৩০ হাজারের রাউটার কিনল ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকায়  

স্টাফ রিপোর্টার:

বাজারে মানভেদে একেকটি রাউটারের দাম একেক রকম। তবে সর্বোচ্চ কতই হতে পারে? শুনলে চমকে উঠবেন, ৩০ হাজার টাকার রাউটার ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)।

এখানেই শেষ নয়, রাউটার ছাড়াও আরও বেশ কিছু পণ্য বাজার দরের চেয়ে বেশি দামে কিনেছে আরইবি। এসব পণ্য হলো- প্রিন্টার, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, স্লিপ প্রিন্টার ও এসি। ‘প্রি-পেমেন্ট ই-মিটারিং ইন ঢাকা ডিভিশন আন্ডার রুরাল ইলেকট্রিফিকেশন প্রোগ্রাম (ফেইজ-১)’ নামে একটি প্রকল্পের আওতায় এসব মালপত্র কিনেছে আরইবি, যা পরবর্তীতে বিভিন্ন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে সরবরাহ ও স্থাপন করেছে আরইবি।

এ ছাড়াও একেকটি লেজার প্রিন্টার ১৫ লাখ ৫৯ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছে প্রতিষ্ঠানটি। বাজারে যেসব প্রিন্টারের দাম সর্বোচ্চ ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

আরইবির প্রকল্পের পরিচালক ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান পরিচালক (কারিগরি) মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, এখানে কোনো ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতি হয়নি। দরপত্রের মাধ্যমে মালপত্রগুলো কেনা হয়েছে। যেখানে অনেক বেশি প্রতিযোগিতা হয়েছিল। এখানে কিছু আইটেমের দাম বেশি মনে হলেও কোনো কোনো আইটেমের দাম বাজারদরের চেয়ে অনেক কম।

ইউএস কম্যুনিটি ট্রেড এর এমএলএম প্রতারণা

বিশেষ প্রতিনিধি:

ইউএস কম্যুনিটি ট্রেড এর ব্যানারে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং বা এমএলএম বাণিজ্যের ফাঁদ পেতে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। অভিনব এ ডিজিটাল প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে সারাদেশের অন্তত ৫০ হাজার মানুষ সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন। নানা প্রলোভনে ভুক্তভোগী মানুষজনের শেষ সম্বল হাতিয়েই ইউএস কম্যুনিটি ট্রেড প্রতিষ্ঠানটি লাপাত্তা হয়েছে। এর উদ্যোক্তা মো. ফাহিম হোসেনসহ তার সহযোগিরাও রাতারাতি গা ঢাকা দিয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে তাদের
us community trade (https:/ww/w.uscommunitytrad.com) সিস্টেমও।
কুমিল্লা শহরের টমছম ব্রিজ এলাকার বাসিন্দা ফাহিম হোসেন একটি এ্যাপস, ব্যাংক একাউন্ট ও বিকাশ-নগদ নাম্বার পুঁজি করেই কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রতারণামূলক কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ করে সাইবার বিশেষজ্ঞরা জানান, এ্যাপসসহ তাদের যাবতীয় কার্যক্রম মূলত একটা স্ক্যাম। বাংলাদেশে তাদের কোন অফিস নেই, কোন নির্দিষ্ট জনকাঠামোও নেই। স্থানীয় এজেন্টদের গ্রিন ডায়ামন্ড, বøæ ডায়ামন্ড প্রলোভন দিয়ে তারা মানুষের থেকে টাকা নিতো। তারপর তাদেরকে আবার অন্য বিনিয়োগকারীদের আনতে বলতো। এমএলএম বা পনজি যেভাবে কাজ করে সেই আদলেই চলে ইউএস কম্যুনিটি ট্রেডের প্রতারণাও। বিনিয়োগের অল্প কিছুদিনের মধ্যেই মুনাফা পাওয়া যাবে এমন লোভ দেখানো হতো।
মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, তাদের ওয়েবসাইটে ছিল, অ্যাপ ছিল। সেই অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং বা ব্যাঙ্ক এর মাধ্যমে তারা টাকা নিতো। পরে স্থানীয় এজেন্টরা সেটি বাইরে পাচার করতো। বাংলাদেশে এসএসসি এবং এইচএসসি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মুনাফার লোভ দেখিয়ে টার্গেট করা হতো। মুন্সীগঞ্জের অনেক কিশোর এবং তরুণ এর শিকার হয়েছে।
চক্রটি উইইখ একাউন্ট ৭০১৭৪১৬১৫৮২৩৮, কুমিল্লা, ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংক-টমছম ব্রীজ, ইসলামী ব্যাংকের একাউন্ট নাম্বার ২০৫০১৩১০২০৯১৪৭০১৪ এবং ইরশধং, হধমধফ- ০১৪০৫৭১৫০৮৪ নাম্বারের মাধ্যমেই ভুক্তভোগিদের টাকা কব্জা করে নিয়েছে।
এ ব্যাপারে বিস্তৃত তদন্তের মাধ্যমে প্রতারকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগিরা।

ফাহিমসহ গডফাদাররা উধাও
ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের নামে প্রায় ২০ কোটি টাকা নিয়ে বন্ধ হয়েছে
us community trade
নামক একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটি মাল্টিলেভেল মার্কেটিং বা এমএলএম পঞ্জি মডেলে ব্যবসা করতো। ভারত ও বাংলাদেশ থেকে প্রতিষ্ঠানটিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিনিয়োগকারী ছিল। তবে এই ২০ কোটি টাকা এর মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ অর্থই বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীদের বলে অভিমত সাইবার বিশ্লেষকদের।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন একাধিক সাইবার বিশ্লেষক এবং সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ।
সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ আবদুল্লাহ আল জাবের বলেন, অনেকদিন থেকেই আমরা এই প্ল্যাটফর্মটি নিয়ে সতর্কতা দিয়ে আসছিলাম। কিন্তু মানুষ লোভের ফাঁদে পড়ে এখানে টাকা দিচ্ছিল। তিন দিন আগে জানতে পারি যে, এখানে যারা টাকা দিচ্ছিলেন তারা আর টাকা উঠাতে পারছিলেন না। আজ পুরোপুরিভাবে
us community trade (https:/ww/w.uscommunitytrad.com)
তাদের সিস্টেম বন্ধ করে দিয়েছে।
আরেক সাইবার বিশ্লেষক মাহবুবুর রহমান বলেন, এটা একটা স্ক্যাম। বাংলাদেশে তাদের কোন অফিস নেই,কোন নির্দিষ্ট জনকাঠামো নেই। স্থানীয় কিছু এজেন্টদের গ্রিন ডায়ামন্ড, বøæ ডায়ামন্ড লোভ দিয়ে তারা মানুষের থেকে টাকা নিতো। তারপর তাদেরকে আবার অন্য বিনিয়োগকারীদের আনতে বলতো। এমএলএম বা পনজি যেভাবে কাজ করে আর কি। ডেসটিনি যেমন গাছ দেখিয়ে টাকা নিয়েছে, এরা ক্রিপ্টোকারেন্সি ইনভেস্ট এর কথা বলে সাধারণ মানুষদের থেকে টাকা নিয়েছে। বিনিয়োগের অল্প কিছুদিনের মধ্যেই মুনাফা পাওয়া যাবে এমন লোভ দেখানো হতো।
মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, তাদের ওয়েবসাইটে ছিল, অ্যাপ ছিল। সেই অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং বা ব্যাঙ্ক এর মাধ্যমে তারা টাকা নিতো। পরে স্থানীয় এজেন্টরা সেটি বাইরে পাচার করতো। বাংলাদেশে এসএসসি এবং এইচএসসি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মুনাফার লোভ দেখিয়ে টার্গেট করা হতো। মুন্সীগঞ্জের অনেক কিশোর এবং তরুণ এর শিকার হয়েছে।
ভুক্তভোগিরা জানিয়েছেন, জনৈক মোহাম্মদ ইমরান শেখ, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ফাহিম এই প্রতারণার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। এদের সহযোগী হিসেবে মাহবুবুর রহমান সাদিক, আদনান ইউসুফ মিজুনসহ ১০/১২ জনের সংঘবদ্ধ একটি চক্র রয়েছে। তবে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তারা এখন দেশত্যাগের পাঁয়তারা চালাচ্ছে বলেও জানা গেছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম