নাটুয়ারপাড়ায় রহিম সরকার ও তার মেয়ের জামাই নিশাদের নেতৃত্বে চলছে অনলাইন জুয়া

মোঃ ইব্রাহিম হোসেন:

সিরাজগঞ্জ কাজিপুর উপজেলার নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় এমন খেলায় এখন মত্ত হয়ে উঠেছেন কিশোর-যুবকরা। শুধু কিশোর কিংবা যুব সমাজই নয় ক্ষেত্র বিশেষে বয়স্ক লোকেরাও জড়িয়ে পড়ছেন এমন বিধ্বংসী খেলার নেশায়। এতে যেমন সামাজিক অবক্ষয় ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করছে তেমনি অর্থনৈতিকভাবেও অনেক পরিবার হচ্ছে সর্বশান্ত। সমাজ ও পরিবারে বাড়ছে অশান্তি, তাদেরই মধ্যে কয়েকজন ঘর বাড়ি ছেড়েছেন আর ফায়দা নিচ্ছে আব্দুল রহিম সরকার ও তার মেয়ের জামাই নিশাদ এজেন্ট।

দৈনিক সবুজ বাংলাদেশের অনুসন্ধানে জানা যায়, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে এ ধরণের জুয়ায় অংশগ্রহণ করেন জুয়াড়িরা। বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করেন তারা। সে সব এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো ওয়ান এক্স বেটিং সাইট। এসব অ্যাপ রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পরিচালিত হয়ে থাকে।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ‘এজেন্ট’ নামধারী দালাল চক্রের ব্যক্তিকে পরিশোধ করতে হয় দেশীয় টাকা। যে পরিমাণ টাকা এজেন্টকে পরিশোধ করা হবে সে অনুপাতে ক্রিপ্টো কারেন্সি দেয়া হবে জুয়াড়ি ব্যক্তিকে।

টাকাগুলো লেনদেন করতে সাধারণত ব্যবহার করা হয় বিকাশ, রকেট ও নগদ নামের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা। তবে এ অঞ্চলে বিকাশের ব্যবহার হয় মাত্রাতিরিক্ত বেশি। এসব টাকার বেশির ভাগ অংশই চলে যায় যে দেশ থেকে অ্যাপটি পরিচালিত হয় সেই দেশে। এভাবেই অত্যাধুনিক ফর্মুলায় সকলের চোখের সামন দিয়েই প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা চলে যাচ্ছে বিদেশে। শুধু যে নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নেই এমন হচ্ছে তা কিন্তু নয়, সমস্ত দেশেরই একই অবস্থা। এমন কোনো খেলা নেই যা এই অ্যাপে খেলা যায় না।

কাজিপুর উপজেলার নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কথিত সভাপতি আব্দুল রহিম সরকার ও তার মেয়ের জামাই নিশাদের নেতৃত্ব এই অনলাইন জুয়ার কারসাজি চলছে, নাটুয়ারপাড়ার বিভিন্ন পয়েন্ট ও খেলার মাঠে বসে এমন ভয়ঙ্কর খেলায় মেতে উঠেন তরুণরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জুয়াড়ি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে খেলি। হারতে হারতে জীবনটা বরবাদ করে ফেলেছি। একবার জিতলে একমাস দুইমাস যায় হারতে হারতে। এটা একটা নেশার মতো। এসব খেলায় কোনো লাভ নেই। নিঃস্ব হয়ে অনেকে ঘরবাড়ি এমনকি এলাকা ছাড়া হয়েছেন।

এলাকার মান্যগণ্য ব্যক্তিগণরা দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ কে জানান, এই খেলার কারণে এলাকায় অনেক চুরি বেড়ে গেছে। একটা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে সমাজ। এ থেকে আমাদের বেড়িয়ে আসতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি আমাদেরও দায়িত্ব পালন করতে হবে।

এই বিষয়ে কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদুল ইসলাম দৈনিক সবুজ বাংলাদেশকে বলেন, এটা এমন একটি খেলা যা জুয়াড়িরা মোবাইলে খেলে থাকেন। দেখে বুঝার উপায় নাই, তবে আমরা বসে নেই। প্রযুক্তি ও কৌশল ব্যবহার করে আমাদের অভিজ্ঞ টিম মাঠে কাজ করছে।

পারিবারিক বিরোধ আর প্রতিহিংসার শিকার এসপি

স্টাফ রিপোর্টার:

পারিবারিক বিরোধের জিঘাংসা কত ভয়ঙ্কর হতে পারে তার ভয়াল দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলায় । সেখানকার এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম ও পুলিশ পরিদর্শক সারে আলমের বিরুদ্ধে তাদেরই চাচাতো ভাইয়েরা বিভিন্ন দপ্তরে ৭৩টি অভিযোগ দাখিল করেছে। গত কয়েক বছরে এসব অভিযোগ দাখিলের মাধ্যমে অব্যাহত হয়রানি চালিয়েও ক্ষ্যান্ত হননি তারা, এবার চাকরি থেকে হটাতে হাইকোর্টে রীট পর্যন্ত করেছে।

ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তার নামে মিথ্যা ভিত্তিহীন ও মনগড়া অভিযোগ তুলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সসহ বিভিন্ন দপ্তরে একের পর এক অভিযোগ দিয়েছেন এবং নানা প্রভাব খাটিয়ে সেসব তদন্তও করিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে সত্যতা না পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছেন। এরপর উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করে আবারও তদন্তের দাবি জানিয়ে নানা আস্ফালন শুরু করেছেন। শুধু পারিবারিক বিরোধ, প্রতিহিংসার জিঘাংসা যে কাউকে বিপর্যস্ত করে দিতে পারে তারই নজীর এ ঘটনাটি।

প্রাথমিক ভাবে খবরটি শুনেই কেমন যেন অবিশ্বাস্য বলে মনে হয়। সারাদেশে পুলিশ অফিসারদের দ্বারাই সাধারণ মানুষ হয়রানি, নিপীড়ন, নির্যাতনের এন্তার অভিযোগ রয়েছে। সেখানে পুরোপুরি উল্টো ঘটনা শুনেই খটকা লাগে।

সাংবাদিকদের একটি অনুসন্ধানী টিম খোঁজ নেয় আশুগঞ্জে, খবর নেয়ার চেষ্টা করেন সোহাগপুর নাগরপাড়া গ্রামেও। সবার কণ্ঠে অবাক করা অভিন্ন সুর। তারা সাংবাদিক টিমকে জানান, প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামানের ছেলে নূরে আলম (এসপি) এবং সারে আলম (ইন্সপেক্টর) ছোটবেলা থেকেই খুব সহজ, সরল, নরম প্রকৃতির মানুষ। তাদের মানবিকতাকে দুর্বলতা হিসেবে ধরে সুযোগ নিয়েছে চাচাতো ভাইয়েরা। সহায় সম্পদ কেড়ে নেয়ার চেয়েও প্রতিহিংসা পরায়ণতা তাদের কাছে মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর নাগরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম ও তার ভাই মোশারফ আলম ওরফে কানা মোশারফের টার্গেট এবার পুলিশ পরিবার। খোরশেদ ও মোশারফ পারিবারিক বিবাদের জের ধরে তাদেরই চাচাতো ভাই নূরে আলম (এসপি) ও সারে আলম (ইন্সপেক্টর) এর বিরুদ্ধে একের পর এক কল্পিত অভিযোগ দাখিল করে তাদের জীবন বিষময় করে তুলেছেন। এসপি নূরে আলম বর্তমানে জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার হিসেবে এবং সারে আলম ঢাকায় পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে কর্তব্যরত রয়েছেন।

প্রতিহিংসামূলক জিঘাংসার ধারাবাহিকতায় হয়রানির উদ্দেশ্যে উপরোক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের নামে মিথ্যা ভিত্তিহীন ও মনগড়া অভিযোগ করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সসহ বিভিন্ন দপ্তরে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে সত্যতা পাননি। এতেও ক্ষ্যান্ত না হয়ে খোরশেদ উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করে আবারও তদন্তের দাবি করেন। মূলত দফায় দফায় অভিযোগ তুলে হয়রানি ও মানসিক যন্ত্রণার মাধ্যমে বিপর্যস্ত করে তোলাটাই তাদের কাজ।

এলাকাবাসী সূত্র জানায়, মৃত সুরুজ মিয়া ও তাদের পূর্বপুরুষ এবং তার সন্তানরা মোশারফ আলমের বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম পরম্পরায় এলাকায় অত্যাচারি লোক হিসাবে পরিচিত। তারা যাবতীয় হয়রানি থেকে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে রেহাই দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আমদানি করলে দিতে হবে না ভ্যাট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎতে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব ফকরুল বাংলাদেশে ইতিহাস গড়ল উইন্ডিজ দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন রাজউক ইমারত পরিদর্শক শামীম রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে কে জিতবে, তা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচেছ ট্রাম্প নাসার চন্দ্র মিশনে স্পেসএক্স জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে নতুন করে দেড় হাজারের বেশি আবেদন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি