পেট্রোবাংলার পরিচালকসহ ২০ জনকে দুদকে তলব

নিজস্ব প্রতিবেদক॥
দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পেট্রোবাংলার পরিচালক (পরিকল্পনা) আইয়ুব খান চৌধুরীসহ ২০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে তিতাস গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের কর্মকর্তারাও রয়েছেন। তাঁদের আগামী ৫ থেকে ৯ সেপ্টেম্বর হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরিফ সাদেক সোমবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে তিতাস গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের ১০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। তাঁদের দেওয়া বক্তব্য ও নথিপত্র যাচাই করা হচ্ছে। এখন নতুন করে আরও ২০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে তিতাস গ্যাসের সিনিয়র সুপারভাইজার হারুন-অর রশিদ, সিনিয়র বিক্রয় সহকারী ফয়েজ আহমেদ, সিবিএর সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ, সিবিএ নেতা জাকির হোসেন ও সহকারী কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনকে ৫ সেপ্টেম্বর তলব করা হয়েছে।

এ ছাড়া তিতাস গ্যাসের উপব্যবস্থাপক আনিসুজ্জামান, মো. আবদুল মান্নান, পার্সেল শাখার ব্যবস্থাপক হাসিবুজ্জামান, করপোরেট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মাহামুদুর রব ও করোশন কন্ট্রোল শাখার ব্যবস্থাপক আবু বকর সিদ্দিকুর রহমানকে ৬ সেপ্টেম্বর; পেট্রোবাংলার পরিচালক আইয়ুব খান চৌধুরী, তিতাস গ্যাসের কম্পিউটার অপারেটর মো. মিজানুর রহমান ও জাকির হোসেনকে ৭ সেপ্টেম্বর এবং তিতাস গ্যাসের সাবেক পরিচালক খান মইনুল মোস্তাক, প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী মহরম আলী, মো. আবু সাঈদ, মো. মফিজ, মো. মানিক মিয়াকে ৮ সেপ্টেম্বর তলব করা হয়েছে।

 

সমাজকল্যাণ সচিব খাইরুল আলম শেখ এর নিয়োগ ও পদোন্নতি বানিজ্য চলছে

স্টাফ রিপোর্টার:

গত ৫ আগষ্ট, ২০২৪ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফলে বাংলাদেশ দ্বিতীয় বারের মতো স্বাধীন হয়েছে।
তবে, এখনো সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রনালয়/দপ্তর সংস্থায়
গাপটি মেরে খোলস বদলে বহাল তবিয়তে অন্তবর্তী কালীন সররের মধ্যে ডুকে পরেছে আওয়ামী দালাল। এরই একজন সমাজকল্যাণ সচিব খায়রুল আলম শেখ। তার নিজ জেলা ফরিদপুর, মধুখালি উপজেলায়। শোনা যাচ্ছে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনার দুই কোটি টাকার বিনিময়ে ১৩ ব্যাচের অতিরিক্ত সচিব থেকে পদোন্নতি দিয়ে সচিব বনে যান খায়রুল আলম শেখ। অথচ তার নিয়ন্ত্রিত কিংবা অধিনস্ত সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক তিনি ১১ ব্যাচের কর্মকর্তা। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তিনি সচিব হয়েছেন। খায়রুল আলম শেখ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে যোগাদানের পর হতেই বিভিন্ন অনিয়ম, দূর্ণীতি, টেন্ডার বানিজ্য, নিয়োগ বানিজ্য, পদেোন্নতি বানিজ্য, বদলী বানিজ্যের মহা উৎসবে রূপ নিয়েছে। তার এই এই কাজে দোসর হিসেবে সহযোগীতা করে যাচ্ছে একই মন্ত্রণালয়ে কর্মরত তার পিএস রুহুল কুদ্দুস তালুকদার, গত ২ মাস আগে তাকে দূর্ণীতির দায়ে বদলী করা হলেও তিনি এখনো সেখানে যোগদান না করে খায়রুল আলমের বিভিন্ন অপকর্মে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। এছাড়া, একই মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব, সারোয়ার হোসেন, উপসচিব, নাজমুল হোসাইন। এছাড়া সমাজসেবা অধিদফতরে রয়েছে তার এক ভয়াবহ সিন্ডিকেট উক্ত সিন্ডিকেটে রয়েছেন– নুরুল হুদা, সহকারী পরিচালক, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, ফরিদপুর, আব্দুর রশিদ, সহকারী পরিচালক, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, শরীয়তপুর এবং মোঃ আব্দুল মান্নান, সহকারি পরিচালক (প্রশাসন-২) সমাজসেবা অধিদফতর সদর কার্যালয়, ঢাকা। এরা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তাকে দিয়ে বিভিন্ন অবৈধ ও অনৈতিক কাজ করিয়ে থাকেন।
নতুন উপদেষ্টা নিয়োগপ্রাপ্ত হলেও তার চোখ আড়াল করে এসব অনিয়ম ও দূর্ণীতি করে যাচ্ছে। সরকার যেখানে নিজেদের অবস্থান তৈরী করতে মরিয়া ঠিক সেই সময় খুব তাড়াহুড়ো করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে জনপ্রতি ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে গত ২২ আগষ্ট ৩০ জন সহকারী পরিচালককে পদ না থাকা সত্ত্বেও উপপরিচালক পদে পদোন্নতি দেয়ার জন্য মরিয়া। আগামী রবিবার এবং সোমবারের মধ্যে উক্ত পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন জারি হবে বলে শুনা যাচ্ছে। খায়রুল আলম শেখ শুধু নিজেই বিভিন্ন অনিয়মের সাথে যুক্ত তা-ই নয়। তার স্ত্রী এ বিষয়ে আরো বেপরোয়া। তিনি বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থায় সরাসরি ফোন দিয়ে ঘুষ, বানিজ্য লিপ্ত। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখতে শেখ হাসিনার দালাল ভারতীয় এজেন্ট খায়রুল আলমদের চাকরিচ্যুত করা সময়ের দাবি। না হলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সুফল জনগন পাবে না।

এবিষয়ে বার বার যোগাযোগ করেও মন্তব্য জানা জায়নি এমনকি ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম