে থাকা প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড ছিনিয়ে নেই। ২/৩ ঘন্টা সেখানে অবরুদ্ধ করে রাখে এবং জিম্মি করে ভিডিও ধারণ করে।জীবন নাশের প্রদর্শন করে।পরর্বতীতে তাদেরকে মুঠোফোন ফেরত দিয়ে সেখান চলে যেতে বলে।তারা তাদের সহকর্মীদেরকে অবগত করলে তারা তাৎক্ষণিক উপস্থিত হয়ে তাদের প্রতিষ্ঠানের আইডি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উদ্ধার করে।পেশাগত কাজে বাধা,শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্চিত বিষয়ে হাসপাতাল কর্তপক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সাভার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
এবিষয়ে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবার আলী খান জানান তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম