গোপালগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু, কথিত ডাক্তার রানা আটক

মোল্লাহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ

গোপালগঞ্জে কথিত ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় অহিদা বেগম (৬২) নামের এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে  গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চর গোবরা এলাকায় ঢাকা – খুলনা মহাসড়কের পাশে মা মমতা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় কথিত ডাক্তার এম এস এইচ রানা’কে হাতেনাতে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেছে গোপালগঞ্জ থানা পুলিশ।

ভুল/অপচিকিৎসায় মৃত্যুর শিকার অহিদা বেগম বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার কুলিয়া বড়ঘাট এলাকার ইকু মোল্লার স্ত্রী।

অহিদা বেগমের ছেলে রানা মোল্লা জানান , বুকের ব্যাথা জনিত কারণে তার মা অহিদা বেগমকে সোমবার দুপুরে ওই কথিত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা, ১০০০ টাকা পরামর্শ ফি নেন কথিত ডাক্তার এম এস এইচ রানা। মায়ের হার্টের সমস্যা গুলো শুনে ১০ দিনের ঔষধও দেন তিনি। দুইদিন যাবত ওই ঔষধ খাওয়ার পরও সুস্থ না হওয়ায় মুঠোফোনে ডাক্তারের সাথে তারা কথা বলে। তখন তার মাকে পুনরায় উক্ত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে নিয়ে আসতে বলেন কথিত ডাক্তার রানা। এরপর নেয়া হলে কোন প্রকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই রোগীকে সুস্থ করে তুলতে ২১ হাজার টাকা মূল্যের একটি ইঞ্জেকশন দিতে হবে বলে জানায় কথিত ওই ডাক্তার। কোন প্রকার পরীক্ষা না করে ওই ইনজেকশন দিতে নিষেধ করেন রোগীর ছেলে। কোন কথার গুরুত্ব না দিয়ে হার্টের রোগী অহিদা বেগম’কে HCG- 1M (হরমোন) একটি ইঞ্জেকশন পুশ করে ডাক্তার। উক্ত ইঞ্জেকশন পুশ করার ৪ মিনিটের মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন অহিদা বেগম। এসব কথা বলতে গিয়ে বারবার কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন অহিদা বেগমের ছেলে রানা মোল্লা।

অপচিকিৎসায় মৃত্যুর ওই ঘটনায় ভিকটিম পরিবারের সদস্যদের প্রতিবাদের একপর্যায়ে ওই স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে উপস্থিত হয় স্থানীয় লোকজন ও গোপালগঞ্জ থানা পুলিশ। তখন সকলের কাছে প্রতিয়মান হয় যে, ডাক্তার না হয়েও নিজেকে অনেক বড় মাপের ডাক্তার বলে পরিচয় দেন এম এস এইচ রানা। একইসাথে নিজেই ফার্মাসিস্ট এবং রোগিদের সকল ঔষধ নিজেই সরবারহ করেন। উল্লেখ্য, তিনি যৌন উত্তেজক এবং গর্ভধারণ সহায়ক হরমোনের ঔষধ দ্বারা মহিলা রোগীর চিকিৎসা দিয়ে থাকেন বলেও জানাযায়। এই রানা একজন ভুয়া ডাক্তার সে ঢাকার সাভার এলাকায় বেশ কয়েকবছর অপচিকিৎসার ব্যবসা করে আসছিলো আওয়ামী নেতা ও কথিত সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে অপকর্মের কারনে এলাকাবাসী গণধোলাই দিলে পালিয়ে জীবন বাঁচায়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি (তদন্ত) জানান, অপচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় ডাক্তার (পরিচয়) এম এস এইচ রানাকে ঘটনার রাতেই আটক করা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ভিকটিম পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায় নি বলেও জানান তিনি।
এঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান স্থানীয় ইউপি সদস্য সাব্বির হোসেন শিবলী ও মোল্লাহাটের কুলিয়া বড়ঘাট এলাকার মোঃ তরিকুল ইসলাম (বিএনপি নেতা) সহ অনেকে।

ডাঃ এম এস এইচ রানা জানান, তিনি ভেবেছিলেন এই ইনজেকশন দিলে শরীরে শক্তি ফিরে পাবে, তাই ২১ হাজার টাকা মূল্যের HCG- 1M (হরমোন) একটি ইঞ্জেকশন পুশ করেন। অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রোগীর আপনজনদের থেকে লিখিত না নিলেও মৌখিক অনুমতি নিয়ে এটি পুশ করা হয়েছে। এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রভাবিত করার প্রস্তাবও দেন তিনি।
#

সিলেবাস সংস্কারে রেমিট্যান্স বাড়বে ১০০ বিলিয়ন ডলার

স্টাফ রিপোর্টার: 

গাজীপুরে অবস্থিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ্‌ বলেছেন, শুধুমাত্র তথ্য প্রযুক্তির সিলেবাস সংস্কারের মাধ্যমে আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশের ১০০ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স বাড়ানো সম্ভব। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে আইসিটি সিলেবাস সংস্কার এবং কর্মমুখী শিক্ষার চর্চা শুরু করলে দেশ থেকে বাইরে যাওয়া দক্ষ জনশক্তি অন্তত দ্বিগুণ রেমিট্যান্স দেশে পাঠাতে পারবে। কোনো ধরনের সরকারি সহযোগিতা ছাড়াই নিজ উদ্যোগে দেশের ফ্রিল্যান্সারগণ ফ্রিল্যান্সিংয়ে দেশকে দ্বিতীয় স্থানে উন্নীত করেছেন। গার্মেন্টস শিল্পের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক সম্ভাবনা তৈরি করেছে ফ্রিল্যান্সিং। সম্ভাবনাময় এ শিল্পে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সব দিক থেকে পাশে থাকবে বলেও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন উপাচার্য। গতকাল ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (আইএসটি)তে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেছেন। ড. আমানুল্লাহ্‌ বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত প্রায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আইসিটির সিলেবাস সংস্কারের কাজ চলমান। এ লক্ষে দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বিদেশি টেকনিক্যাল এডুকেশন বোর্ডগুলোর সঙ্গে ইতোমধ্যে একাডেমিক আলোচনা শুরু করেছে। এছাড়াও তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বিভিন্ন ইন্সটিটিউট, ল এবং বিএড কলেজগুলোতে পড়াশোনার মান উন্নয়ন এবং মনিটরিং বৃদ্ধির ব্যাপারে সতর্ক করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. নুরুল ইসলাম, গ্রীন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের প্রফেসর ড. মো. শরীফ উদ্দিন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন- ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের সাবেক ডীন ইমেরিটাস প্রফেসর ড. শাহিদা রফিক। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মাহমুদা জামান, ইন্সটিটিউটের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং বিভাগীয় প্রধানগণ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- অধ্যক্ষ অধ্যাপক এম. এ. মজিদ। শেষে অতিথিবৃন্দ সফটওয়্যার-হার্ডওয়্যার প্রজেক্ট এক্সিবিশন অ্যান্ড পোস্টার প্রেজেন্টেশনে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

 

সবা:স:জু- ২৮৯/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম