৩০ বস্তা সার কেলেঙ্কারিতে ফেঁসে যাবেন চেয়ারম্যান

আজিজুর রহমান বাবু । শরীয়তপুর প্রতিনিধি:

তৃনমূল পর্যায়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারনের দপ্তর সরকারী পর্যায়ে প্রান্তিক চাষীদের বিতরণের উদ্দেশ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ে ৩০ বস্তা সার প্রদান করা হয়। কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে বিতরণ করা জন্য সরকারী কার্ডের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়। ঘটনাক্রমে নিয়মটি অনিয়ম করে ইউনিয়ন কতৃপক্ষ স্বেচ্ছাচারি সিদ্ধান্ত বহাল করে প্রান্তিক চাষীদের সাথে প্রতারণা করে আসছেন। যা ফৌজদারি অপরাধের ৪২০ ধারায় অন্তর্ভুক্ত ।

আজ সেই বিনামূল্যে বিতরণের জন্য সারের কাহিনী চরকুমারিয়া ইউনিয়নবাসী আটক করে অবৈধ জনসেবার মুখোশ খুলে জনসম্মুখে প্রকাশ করলো।

আপনি এখন কী বলবেন ? কে দায়ী ?

সহজ ভাবে বলতে গেলে – বলতে হয় এই ৩০ বস্তা সার এবং বিনামূল্যে বীজ সরকার দিয়েছিলেন প্রান্তিক চাষীদের বিতরণের জন্য। সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে সংশ্লিষ্টরা মনগড়া টোকেন বানিয়ে গ্রামের হতদরিদ্র চাষীদের বোকা বানিয়ে তথাকথিত মেম্বার, চেয়ারম্যানরা নিজেদের পকেট ভারি করতে সচেষ্ট থেকেছেন । এ লজ্জা কাদের ?

জনতার মুখোমুখি সখিপুর থানা আওয়ামিলীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব হুমায়ুন কবির মোল্লা আটককৃত সারের বিষয়ে বিবৃতি প্রদান করছেন। তিনি এই বিবৃতি দেওয়ার কী অধীকার রাখেন ?

জনমনে প্রশ্ন উঠেছে বর্তমান চেয়ারম্যান মোজ্জমেল হক মোল্লা এ বিষয়ে ঘটনার বিবরণী কেন প্রকাশ করলেন না। দায়িত্বে তিনি বহাল ছিলেন। এমন জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিতে তিনি কেন অনুপস্থিত ? কেন তিনি এমন জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সহোদর ভাইয়ের কাধে চড়িয়ে এড়িয়ে গেলেন। ঘটনাটি রহস্যপূর্ন ইংগিত বহন করে ?

আহারে সোনার বাংলার জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্রমশ দিয়ে যাচ্ছেন আর তাঁর কুখ্যাত অনুসারীরা দিনের পর দিন পেটফুলে বিত্তশালী হচ্ছেন। আর্থিক ভাবে শক্তিশালী হয়ে নিরীহ জনগণকে শোষণ করে নিঃস্ব করার পায়তারা করছেন। সময় যখন বিগড়ে যাবে তখন নিয়তির গ্যাড়াকলে আটকিয়ে প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে – ইতিহাস তাই বলে।

মিথ্যা মামলায় যুবককে ফাঁসানোর অভিযোগ এস আই দোলোয়ারে বিরুদ্ধে

মনির হোসেন:

ঢাকা কেরানীগঞ্জে এক যুবককে মিথ্যা মামলা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এস আই মো. দেলোয়ার এর বিরুদ্ধে। গত ৩ মে একটি মাদক সংক্রান্ত ঘটনায় মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন কে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। যাহার মামলা নং- ০৯/৩১৬। তিনি কাজির গাঁও কোন্ডা ইউনিয়নের দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার বাসিন্দা। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে স্ত্রী শান্তা মনি সোমবার আইজিপি কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগে শান্তা মনি উল্লেখ করেন, এসআই দেলোয়ার এর এক সোর্স রয়েছে। আমার স্বামী দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকায় অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালাতো। স্ত্রী, এক ছেলে নিয়ে কোনোরকমে তারা জীবিকা নির্বাহ করেন। হেরোইন বিক্রি তো দূরের কথা ১২ বছরের সংসার জীবনে তাকে কোনোদিন গাঁজা খেতেও দেখেননি ।

তিনি আরো বলেন, আমার জামাই কে গ্রেফতারের পরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পুলিশ কর্মকর্তা এস আই দেলোয়ার হোসেন আমাকে কল করে ঘটনাস্থলে আসতে বলে, পরবর্তীতে আমি এসে দেখি আমার জামাইয়ের হাতে হ্যান্ডকাফ লাগানো। পরে পুলিশের এই কর্মকর্তা আমার কাছ থেকে নগদ ৮০,০০০ (আশি হাজার) টাকা দাবি করেন। এবং তিনি বলেন আমি টাকা দিলে আমার জামাইকে সে ছেঁড়ে দিবেন কিন্তু আমার কাছে তখন টাকা ছিল না তাই তাঁরা আমার জামাইকে মিথ্যা মামলা দেয়। এস আই দেলোয়ার তখন আমাকে বলেন, টাকা যেহেতু তুই দিলি না আমি তোর জামাইয়ের লাইফ নষ্ট করে দিবো। আমি তাকে তার বন্ধুদের সাথে চলাফেরা করার জন্য ও নিষেধ করতাম।

গ্রেফতারকৃত আনোয়ার স্ত্রীর আরো বলেন, মাদকের মিথ্যা মামলার বিষয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে অভিযোগ করেছি আল্লাহ্ যদি সহায় হয় অবশ্যই আমি ন্যায় বিচার পাবো।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই দেলোয়ার মুঠোফোনে বলেন, আমি তো অনেক দূরে স্থানান্তর হয়ে এসেছি। আনোয়ার আসলেই একজন মাদক ব্যবসায়ী। তাকে আমি মাদকসহু গ্রেফতার করেছি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম