কালব চেয়ারম্যানের স্বেচ্ছাচারিতা:বোর্ডের সাত সদস্যের পদত্যাগ

স্টাফ রিপোর্টার:
দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশ লি: (কালব) এর ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান আগষ্টিন পিউরীফিকেশনের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা,বিদ্যমান সমবায় আইন,বিধিমালা ও কালবের উপ-আইন উপেক্ষা করে এককভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহন,ঋণ বিতরনের মত মূল কার্যক্রম বাদ দেয়ার মাধ্যমে খেলাপী বানিয়ে সদস্য ক্রেডিট ইউনিয়নের মৃতবৎ অবস্থাকরণ এবং নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ এনে আজ ২৯ জুলাই ব্যবস্থাপনা কমিটি থেকে সাত জন সদস্য আজ পদত্যাগ করেছেন বলে জানাগেছে।
ব্যবস্থাপনা কমিটি থেকে পদত্যাগকারি সদস্যরা হচ্ছেন-ভাইস চেয়ারম্যান ফাহমিদা সুলতানা সীমা,সেক্রেটারী মো: আরিফ মিয়া,পরিচালক মো: আ: মান্নান লোটাস,ডা. নোয়েল চার্লস গোমেজ,মো: হেলাল উদ্দীন,আশীষ কুমার দাশ ও মো: আরিফ হাসান।
আজ দুপুরে সমবায় অধিদপ্তরে পদত্যাগী সাতজন সদস্য স্বশরীরে হাজির হয়ে;নিবন্ধক ও মহাপরিচালক শরীফুল ইসলামের সাথে দেখা করে পদত্যাগ পত্রের অনুলিপি প্রদান করেন। এবং তারা অতিদ্রুত সমবায় আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন ও নতুন নির্বাচন আয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্যে নিবন্ধকের প্রতি অনুরোধ জানান।আইন ও বিধি অনুযায়ী যথা সময়ে অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন ও নতুন নির্বাচনের ব্যবস্থা করার বিষয়ে নিবন্ধক আশ^স্ত করেছেন বলে সমবায় অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে।
সূত্রমতে, সমবায় আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী বোর্ডের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য পদত্যাগ করলে স্বয়ংক্রিয় ভাবে বোর্ড ভেঙ্গে যায়। তখন সমবায় অধিদপ্তর অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করে দেয়। অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি ১২০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচনের আয়োজনের ব্যবস্থা করে।
উল্লেখ্য, আগষ্টিন পিউরীফিকেশনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনে তার দুর্নীতির তদন্ত চেয়ে আবেদনের স্তুুপ জমেছে। অন্যদিকে কালবেও তিনি এতদিন সমবায় আইন,বিধি,কালবের উপ-আইন ও সুপ্রীম কোর্টের আদেশ লংঘন করে চেয়ারম্যান পদে অবৈধভাবে ছিলেন। তার পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে কনটেম পিটিশন দায়ের করা আছে। পিটিশন নং-২৭/২০২৪।

কু কর্মের গডফাদার অবৈধ অস্ত্র হাতে নুরু ধরাছোযার বাহিরে?

স্টাফ রিপোর্টারঃ
কড়াইল জুড়ে বিতর্কিত ভয়ংকর কিলার নুরু অবৈধ অস্ত্র হাতে আলোচিত আলামিন হত্যা মামলার আসামি প্রকাশ্যে ঘুরছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী চোখে ছাওনি কিছুই দেখছে না। রাজধানী ১৯ নং ওয়ার্ড কড়াইল বস্তি ওরা ভয়ংকর কিলার নামে চিহ্নিত,গ্যাস, বিদ্যুৎ, মাদক, জোয়ার বোর্ড নিয়ন্ত্রণ সহ নানার অপরাধ নিয়ে নুরুল সাম্রাজ্য। ১৯ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিব হামজার হত্যার কাণ্ডে জড়িত তো থাকার অভিযোগ রয়েছে নুরু ও তার সহযোগী জসিমের বিরুদ্ধে। এজাহার নাম ছিল হঠাৎ সেই নাম উধাও এমনটা জানিয়েছেন আলামিনের পরিবার। আল আমিন হত্যার পরও বুক ফুলিয়ে জন্মদিন পালন সহ আনন্দ উল্লাসে এলাকার দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন নুরু। জাতীয় প্রেসক্লাবের মানববন্ধন বিভিন্ন কর্মকর্তাদের কাছে গিয়ে আলামীনের মূল হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করাতে পারছে না পরিবারটি। কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছে কিন্তু মামলার মূল আসামি নূরু ওরফে নূরী আলম রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। মামলার বাদিয়া রয়েছেন আতঙ্কে দীর্ঘ পাঁচটি মাস হয়ে গেল চাঞ্চল হত্যা মামলার আসামির নুরুকে গ্রেফতার করছে না দায়িত্বগত কর্মকর্তারা। রহস্যময় কারণ কি স্থানীয়দের মাঝে এমনই প্রশ্ন জেগেছে। অভিযোগ করতেছেন নুরু প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায় কড়াইল এলাকায় পটোকল হিসেবে কড়াইল বস্তির ব্রিডিং ইনচার্জ এস আই মাহবুব মাহবুব ও কনস্টেবল সানোয়ার তাদের শেল্টারে নুরু বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। নুরুর সকল কুকর্মের সব অপরাধের জন্য সহযোগিতা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাহাবুব এর বিরুদ্ধে ।
পৃথবীর সৃষ্টির শুরু থেকে মানুষের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ, খুন-খারাবি হয়েই আসছে। কিন্তু এসব হত্যার ভেতর কিছু হত্যাকাণ্ড সত্যিই ভয়ংকর। পৃথিবীর বুকে এ রকম নৃশংস খুনের সংখ্যা একেবারেই কম নয়। সেসব খুনের বর্ণনা দেওয়া লোমহর্ষক ব্যাপার। শুধু একটা নয়, অবৈধ অস্ত্র হাতে তুলে সন্ত্রাসী তাণ্ডব মানুষকে করছেন বিভ্রান্ত। খুনিরা একের পর এক খুন করে নিজেদের নাম লিখিয়েছে সিরিয়াল কিলার হিসেবে।

সিরিয়াল কিলারঃ
যে একটার পর একটা খুন নির্বিঘ্নে সংগোপনে চালিয়ে যেতে পারে তাকে সিরিয়াল কিলার বলে। সিরিয়াল কিলাররা সাধারণত রাগ, উত্তেজনা, অর্থের প্রভাব ইত্যাদি কারণে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে থাকে। চলুন জেনে নিই পৃথিবীর ইতিহাসে ভয়ংকর সিরিয়াল কিলার যশোরে কুখ্যাত খুনি এরশাদ শিকদার সম্পর্কে।
এরশাদ শিকদার: বাংলাদেশের ইতিহাসে সিরিয়াল কিলারদের ভেতর তার নাম স্মরণাতীত। তার গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মাদারঘোনায়। পরবর্তীতে ১৯৬৬-৬৭ সালের দিকে সে খুলনায় চলে আসে জীবিকার সন্ধানে। প্রথম দিকে সে কুলির সহযোগী হিসেবে কাজ করে। এরপর আস্তে আস্তে ছোটখাটো চুরিচামারির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। এলাকায় রাঙ্গা চোরা নামে ডাকতে থাকে সবাই। চুরি করতে করতে একসময় যোগ দেয় খুনিদের সঙ্গে। একের পর এক খুন করতে থাকে সে। রাজসাক্ষী হয়ে আদালতকে তার দেহরক্ষিত চঞ্চল্যকর তথ্য দেন। জানায়, কমপক্ষে ৬০টি খুন করেছে সে। আদালতের কাছে সে ২৪টির হুবহু বর্ণনা তুলে ধরে। এরশাদ শিকদারের ছয়টি বিয়ের কথা জানা যায়। বহু নারীর নির্যাতনের খবরও দেয় রাজসাক্ষী সে জানায়, কৌশলে মিষ্টি ব্যবহার করে নারীদের তার আস্তানায় এনে নির্যাতন চালাত এরশাদ শিকদার। ১৯৯৯ সালে যখন সে গ্রেপ্তার হয়, তখন তার নামে মামলা ছিল ৩টি। এরপর তার নামে আরো ৪৩টি মামলা দায়ের করা হয়। সাতটি মামলায় তার ফাঁসির দণ্ডাদেশ হয় নিম্ন আদালতে। চারটি মামলায় হয় যাবজ্জীবন। ২০০৪ সালের ১০ মে মধ্যরাতে খুলনা জেলা আদালতে তার ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম