তুরাগে বিএনপি নেতা হাজী জহিরের উপর হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর তুরাগের বিএনপি নেতা হাজী জহিরের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে তুরাগের রাজাবাড়ি এলাকার আকবরের দোকানে গিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতা ও ৫৪ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে তুরাগ বিএনপির সভাপতি প্রার্থী হাজী জহিরের উপর হামলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির একই ওয়ার্ডের সভাপতি হাজী সফিক।
ঘটনার পর পেইজবুক লাইভে এসে দোকাদার আকবর এবং স্থানীয় বিএনপি নেতারা জানান, জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে বিএনপির এরশাদ, জমিরবক্সসহ সাবেক আওয়ামী দলীয় কাউন্সিলর যুবরাজের ক্যাডার বাহিনীর হোতা মোটা সেলিমসহ আরো কয়েকজন আকবর দোকানে গিয়ে মদ্যপ অবস্থায় গালমন্দ করে এবং চাদা না দিলে দোকান খুলতে দিবে না বলে হুমকি দেয়।
হুমকির পর দোকানদার বিএনপি নেতা হাজী জহিরকে ফোন দিলে তিনি ২ / ৩ জন নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তার উপর হামলা করা হয়। এসময় হাজী জহিরের উপর হামলার কথা শুনে স্থানীয় জনতা তাদের প্রতিরোধ করলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে হাজী জহির জানায়, তুরাগের বিভিন্ন এলাকায় আমাদের দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে চাদাবাজিসহ দখলের কারবার করছে, লুটপাট করছে। আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমানের নির্দেশনা মেনে স্থানীয় এসব চাদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিলে কতিপয় লোকের গায়ে আগুন লেগে যায়। তারপরও আমরা দলীয় পরিচয় ব্যবহারকারী এসব খারাপ লোকদের প্রতিহত করবো।
হামলার বিষয়ে ৫৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সম্পাদক জাহাঙ্গীরের বক্তব্য জানার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে তুরাগের বিভিন্ন এলাকায় দখল, রাস্তাঘাট ফুটপাতের টাকা তোলাসহ নানা অপকর্ম করে যাচ্ছে কতিপয় পদধারী নেতা। তাদের থাবা থেকে বাদ যাচ্ছে না বিভিন্ন বাজার, ডিস ইন্টারনেট ব্যবসাও। আরো জানাগেছে, গত দুই দিনে উত্তরা নতুন সেক্টরের জলাধার থেকে মাছ বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে ছাত্রদলের এক সম্পাদকের বিরুদ্ধে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন দায়িত্বশীল বিএনপি নেতা জানান, তুরাগ যুবদলের সাবেক নেতা তন্ময় মামুন, ছাত্রদল তুরাগ থানা সম্পাদক জাকিরসহ সংঘবদ্ধ একটি চক্র অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে দলের ব্যপক বদনাম করছে। এর বাহিরে গোটা উত্তরায় যুবদলের সাবেক ও বর্তমান কিছু নেতার বিরুদ্ধে একাধিক সংবাদ প্রচার ও নানা অভিযোগ আসলেও দলের নেতারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। তিনি আরো জানান, এসব অপকর্ম বন্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে দখল চাদাবাজি বন্ধের নির্দেশনা বার বারই ব্যর্থ হচ্ছে। দল হিসেবে বদনাম হচ্ছে আমাদের বিএনপির। যা কারোর জন্যই ভালো হচ্ছে না।

প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

ডেস্ক রিপোর্ট:

রাজধানীর কাকরাইলে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।

তবে, কে বা কারা এই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে এবং এতে কেউ হতাহত হয়েছে কি না, তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

এর আগে, রোববার (৬ জুলাই) রাতে রাজধানীর মহাখালী ও ফার্মগেট এলাকায় তিনটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এরমধ্যে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফার্মগেট-সংলগ্ন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিচে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, রাতে হঠাৎ এসে রাস্তায় দুটি ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। এর একটি বিস্ফোরিত হলেও আরেকটি অবিস্ফোরিত থেকে যায়। পরে ফুটপাতের এক আম বিক্রেতা পা দিয়ে ককটেলটি সরাতে গেলে সেটি বিস্ফোরিত হয়ে তিনি আহত হন। পরবর্তীতে খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

এ ছাড়াও রোববার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে মহাখালীর এসকেএস টাওয়ারের সামনে আরও একটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে, এ ঘটনায় কেউ হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মহাখালী ফ্লাইওভার থেকে ককটেলটি নিচে ফেলা হয়েছিল

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম