বরিশালে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মিজানের কেলেংকারী

বরিশাল প্রতিনিধি:

বরিশালের ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তার ঘুষ বাণিজ্য ও ত্রান আত্মসাৎ কেলেঙ্কারি নিয়ে ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

সম্প্রতি দেশব্যাপী বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ায় চরম দুর্ভোগের মুখে পড়ে মানুষের জীবনযাত্রা। ঠিক সেই সময় বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের ডিডি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বরিশাল বিসিক শিল্পনগরীর বেঙ্গল বিস্কুট সংগ্রহ করে বন্যার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ না করে আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠে। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী কর্মকর্তারা লুকিয়ে রাখা ত্রাণের বিস্কিট নিজেদের সংগ্রহে নিয়ে বন্যার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ করেন বলে ফায়ার সার্ভিসের একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে।

এছাড়াও কর্মরত একজন রিভারের এসও এর বিরুদ্ধে মিথ্যা রিপোর্ট দেয়ার ভয় দেখিয়ে, বদলি ঠেকানোর জন্য প্রায় চার লক্ষ টাকা ঘুষ গ্রহণের বিষয়ে অভিযোগ এসেছে সংবাদ মাধ্যমের হাতে।

এছাড়া অসংখ্য ঘুষ কেলেঙ্কারের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব কাজে তার সহযোগী হিসেবে অধীনস্থ কর্মকর্তা ও সাবেক কর্মকর্তা সহ বেশ কয়েকজনের নাম শুনা যাচ্ছে।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে মিজানুর রহমান জানান, বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি মাত্র।

স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত ২ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ আহত ৫ জন

স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত ২ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ আহত ৫ জন

বরিশাল সংবাদদাতা:

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১০ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ ক্যাম্পাসে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া মহিউদ্দিন রনিসহ উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত পাঁচজনকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান, রাফি, সিফাত ও সুহানের নাম পাওয়া গেছে।

পুলিশ প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতদের সূত্রে জানা গেছে স্বাস্থ্যখাতে সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনের ১৪তম দিনে বিকেলে নগরীর নথুল্লাবাদ এলাকায় দুই গ্রুপ শিক্ষার্থীর মধ্যে সিনিয়র-জুনিয়র এবং ধূমপানকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। এতে নারী নেত্রীসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরাও জড়িত ছিলেন। ওই ঘটনায় সেনাবাহিনী লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে উত্তেজনা প্রশমনে রাতে বিএম কলেজে দুই পক্ষ সমঝোতার বৈঠকে বসে। তবে বৈঠক চলাকালে আবারো হাতাহাতি ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা। এসময় বেশ কয়েকজন আহত হন।

মহিউদ্দিন রনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভে অভিযোগ করেন, আন্দোলন বানচাল করার জন্যই তাদের ওপর হামলা হয়েছে। এর আগে একই দিন দুপুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়েও হামলা চালানো হয় বলে দাবি করেন তিনি। বিএম কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শেখ তাজুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল জেলার সাবেক আহ্বায়ক সাব্বির হোসেন জানান, নথুল্লাবাদে মারামারির ঘটনার জেরেই বিএম কলেজে সংঘর্ষ হয়েছে, যা মূলত সিনিয়র-জুনিয়র ইস্যু থেকে শুরু।

শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মশিউল মুনীর জানান, আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক কেউ নেই। কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনা কলেজ ক্যাম্পাসের ভেতরে ঘটায় অনুমতি ছাড়া পুলিশ প্রবেশ করেনি। তবে হাসপাতাল ও ক্যাম্পাস এলাকায় খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম