বিআরটিসি’র ৮২ লাখ টাকা আত্মসাত ম্যানেজার জামিলের দুর্নীতি তদন্তে ১৬ মাসেও কোন অগ্রগতি নেই

স্টাফ রিপোর্টারঃ

বিআরটিসি খুলনা ডিপো ম্যানেজার জামিল হোসেনের দুর্নীতি,অনিয়ম,অর্থ আত্মসাত, মাদক সেবনের অভিযোগ রয়েছে। বাসের নাম্বার প্লেট পরিবর্তন করে নিজ নামে ইজারাসহ বিভিন্ন ভাবে দুর্নীতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি টাকা। আর এসব কারনে বরিশাল থেকে খুলনায় বদলি করা হয় জামিলকে। অভিযুক্ত জামিলের দুর্নীতি তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠিত হলেও দীর্ঘ ১৬ মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হয়েছে অথচ তদন্তের কোনো অগ্রগতি নেই ।

তার বিরুদ্ধে মাদক সেবনের অভিযোগসহ ৮টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে । এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন উপ সচিব কামরুল ইসলাম । দুর্নীতির বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন মেজর আলিমুর রহমান, ইএমই, জেনারেল ম্যানেজার (টেকনিক্যাল), কে। বলা হয়েছে
তদন্ত সাপেক্ষে ১৫ দিনের মধ্যে মতামত দাখিল করতে । বিগত ১০ নভেম্বর ২০২০ তারিখ ২০৮৭ নাম্বার স্বারকে মোঃ কামরুল ইসলাম, উপ সচিব, জেনারেল ম্যানেজার, বিআরটিসি এ নির্দেশনা দেন ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়,দীর্ঘ ১৬ মাস অতিবাহিত হলেও কোন এক অদৃশ্য কারণে সেই তদন্ত আলোর মুখ দেখিনি। বিআরটিসি’র দুর্নীতি দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে তদন্তে ধীর গতি প্রমাণ করে তদন্তে নিয়জিত তিন সদস্য ম্যানেজ হয়েছে,এমন মন্তব্য করেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কিছু কর্মকর্তা।
জানা গেছে, খুলনা ডিপো ম্যানেজার জামিল যেখানেই দায়িত্বে ছিল সেখানেই দুর্নীতি করেছে। তার বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট ৮টি অভিযোগ রয়েছে ।

জামিল বরিশাল বাস ডিপো ম্যানেজারের দায়িত্বে থাকাকালীন সেখানেও নানা অনিয়ম, ট্রিপ ফাকি,রাজস্ব আত্মসাৎ করাসহ অসংখ্য কুকর্মের সাথে জড়িত ছিল। বরিশাল ডিপোর কারিগরি শাখা থেকে খুচরা যন্ত্রপাতি কেনার জন্য অগ্রিম ৮২ লাখ টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এবিষয়ে জামিল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,তদন্ত হচ্ছে জানি তবে আমি চ্যালেঞ্জ করবো, আমি নির্দোষ। এদিকে খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে,মতিঝিল ডিপোতেও বিভিন্ন অনিয়ম চলেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিআরটিসি’র অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে বর্তমান চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে তিনি চেস্টা করছেন বি আর টিসিকে ঢেলে সাজাতে । তবে বসে নেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। তাদের দৌড়াত্ম বিআরটিসি’র সর্বত্র। একাধিক সুত্র এ প্রতিবেদককে জানায়, বর্তমান চেয়ারম্যান দায়িত্ব নেয়ার পর অনেকাংশেই শৃঙ্খলা ফেরাতে পেরেছেন।

এবার নিষিদ্ধ পাবজি গেম খেলে আটক ১২০

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি॥

এবার নিষিদ্ধ পাবজি গেমস চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে গিয়ে বিভিন্ন জেলার ১২০ জন কিশোর ও যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

এর মধ্যে পাবজি গেমসের আয়োজক ১২ জন ও ১০৮ জন খেলোয়াড় রয়েছেন। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাবজি গেমস প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে চুয়াডাঙ্গার একটি কমিউনিটি সেন্টারে জড়ো হন তারা।

এদের মধ্যে ২৪ জনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অন্যদের বয়স কম হওয়ায় তাদের পরিবারের জিম্মায় দেওয়ার কথা ভাবছে পুলিশ।

এ ধরনের একটি অবৈধ আয়োজনে বিপুলসংখ্যক খেলোয়াড়ের উপস্থিতির ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা শহরতলির দৌলাতদিয়াড় এলাকার তাসনীম নুর কমিউনিটি সেন্টারে পাবজি গেমস চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজন করে এলাকার ১২ জন কিশোর ও যুবক। বুধবার সকালে তারা ওই সেন্টারে জড়ো হন। দেশের প্রায় সব জেলা থেকে পাবজি গেম প্রতিযোগিতায় ১০৮ যুবক ও কিশোর অংশ নেন।

খবর পেয়ে পুলিশ তাসনীম নূর কমিউনিটি সেন্টারে বুধবার দুপুরে অভিযান চালায়। পুলিশ তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, ইলেকট্রিক ডিভাইস, নগদ টাকা, খেলার পুরস্কার, রাইটারসহ বিভিন্ন উপকরণ জব্দ করে।

দুপুরে আটককৃতদের মধ্যে যাদের বয়স ১৮ বছরের বেশি তাদের ২৪ জনকে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামিম ভূইয়ার ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক প্রত্যেককে দুদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। বিকালে তাদের জেলা কারাগারে নেওয়া হয়। বাকি ৯৬ জনের মধ্যে যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে তাদের অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হবে বলে পুলিশ জানায়।

নিষিদ্ধ পাবজি গেমস প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন জেলার ১৯টি দল অংশগ্রহণ করে। প্রত্যেকটি দলে অংশগ্রহণ করে ৪ জন করে।

পুলিশ জানায়, পাবজি গেমসের প্রধান আয়োজক ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার তালতলা পাড়ার মুহাই আলীর ছেলে মেহরাব ও চুয়াডাঙ্গা পোস্ট অফিসপাড়ার সাহিন মাহমুদের ছেলে সাদমান সারার।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি মাহব্বুর রহমান বলেন, দেশের প্রায় সব জেলা থেকে এসব কিশোর ও যুবক নিষিদ্ধ পাবজি গেম প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে চুয়াডাঙ্গায় এসেছিল।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম