সিটি র্কপোরেশনের সুইপারও আজ কোটি কোটি টাকার মালিক

স্টাফ রিপোর্টার॥
ঢাকা দক্ষিন সিটি র্কপোরেশনের নারী সুইপার পরশ এখন কয়েক কোটি টাকার মালিক। রাজধানীর কদমতলী থানা এলাকার দৌলতপুর পাকার মাথা রয়েছে তার ১০ কাটার ২য় তলা বাড়ী বাড়ি,কদমতলী মসজিদ সংলগ্ন ২ টি বাড়ী, ধলপুরে একাধিক প্লট। তার নামে-বেনামে রয়েছে আরও কয়েক কোটি টাকার সম্পদসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। জানাযায় সিটি র্কপোরেশনের তেল চুরির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে রয়েছে তার বিরুদ্ধে। দৈনিক চুক্তি ভিত্তিক একজন র্কমচারী হয়ে কিভাবে এতো সম্পদের মালিক হলেন এ প্রশ্ন এলাকাবাসীর।

 

একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর বিশাল সাম্রাজ্য

ডেস্ক রিপোর্ট:

নিজের দুর্নীতি ঢাকতে এভাবেই জোরপুর্বক টাকা দিয়ে সংবাদ প্রচার না করার অনুরোধ করেন, ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মনির হোসেন।

বেতন মাত্র ৩০ হাজার টাকার কম হলেও গড়ে তুলেছেন রাজধানীর বহুতল ভবনে সাতটি ফ্ল্যাট, ২০ কাঠার অধিক জমিসহ ২০ টি দোকানের মার্কেট। দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত এসব সম্পদ শুধু নিজের নয় স্ত্রী, শ্যালক ও ভায়রাসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নামে গড়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ যেন আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপের ছোঁয়ায় এত সম্পদের মালিক বনে গেছেন তিনি। একজন সার্ভেয়ার জাতীয় বেতন স্কেলের ১৪ তম গ্রেডের কর্মচারী। যার বেতন সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা। যদি ২০ বছর চাকরি করেন তারপরও বেতন-বোনাস মিলিয়ে ৭০ লাখও হবে না। তবে এত সম্পদ কীভাবে হল তার?

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার ভূমি অফিসে কর্মরত সার্ভেয়ার মনির হোসেন। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার কৃষ্ণপুরে। আগে ঢাকা জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের এল এ শাখায় কর্মরত ছিলেন। সেখানে দুর্নীতির অভিযোগে তাকে স্ট্যান্ রিলিজ করে ময়মনসিংহ জেলায়। কিন্তু অবৈধ অর্থ ও ক্ষমতার জোরে আবারও ঢাকায় বদলি হয়ে আসেন তিনি। পরেই অনিয়ম দুর্নীতিতে মেতে ওঠেন আবারো।

দুর্নীতির শীর্ষে থাকা সার্ভেয়ার মনিরের মুখোমুখি হতে নবাবগঞ্জ ভূমি অফিসে যায় দেশ টিভি। এসময় তার সাথে কথা বলতে অপেক্ষা করতে হয় বেশ কিছুক্ষণ। একপর্যায়ে দেখা মিললেও ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি। এমনকি ভিডিও করতেও বাঁধা দেন তিনি।

ক্যামেরা বাহিরে রেখেই কথা হয় মনিরের সঙ্গে। রাজধানীর শান্তিবাগ এলাকায় রোজ গার্ডেন ভবনে একাধিক ফ্ল্যাট। ড্যামরার হাজি মিয়া রোডে গ্রিন কটেজ-১ ও গ্রিন কটেজ ২-এ তিনটি ফ্ল্যাট, একই এলাকায় দেড় কোটি টাকা মুল্যের পাঁচ কাঠায় প্লট, সাত কাঠা জমিতে নির্মিত ২০টি দোকান এবং একই এলাকায় গ্রিন কটেজ-৪ ভবনে একাধিক ফ্লাটের প্রশ্ন করতেই এ সবকিছুই অস্বীকার করেন তিনি।

এসময় নিজের দুর্নীতি ঢাকতে, এভাবেই জোরপূর্বক টাকা দিয়ে সংবাদ প্রচার না করার অনুরোধ করেন মনির হোসেন।

ক্যামেরার সামনে অনেকে কথা বলতে রাজি না হলেও ক্যামেরার পেছনে কথা বলছেন মন খুলে।

২০২৩ সালের ১৫ মে দুদকের মুখোমুখি হয়েছিলেন সার্ভেয়ার মনির। এর পর সোচ্চার হয়ে, রাজনৈতিক ব্যক্তির ছত্রছায়ায় থেকে নিজের নামের সম্পদ গুলো আত্মীয়দের নামে রেখেছেন তিনি। সেই সঙ্গে নিজের জমিতেও প্রভাবশালীর নামে লাগিয়েছেন সাইনবোর্ড ।

একপর্যায়ে, ড্যামরা থানা বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দেওয়া সালাউদ্দিন সুমন ফোন দিয়ে, নিউজটি না করার অনুরোধ করেন। এবং বসেই সব সমস্যার সমাধানের কথা জানান তিনি।

দুর্নীতির মাধ্যমে নামে-বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন সার্ভেয়ার মনির। তবুও চাকরিতে এখনো সক্রিয় রয়েছেন তিনি। তবে তার এই সম্পদের দ্রুত তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান অনেকে।

 

 

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম