ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চায় বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার:

ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার যে তাগিদ দিয়েছেন, তার সঙ্গে একমত নয় বিএনপি। তারা ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চায়।

বিএনপি এর বাইরে অন্য কোনো সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ।

শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ও সদস্য বদিউল আলম মজুমদার বৈঠক করেন। সেখানে প্রধান উপদেষ্টা এ তাগিদ দেন বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং গণমাধ্যমকে জানিয়েছে। এরপর রাতে বিএনপির বিভিন্ন সংস্কার প্রস্তাব তৈরির সঙ্গে যুক্ত সালাহ উদ্দিন আহমদ এ প্রতিক্রিয়া জানান।

এর আগে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। তখন সালাহ উদ্দিন আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যদি তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) এ কথা বলে (ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্য) থাকেন, তাহলে সেটাকে আমরা পজিটিভলি দেখছি।’

তবে সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা মনে করি, উনি ডিসেম্বরে নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবেন, নির্দেশনা দেবেন এবং যথাযথ প্রক্রিয়ায় জাতির সামনে সে ঘোষণা দেবেন।’

পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বক্তব্য সংশোধন করে জানানো হয়, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে তাগিদ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

এ বিষয়ে পরে সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার তাগিদের বিষয়ে আমরা একমত নই। আমরা এ বছরের ডিসেম্বরের আগে নির্বাচন দাবি করি। আশা করি, তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেবেন।’

সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা আমাদের কাছে পূর্বে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে তিনি সব কার্যক্রম চালাচ্ছেন। আমরা সেটা জাতির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর অনুরোধ করেছিলাম, যাতে জাতি আশ্বস্ত হয়, গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি যাতে কোনো ষড়যন্ত্রের সুযোগ না পায়। কিন্তু তিনি অন্য একটি ফোরামে গিয়ে নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে করার কথা বলেন। আমরা এর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছি। উনি এখনো সে কথা বললে আমরা তাঁর সঙ্গে একমত নই।’

বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, প্রধান উপদেষ্টা যদি ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে থাকেন, তাহলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসে তাঁদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তাঁরা কোনো কর্মসূচি দেবেন কি না।

সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আগামী ১৬ এপ্রিল আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বসব। আমরা জানতে চাইব, আসলে উনি কী চাইছেন।’

কোকোকে নিয়ে গর্বিত বড় ভাই তারেক রহমান: “তার মধ্যে ছিল একজন আদর্শ ভাইয়ের সব গুণ

মোঃ বিজয় চৌধুরী:

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “একজন বড় ভাই হিসেবে ছোট ভাইয়ের জন্য গর্ববোধ করার মতো যে সব গুণ থাকা উচিত, তার সবকটিই আমি আমার ভাই আরাফাত রহমান কোকোর মাঝে দেখেছি।”

সোমবার (১৯ মে) রাতে লন্ডনের একটি অভিজাত ভেন্যুতে আয়োজিত ‘আরাফাত রহমান কোকো মেমোরিয়াল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট’-এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীসহ প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।

তারেক রহমান বলেন, “আমি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, আর কোকো খেলাধুলা ও ক্রীড়া সংগঠনের মাধ্যমে দেশের জন্য অবদান রাখার চেষ্টা করেছে। সে কখনো সামনে এসে নিজের কাজ প্রচার করেনি, কিন্তু নীরবে-নিভৃতেই দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নিতে কাজ করেছে। তার সেই নিঃস্বার্থ অবদান আজও অনেকেই স্মরণ করেন। কোকো যেমন একজন সৎ, বিনয়ী এবং দায়িত্বশীল মানুষ ছিল, তেমনি তার ভিতরে ছিল এক অসাধারণ দেশপ্রেম।”

তিনি আরও বলেন, “আজ এই অনুষ্ঠানে যারা কোকোকে নিয়ে কথা বলেছেন, তাদের বক্তব্য থেকেই পরিষ্কার বোঝা যায়—কোকো তার জীবনে কিছু না কিছু ভালো কাজ করে গেছেন, যা মানুষ এখনো মনে রেখেছে। একজন বড় ভাই হিসেবে এই সত্যিই আমার জন্য গর্বের।”

অনুষ্ঠানে বক্তারা আরাফাত রহমান কোকোর খেলাধুলা বিষয়ক উদ্যোগ, বিশেষ করে ক্রিকেট ও ফুটবলের উন্নয়নে তার ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। তারা বলেন, প্রয়াত কোকো নিঃস্বার্থভাবে দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে কাজ করেছেন, যা আজও প্রেরণা হয়ে আছে।

অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন তারেক রহমান। সেই সময়ও তিনি ভাইকে স্মরণ করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

উল্লেখ্য, আরাফাত রহমান কোকো ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র। তিনি ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
হাজির করা হলো ট্রাইব্যুনালে, হেফাজতে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আমদানি করলে দিতে হবে না ভ্যাট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎতে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব ফকরুল বাংলাদেশে ইতিহাস গড়ল উইন্ডিজ দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন রাজউক ইমারত পরিদর্শক শামীম রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে কে জিতবে, তা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচেছ ট্রাম্প নাসার চন্দ্র মিশনে স্পেসএক্স জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে নতুন করে দেড় হাজারের বেশি আবেদন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড়