তারিখ লোড হচ্ছে...

গণঐক্যকে ষড়যন্ত্র করে নষ্ট করা যাবে না: জাহিদ

স্টাফ রিপোর্টার ॥

গণঐক্যকে ষড়যন্ত্র করে নষ্ট করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা এজেডএম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে সরাতে জুলাই আগস্টে দেশের মানুষের মাঝে যে ঐক্য তৈরি হয়েছে সে ঐক্যে ফাটল ধরানো যাবে না।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) শৃঙ্খলা উপ কমিটির সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক দিন। দিবসটির এবারের তাৎপর্য ও গুরুত্ব অনেক বেশি। তাই ৭ নভেম্বর উপলক্ষে বিএনপির র‌্যালিতে নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণ অংশ নিবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইদুল আলম বাবুল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, বিএনপির সহ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য ওমর ফারুক শাফিন, হায়দার আলী লেলিন, একরামুজ্জামান বিপ্লব, আকরামুল হাসান, হাবিবুর রশিদ হাবিব, ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, আব্দুল সাত্তার পাটোয়ারী, রাশেদ আহমেদ প্রমুখ।

ডা. জাহিদ বলেন, ছাত্র জনতার আন্দোলনকে আমরা শ্রদ্ধা করি। কিন্তু কিছু লোক গণ মানুষের আন্দোলনকে নিয়ে নানা কথা বলছেন। এবারের ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে আমাদের ৪৭২ জন নেতাকর্মী জীবন দিয়েছেন। বিগত ১৭ বছরে হাজার হাজার নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। গুম, খুন ও নিপীড়নের শিকার হয়েছেন।

তিনি বলেন, এখনও আমরা মামলা থেকে রেহাই পাইনি। খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ লাখ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে এখনও মামলা রয়েছে। এখনো আমাদের অনেক নেতাকর্মী কারাগারে রয়েছে। সুতরাং ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে যে লড়াই চলছে। দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত না করা পর্যন্ত নেতাকর্মীরা রাজপথে থাকবে।

সবা:স:জু-২৫/২৪

 

টঙ্গীর ইজতেমা মাঠের উত্তেজনা ঢামেকেও, সেনাবাহিনী-পুলিশ মোতায়েন

স্টাফ রিপোর্টার:

টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠের দখলকে কেন্দ্র করে সাদ ও জুবায়েরপন্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার জের এসে পড়ছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক)। সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে ৪০ জনকে ঢামেকে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে একজনকে মৃত ঘোষণা করেছেন চিকিৎসক। পরে সেখানেও দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ অবস্থায় হাসপাতালে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেনাবাহিনী, র‍্যাব ও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

জানা যায়, ঢাকা মেডিকেলে আহতদের আনা হলে তাদের মধ্যে বেলাল হোসেন (৫৫) নামে একজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আহতদের মধ্যে একজন জরুরি বিভাগের ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি অ্যান্ড ক্যাজুয়াল্টিতে (ওসেক) লাইফ সাপোর্টে আছেন।

এদিকে সকাল থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঢামেক হাসপাতালের ভেতরে কয়েক দফায় সাদ ও জুবায়েরপন্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পরে হাসপাতালে সেনাবাহিনী, র‍্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

জুবায়েরপন্থী সমর্থকরা জানান, আজ সমন্বয়কসহ সকালে দুই গ্রুপের মিটিং হওয়ার কথা। কিন্তু সাদপন্থীরা ইজতেমা মাঠে ঢুকে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা জোর করে ইজতেমা মাঠে ঢুকে ঘুমন্ত মানুষের ওপর হামলা চালায়।

জানতে চাইলে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, টঙ্গী এলাকা থেকে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় হাসপাতালে এখন পর্যন্ত আহত ৪০ জন এসেছেন। এদের মধ্যে বেলাল হোসেন নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। একজন জরুরি বিভাগের ওসেকে লাইফ সাপোর্টে আছেন।

এদিকে তাবলীগ জামাতের জুবায়ের ও সাদপন্থিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় টঙ্গীতে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে তিনজনে দাঁড়িয়েছে। মাওলানা জুবায়ের অনুসারীদের মিডিয়া সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে, বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোরে ইজতেমা ময়দানের বিদেশি নিবাসের ছাউনিতে এ ঘটনা ঘটে।

 

সবা:স:জু- ৩৯৮/২৪

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম