ঈদে টহল বৃদ্ধিসহ ১১ নির্দেশনা

স্টাফ রিপোর্টার:

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র‍্যাবের টহল বৃদ্ধিসহ ১১ দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক -২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. জিয়াউল হক মীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করাসহ সার্বিক আইনশৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে নিম্নবর্ণিত নির্দেশনাসমূহ বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো—

১. আসন্ন ঈদুল ফিতরের প্রাক্কালে দেশব্যাপী সার্বিক আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করতে হবে।

২. চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে ইউনিফর্মধারী পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য মোতায়েন, বিশেষ বিশেষ রাস্তায় ও মোড়ে চেকপোস্ট স্থাপন, টাকা স্থানান্তরে মানি এস্কর্ট প্রদান, জাল টাকার বিস্তার রোধ ও শনাক্তকরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৩. রাজধানীর কূটনৈতিক এলাকা, গুরুত্বপূর্ণ স্থানসহ দেশের অন্যান্য বড় বড় শহর ও বন্দরে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র‍্যাবের টহল বৃদ্ধি করতে হবে।

8. গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্পের মালিক পক্ষ অর্থাৎ বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং শিল্প পুলিশ একত্রে বসে ঈদের পূর্বেই শ্রমিকদের বেতন-ভাতাদি, বোনাস ইত্যাদি পরিশোধের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৫. সাধারণ জনগণের ঈদ উপলক্ষ্যে নির্বিঘ্নে কেনাকাটা নিশ্চিত করতে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি নারী পুলিশ ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়েন করতে হবে। মার্কেটগুলোতে বিশেষ রাত্রিকালীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে এবং সব মার্কেট সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার ব্যবস্থা করতে হবে।

৬. ঈদ উপলক্ষ্যে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নিরাপদ নিশ্চিতকল্পে বাস, ট্রেন ও লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করা, লঞ্চ/ফেরি ঘাটসমূহে অনিয়ম ও অবৈধ সিরিয়াল প্রদানের মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা আদায় না করা, অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন না করা এবং পরিবহনে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

৭. পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারা দেশে যানজট নিরসনের লক্ষ্যে যথাযথ ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৮. যমুনা সেতু, পদ্মা সেতু এবং ফ্লাইওভারসহ টোলপ্লাজাসমূহে যানজট নিরসনে ইটিসিসহ (ইলেক্ট্রনিক টোল কালেকশন) দ্রুত টোল আদায়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৯. যানজট নিরসনে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ কর্তৃক চিহ্নিত ১৫৫ স্পটে আইপি/সিসি ক্যামেরা স্থাপনপূর্বক ঈদুল ফিতরের পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী সময় মনিটরিং জোরদার করতে হবে। প্রয়োজনে অধিক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ড্রোনের মাধ্যমে মনিটরিং করা যেতে পারে;

১০. যানজট নিরসনে লক্ষ্যে ঈদের পূর্বের ৭ দিন ও পরের ৭ দিন সুনির্দিষ্ট পূর্ব তথ্য ব্যতীত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক সড়কের ওপরে মোটরযান তথা যানবাহন থামানো যাবে না;

১১. অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহনকারী বা যাত্রীবাহী যানবাহন ব্যতীত স্থলবন্দর ও নৌবন্দরসহ যেকোনো জায়গা থেকে ছেড়ে আসা নির্মাণ সামগ্রী বহনকারী ও লম্বা যানবাহনসমূহ ঈদের পূর্বের ৩ দিন এবং পরের ৩ দিন যেন মহাসড়কে চলাচল করতে না পারে বা নৌ-রুটে ফেরি পারাপার করতে না পারে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে;

১২. ঈদের আগে ৫ দিন ও পরে ৫ দিন নদীতে বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখতে হবে;

১৩. বিভিন্ন সড়ক, মহাসড়ক ও নৌ-পথে আকস্মিক দুর্ঘটনায় উদ্ধারকার্য পরিচালনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের টিম, রেসকিউ বোট, ডুবুরি, অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জামাদিসহ অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখতে হবে। প্রয়োজনে কোস্টগার্ডের সহযোগিতা গ্রহণ করতে হবে;

১৪. দুর্ঘটনা কবলিত অথবা রাস্তা/ব্রিজে কোন গাড়ি নষ্ট হলে দ্রুত দুর্ঘটনা কবলিত/অকেজো গাড়ি অপসারণ/রেকারিং করে পার্শ্ববর্তী খালি জায়গায় স্থানান্তর করতে হবে। যমুনা ও পদ্মা সেতুসহ যানজট প্রবণ এলাকায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক রেকারের ব্যবস্থা রাখতে হবে;

১৫. ঈদের সময় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ অধিদপ্তর এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক কন্ট্রোলরুম স্থাপন করতে হবে। সকল কন্ট্রোল রুমকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় জয়েন্ট অপারেশন সেন্টারের (০১৩২০০০১২২৩) সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর সাথে কন্ট্রোল রুমের সংযোগ স্থাপনপূর্বক সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় সমন্বয় জোরদার করতে হবে।

 

অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্স চায়না মিডিয়া ক্লাবের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই

অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্স চায়না মিডিয়া ক্লাবের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই

ডেস্ক রিপোর্ট:

অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্স এবং বাংলাদেশ চায়না আপন মিডিয়া ক্লাবের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত সিএমজি বাংলার ঢাকা অফিসে এ সমঝোতা স্মারক সই হয়। অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের প্রেসিডেন্ট হাসান শরীফ এবং বাংলাদেশ চায়না আপন মিডিয়া ক্লাবের প্রতিনিধি অলিভিয়া নিজ নিজ সংগঠনের পক্ষে স্মারকে সই করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিএমজির বাংলা বিভাগে কর্মরত সাংবাদিক এবং অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের নির্বাহী সদস্যরা।

অনুষ্ঠানে অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের সব সদস্যকে স্বাগত জানিয়ে সিএমজির বাংলা বিভাগের পরিচালক ইউ কুয়াং ইউয়ে আনন্দী বলেন বর্তমান এ প্রযুক্তির যুগে অনলাইন সাংবাদিকতার গুরুত্ব অনেক বেশি। তাই আপনাদের সঙ্গে এ সমঝোতা স্মারক সইয়ের মাধ্যমে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। এর মাধ্যমে আমরা প্রযুক্তি ও সাংবাদিকতার জ্ঞান আদান প্রদান করব। সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট হাসান শরীফ অনুষ্ঠানে বলেন আজকের এই সমঝোতা স্বাক্ষরের মাধ্যমে দুপক্ষ উপকৃত হবে। বিশেষ করে চীনের পর্যটন খাত স্বাস্থ্য শিক্ষা নানা বিষয়ে কাজ করার সুযোগ আছে। আমি এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।

উন্মুক্ত আলোচনা সভায় সংগঠনটি সাংগঠনিক সম্পাদক পলাশ মাহমুদ বলেন চীন সম্পর্কে জানার অনেক কিছু আছে। শুধু চীনকে কেন্দ্র করেই বিভিন্ন কাজ করা সম্ভব। চীনে অসংখ্য কন্টেন্ট রয়েছে, যেগুলো নিয়ে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন সামনের দিনগুলোতে প্রযুক্তির পথে উন্নয়নের পথে আমরা একসঙ্গে হাঁটতে চাই।

অনুষ্ঠানে দুই সংগঠন কীভাবে সাংবাদিকদের মধ্যে তথ্য বিনিময় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ডের মতো নানা বিষয়ে আরও সম্প্রীতি বাড়ানো যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেন উপস্থিত অতিথিরা। এর মাধ্যমে উভয় দেশের সাংবাদিকতা পেশায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও প্রসারিত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম