প্রতারক হারিজের কারখানায় ভেজাল সার উৎপাদনে বহাল,খুঁটির জোর কোথায়?

মোঃ ইব্রাহিম হোসেন:

সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুর উপজেলার গাঁড়াদহ ইউনিয়নের মশিপুর পশ্চিম পাড়ায় অবস্থিত হারিজ এগ্রো কেয়ার নামক একটি প্রতিষ্ঠানে ভেজাল উপকরণে উৎপাদন করা হচ্ছে নকল সার!

একাধিক দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরও তার মালিকানাধীন হারিজ এগ্রো কেয়ার নামক কারখানায় ভেজাল সার উৎপাদনে বহাল!! এ যেনো দেখার কেউ নাই?

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হারিজ এগ্রো কেয়ার কারখানায় সবুজ বাংলাদেশের অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে হারিজ এগ্রো কেয়ার এর ভেজাল উপকরণে উৎপাদন করা নকল সারের তথ্য প্রমাণ।
কোন নিয়মনীতি তোয়াক্কা করছে না। অনুমোদনহীন ভাবে চালাচ্ছে হারিজ এগ্রো কেয়ার!

সরজমিনে কারখানা ও গোডাউনের ভিতরে দেখা যায়, বস্তায় বস্তায় রাখা পথর, চুন,মাটি ও সিমেন্ট যা দিয়ে উৎপাদন করা হচ্ছে ডিএসপি ও কীটনাশকসহ বিভিন্ন সার,দেশের নামি-দামি ব্র্যান্ডের মোড়ক ব্যবহারে,দেখতে একবারে অরিজিনাল মত এরপর ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বাজারে।

লোক-চোখের অন্তরালে হারিজ এগ্রো কেয়ার এমন অনিয়ম ও প্রতারণা করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।সার উৎপাদন করার আড়ালে চলছে কৃষকের কষ্টের আবাদি জমির ফসল ধ্বংস করার মহা উৎসব।

পাথর,মাটি,চুন ও সিমেন্ট এইসব ভেজাল উপকরণ দিয়ে উৎপাদন করা নকল সার সহজ সরল কৃষকেরা তাদের ফসলি জমিতে ব্যবহার করেছে। এতে করে ক্ষতি হচ্ছে কৃষকের জমিতে কষ্টে ফলানো সোনার ফসল।

কথিত সাংবাদিক প্রতারক হারিজ কখনো উপজেলা কৃষি অফিসার,কখনো থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আবার কখনো উপজেলা নির্বাহী অফিসার( ইউএনও) আবার কখনো প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এছাড়া সরাসরি বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছবি তুলে নিজের ফেসবুক আইডিতে প্রকাশ করে সাধারণ মানুষদের বুঝায় তার সঙ্গে উপর মহলের লোকজনের সু-সম্পর্ক রয়েছে। আর এভাবেই প্রতারক হারিজ নিজেকে উপস্থাপন করে তার কারখানায় ভেজাল সার উৎপাদন করে অবৈধ সম্পদের মালিক বনে গেছে।

এ ছাড়াও ভেজাল সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক কথিত সাংবাদিক মোঃ হারিজ উদ্দিন নিজেকে বড় মাপের সাংবাদিক পরিচয় দেয়। তিনি বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের কোন বিষয়ে সাংবাদিকরা কখনো সংবাদ প্রকাশ করার ক্ষমতা রাখে না! এমন কথায় প্রতিবেদক জানতে চায় আপনি কোন মিডিয়ায় আছেন? কথিত সাংবাদিক হারিজ উদ্দিন বলেন, দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার সিরাজগঞ্জ জেলার ক্রাইম রিপোর্টার!! এছাড়াও আমার অনেক বন্ধুবান্ধব সাংবাদিকতায় যুক্ত!ক্রাইম রিপোর্টারের কাজ কি? প্রশ্নের উত্তরে প্রতারক হারিজ উদ্দিন বলেন,সাংবাদিকতায় আমি নতুন এসেছি তাই সঠিক জানা নাই।
সাংবাদিকতার কোন অভিজ্ঞতা না থাকলেও নিজেকে একাধারে পরিচয় দেয় তিনি একজন ক্রাইম রিপোর্টার!
ভেজাল সার উৎপাদন করার বিষয়ে জান চাইলে,কফি খাওয়ার অফার দেয় এবং পকেটে জোরপূর্বক টাকা দিয়ে মেনেজ করার চিষ্টা ও করে।

গত (২১ নভেম্বর) ২০২৪ ইং তারিখে “কথিত সাংবাদিক হারিজের কারখানায় ভেজাল সার উৎপাদন,লাখো কৃষক নিঃস্ব” শিরোনামে আমার কর্মরত দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ পত্রিকাসহ আরো কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় একই শিরোনামে সংবাটি প্রকাশিত হয়।প্রকাশিত সংবাদের জের ধরে হারিজ এগ্রো কেয়ারের মালিক কথিত সাংবাদিক হারিজ আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং আমাকে বলা হয়,তুই কিশের সাংবাদিক তোর মত সাংবাদিক গুনার সময় আমার নাই। আমি প্রতিমাসে কৃষি অফিসার, শাহজাদপুর থানার ওসি এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও)-সহ টাকা দিয়েই কারখানা চালাই ও তোর মত কত সাংবাদিক আমার পেছে পেছে দুইশো/পাঁচশত টাকার জন্য ঘুরে বেড়ায়।তাই সাবধান করে দিলাম আমার সঙ্গে লাগতে আসবি না। এছাড়া আমাকে প্রাণ নাশের এবং আমার লাশ গুম করে ফেলার হুমকি প্রদান করা হয়।

এবিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার জেরিন আহমেদ এর সাথে মুঠোফোন কথা হলে তিনি দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ কে বলেন, এর আগে একবার হারিজ এগ্রো কেয়ারের কারখানা আমরা বন্ধ করে দিয়েছিলাম এখন যে তার কারখানা চালু সে বিষয় আমার জানা ছিলো না। এখন জানতে পারলাম আমি এখনই ব্যবস্হা নিচ্ছি।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)কে তার মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন করলে তিনি রিসিভ করেননি।

মহাসড়কে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে লেগুনা থেকে চাঁদা আদায়

আলী রেজা রাজু:

রাজধানীর অদূরে সাভারের হেমায়েতপুরে অবৈধ লেগুনা থেকে আদায় করা হয় চাঁদা। সাভারের হেমায়েতপুর থেকে আশুলিয়ার চারাবাগ পযন্ত ৬০০ অবৈধ লেগুনা চলাচল করে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক দিয়ে প্রশাসন ও স্থানীয় প্রভাবশালী মহলকে ম্যানেজ করে।মহাসড়কে লেগুনা চলাচলের জন্য লেগুনাপ্রতি ৪৫০ টাকা চাঁদা দিতে হয়,মহাসড়কের কয়েকটি পয়েন্টে উত্তোলন করা হয় এ চাঁদা ,এ হিসাবে মাসে ৮০ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়।
চাঁদা না দিলে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে মহাসড়কে প্রক্যাশেয় দেশীয় অস্ত্র প্রর্দশন করে চাঁদাবাজরা,রফিকের নামের এক চাঁদাবাজকে দেশীয় অস্ত্র রামদা নিয়ে মহাসড়ক এমন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করতে দেখা গেছে।মহাসড়ক লেগুনা চলাচলের কোন বৈধ রুট পারমিট নেই তারপরও দেদারসে প্রসাশনের নাকের ডগায় চলাচল করে অবৈধ এ লেগুনা,বিশেষ সংকেতিং চিহ্ন ব্যবহার করে লেগুনা থেকে চাঁদা আদায় করা হয়। সরেজমিনে অনুসন্ধান নেমে দেখা যায় সাভারের হেমায়েতপুরে রফিক নামে এক চাঁদাবাজের নেতৃত্বে কয়েকজন সদস্য লেগুনা ও অটোরিকশা থেকে চাঁদা আদায় করতে। চাঁদাবাজ রফিকের নামে ইতিপূর্বে একাধিক চাঁদাবাজির মামলা চলমান রয়েছে।একাধিক লেগুনা চালকের সাথে কথা চাঁদাবাজির তথ্য নিশ্চিত করা গেছে।চাঁদা না দিলে বিভিন্নভাবে হয়রানি, ভয়ভীতি ও মারধরের ঘটনা বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চালক।সরেজমিন অনুসন্ধানে আরো দেখা যায় চাঁদাবাজ রফিক নিজেই লেগুনা থেকে চাঁদা আদায় করতে।এবিষয়ে অভিযুক্ত রফিকের কাছে জানতে চায়লে তিনি জানান,নিউজ করলে আমার প্রমোশন হবে,ছেড়ে দেন।
এবিষয়ে ট্রাফিক পুলিশের এডমিন ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই)শহিদুল ইসলামের কাছে জানতে চায়লে তিনি জানান,আপনি নেন না বাজে কথা বলেন কেন আপনার কিছু জানার থাকলে অফিসে আসেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আমদানি করলে দিতে হবে না ভ্যাট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎতে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব ফকরুল বাংলাদেশে ইতিহাস গড়ল উইন্ডিজ দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন রাজউক ইমারত পরিদর্শক শামীম রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে কে জিতবে, তা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচেছ ট্রাম্প নাসার চন্দ্র মিশনে স্পেসএক্স জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে নতুন করে দেড় হাজারের বেশি আবেদন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি