গুলশান থানার পরিদর্শক শেখ শাহানুর সরকারী গাড়ি করেছেন নিজের

স্টাফ রিপোর্টার:

দেশের  বড় বড় প্রতিষ্টান গুলো  পুলিশের জন্য গাড়ীসহ অনেক কিছু প্রদান করে থাকে, যাতে করে এগুলো দিয়ে জনগনের সেবা করতে পারে, তারি ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালে নাভানা গ্রুপের পক্ষ থেকে রাজধানীর গুলশান থানা পুলিশকে একটি গাড়ি উপহার দেওয়া হয়। ওই গাড়িতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) লোগোযুক্ত স্টিকার ও সিগন্যাল হুডার ছিল। গুলশানের কূটনৈতিক এলাকায় প্যাট্রল ডিউতে প্রথমে গাড়িটি ব্যবহার হয়। তবে কিছুদিন পর পুলিশকে দেওয়া সেই গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার শুরু করেন গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ শাহানুর রহমান। এরই মধ্যে বদলে ফেলা হয়েছে সেই গাড়ির কাঠামো।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পুলিশকে যানবাহন উপহার দিলে সেটি সরকারি সম্পদ হয়ে যায়। ওই গাড়ির তেল এবং মেরামতের খরচ সরকারিভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু নাভানার দেওয়া গাড়িটি শেখ শাহানুর ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করে আসছেন। দীর্ঘ দিন গাড়িটি তাঁর শাহজাদপুরের বাসার গ্যারেজে ছিল। অধিকাংশ সময় গাড়িটি তাঁর স্ত্রী ব্যবহার করেন। শাহানুরের স্ত্রী ইভা রাজধানীর ভাটারা থানায় উপপরিদর্শক হিসেবে কর্মরত।
অনুসন্ধানে উঠে আসে নাভানার দেওয়া গাড়িটি গত ১৪ মার্চ মেরামত করিয়েছেন গুলশান থানার পরিদর্শক শেখ শাহানুর। থানার কনস্টেবল মো. মোতালেবকে দিয়ে নাভানার ওয়ার্কশপে গাড়িটি পাঠানো হয়। কাস্টমার আইডিতে গাড়ির মালিকের পরিচয় হিসেবে শেখ শাহানুর রহমানের নাম ও তার মোবাইল ফোন নম্বর লেখা রয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কনস্টেবল মোতালেব বলেন, ‘শাহানুর স্যার বলার পর গাড়ি মেরামত করতে নাভানার ওয়ার্কশপে গিয়েছিলাম।
গাড়িটির বিষয়ে পরিদর্শক শাহানুর রহমান  বলেন, ‘এই গাড়ির তেল খরচ ট্রান্সপোর্ট শাখা থেকে দেওয়া হতো না। তাই গাড়িটি প্রায় অচল অবস্থায় ছিল। ব্যাটারি যাতে বসে না যায়, তাই মাঝে মাঝে চালু করতাম।’ সরকারি গাড়ি কেন নিজ পরিচয়ে মেরামত করতে গেলেন– এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘নাভানার এক কর্মকর্তার সঙ্গে আমার পরিচয় রয়েছে। তাই গাড়ির ব্যাটারি ঠিক করার জন্য কনস্টেবলকে পাঠাই। কয়েক বছর পার হওয়ায় লোগো উঠে গেছে।

একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ২০২০ সালে ডিএমপি কমিশনার ছিলেন শফিকুল ইসলাম। কোনো কোম্পানির কাছ থেকে উপহারের গাড়ি নেওয়ার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করতেন তিনি। তাই নাভানার কাছ থেকে গাড়ি পাওয়ার পরও পুলিশের ফান্ড থেকে সেটির তেল খরচ ও সরঞ্জাম কেনার অনুমতি দেননি তৎকালীন কমিশনার। যদিও পুলিশে অনেক অনুদানের গাড়ি রয়েছে, যেগুলো সরকারি তেলে চলছে। তবে নাভানার দেওয়া গাড়িটি শুরু থেকে অন্য সরকারি যানবাহনের তেল সমন্বয় করে চলত। এর পর সেটি ব্যক্তিগত ও পরিবারের কাজে ব্যবহার শুরু করেন শাহানুর। সবুজ বাংলাদেশ  পক্ষ থেকে ঘটনাটি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু হলে গত সোমবার গাড়িটি গুলশান থানায় এনে রাখা হয়। গাড়ি নিয়ে অনিয়মের ঘটনায় ডিএমপির ট্রান্সপোর্ট শাখা থেকে গুলশান বিভাগকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এক যুগের বেশি সময় ধরে শুধুমাত্র গুলশান থানায়ই পিএসআই, এসআই, গুলশান ফাঁড়ির ইনচার্জ, পরিদর্শক (অপারেশন্স) পরিদর্শক (তদন্ত)  পদে দায়িত্ব পালন যাচ্ছেন শাহানুর। এক থানায় এতো বছর ধরে কর্মরত থাকা পুলিশের চাকরিবিধির সঙ্গে সামঞ্জ্যপূর্ণ নয়।

গুলশান থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম জানান, সরকারিভাবে গাড়িটির তেল খরচের জন্য ডিএমপির ট্রান্সপোর্ট শাখায় আবেদন করা হয়েছিল। সেটি পাস না হওয়ায় সরকারি খাতায় গাড়িটি নথিভুক্ত হয়নি

গায়েবি মামলা বন্ধে আইজিপির কাছে বিএনপির চিঠি

মিথ্যা, গায়েবি ও রাজনৈতিক নিপীড়নমূলক বেআইনি মামলা বন্ধে পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) কাছে চিঠি দিয়েছে বিএনপি।

 

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিটি নিয়ে কয়েকজন নেতা আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের সঙ্গে দেখা করেন।

 

প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্বে ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। উপস্থিত ছিলেন— বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল।

 

বিএনপির চিঠিতে বলা হয়, সম্প্রতি পুলিশ কর্তৃক রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মিথ্যা মামলা দায়ের এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন চরমতম পর্যায়ে পৌঁছেছে।

 

 

একটি পত্রিকার প্রতিবেদন উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, ঢাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিস্তারিত তথ্যসহ তালিকা প্রস্তুত করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।

 

এ ছাড়াও সারাদেশের জেলা-উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পর্যন্ত নেতা-কর্মীদের তালিকা প্রস্তুত করছে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ। কতিপয় অতি উৎসাহী পুলিশ কর্মকর্তার বেআইনি কর্মকাণ্ডের জন্য গোটা পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে, যা প্রত্যাশিত নয় বলেও চিঠিতে বলা হয়।

 

চিঠিতে আরও বলা হয়, গত আগস্ট থেকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত গায়েবি ও মিথ্যা মামলা হয়েছে ১৬৯টি। সেখানে নাম ধরে আসামি করা হয়েছে ছয় হাজার ৭২৩ জনকে। বেনামে আসামি করা হয়েছে ১৫ হাজার ৫০ জনকে।

 

আইজিপিকে চিঠি দিয়ে বেরিয়ে এসে বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় আমাদের নেতা-কর্মীদের যেভাবে হয়রানি, গ্রেপ্তার করছে, সে বিষয়ে আইজিপি মহোদয়কে বলেছি। তিনি আন্তরিকভাবে আমাদের কথা শুনেছেন।

 

আওয়ামী লীগের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় বোমা ফাটিয়ে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে বলেও তিনি জানান।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড মামলার পথেই হাঁটছে বকশীগঞ্জের সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলা রাজউকের ইমারত পরিদর্শক মনিরুজ্জামান ৭ বছরেই শত কোটি টাকার মালিক শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ নতুন ইতিহাস গড়লেন দীপিকা পাড়ুকোন বাংলাদেশকে রাজস্ব ও আর্থিক খাত সংস্কার অব্যাহত রাখতে হবে ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৬১৯ ৩০ কোটি বছর আগে মহাকাশ থেকে ছুটে এসেছিল একটি বিশাল পাথর কুমিল্লায় হত্যার পর নারীর লাশ বেডশিট দিয়ে মুড়িয়ে খাটের নিচে রেখে গেল দুর্বৃত্তরা দীর্ঘদিন পর গাজায় একসঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করলেন হাজারো ফিলিস্তিনি