বিএনসিসির সহায়তায় দেশ নিরাপদ জায়গায় এসেছে

স্টাফ রিপোর্টার: 

সাভার থেকে,আলী রেজা রাজু:পাঁচ আগষ্টের পর বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) যেভাবে সহয়তা করেছে তাতে দেশ এখন একটা নিরাপদ জায়গায় এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সাভারের বাইপাইল এলাকায় বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) ট্রেনিং একাডেমির একাডেমিক ভবন উদ্বোধন শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে বিএনসিসি সেনা, নৌ ও বিমান শাখার একদল চৌকষ ক্যাডেটবৃন্দ সম্মানিত সেনাবাহিনী প্রধানকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। গার্ড অব অনার গ্রহণ ও উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন সমাপনান্তে সম্মানিত সেনাবাহিনী প্রধান বিএনসিসি ট্রেনিং একাডেমিতে বৃক্ষরোপন করেন এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন।

এরপর তিনি বিএনসিসিতে কর্মরত সামরিক অফিসার (সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী), বিএনসিসি অফিসার (বিএনসিসিও), প্রফেসর আন্ডার অফিসার (পিইউও), টিচার আন্ডার অফিসার (টিইউও) ও বিএনসিসি ক্যাডেটদের মাঝে তাঁর স্বাগত ভাষণ ও দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।

বক্তব্যের শুরুতে সেনাবাহিনী প্রধান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বিএনসিসি ক্যাডেটসহ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এবং গত জুলাই-আগস্ট এর বৈষ্যম্যবিরোধী আন্দোলনে সকল ছাত্র জনতার আত্মত্যাগকে। সশস্ত্র বাহিনীর পাশাপাশি দেশের নিরাপত্তা এবং শৃঙ্খলা রক্ষা ও দেশের যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে বিএনসিসি ক্যাডেটদের অগ্রণী ভূমিকা পালনের উপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন। একই সঙ্গে তিনি সামাজিক ও জাতীয় পর্যায়ে বিএনসিসি ক্যাডেটদের অগ্রণী ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং এই সংস্থার সকল সদস্যকে অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন।

এর আগে, সকালে কোর অব মিলিটারি পুলিশ সেন্টার (সিএমপি) কোরের বাৎষরিক অধিনায়ক সম্মেলন ২০২৪ যোগ দেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম, এ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মোঃ মাসুদুর রহমান, ৯ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং মেজর জেনারেল মো. মঈন খান, বিএনসিসি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মিজানুর রহমান, এবং বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ বিএনসিসির সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

 

সবা:স:জু-২০২/২৪

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টারঃ

পর্দা উঠলো ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৯তম আসরের। ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিন সকালে পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিসিএফসি) এ মেলা উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা জানান, ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার প্রস্তুতি সারা বছর ধরে চলবে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে জানা যায়, এবারের বাণিজ্য মেলায় বিশ্বের সাতটি দেশের ১১টি প্রতিষ্ঠানসহ মেলায় থাকছে ৩৬২টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানকে প্রাধান্য দিয়ে হবে জুলাই চত্বর, ছত্রিশ চত্বর ও তারুণ্যের প্যাভিলিয়ন। ই-টিকিটের ব্যবস্থা থাকায় প্রবেশ পথে রয়েছে ভিন্ন ব্যবস্থা। মাসব্যাপী এ মেলা সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। আর সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত।

এবছর প্রথমবারের মতো অনলাইনে বিভিন্ন ক্যাটাগরির স্টল বা প্যাভিলিয়ন স্পেস বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বিআরটিসির ডেডিকেটেড বাস সার্ভিসের পাশাপাশি যুক্ত হচ্ছে বিশেষ ছাড়ে উবার সার্ভিস।

মেলায় সম্ভাবনাময় সেক্টর বা পণ্যভিত্তিক সেমিনার আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এ বছর। বিদেশি উদ্যোক্তা বা প্রতিষ্ঠানের সুবিধার্থে থাকছে স্বতন্ত্র সোর্সিং কর্নার, ইলেকট্রনিক্স ও ফার্নিচার জোন। বয়সভিত্তিক দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে তৈরি করা হয়েছে প্রযুক্তি কর্নার, সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য সিটিং কর্নার। শিশুদের নির্মল চিত্তবিনোদনের জন্য মেলায় থাকছে শিশু পার্কও।

এছাড়া মেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের সম্মানার্থে তৈরি করা হয়েছে জুলাই চত্বর ও ছত্রিশ চত্বর। সেই সঙ্গে দেশের তরুণ সমাজকে রপ্তানি বাণিজ্যে উদ্বুদ্ধকরণে তৈরি করা হয়েছে ইয়ুথ প্যাভিলিয়ন।

 

সবা:স:জু- ৫৮২/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম