কেরানীগঞ্জে জুলাই আন্দলোনের শহীদ রাজনে কবর ভাংচুর গ্রেপ্তার একজন

জাহিদ হোসেন:

ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেলস্থ উঃ বাহের চর কবরস্থানে গত ১৯ জুলাই ২০২৪ইং শহীদ বরী ফয়জুল ইসলাম রাজনকে কবর দেয়া হয়।আওয়ামীলীগ পতনের পর থেকে থেমে নেই দুষ্কৃত কারীরা। গতকাল দুপুরে একদল সন্ত্রাস বাহিনী রাজনের কবর ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। ইন্দন দাতার মূল হোতা আনোয়ার নামে একজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।
এতে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।রাজনে মা সাংবাদিকদের বলেন প্রতিদিনের মতো আজ ভোর ছয়টার দিকে আমি কবর জিয়ারত করতে আসলে অক্ষত দেখেছিলাম কবরটি। কিন্তু দুপুরের পরে আমার কাছে খবর আসে আমার ছেলের কবরটি কারা যেন ভেঙে ফেলেছে। কবর ভাঙার খবর পেয়ে ছুটে আসেন জাতীয় নাগরিক পার্টির একটি দল সহ
কেরানীগঞ্জ উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেটের একটি টিম এবং কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি তদন্ত সহ আটি বাজার ফাড়ির ইনচার্জের একটি টিম ও তারা নগর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মামুন।
যারা এই জঘন্য কাজটি করেছে তাদের কঠোর শাস্তির দাবি চেয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন স্থানীয় জনগন।ঘটনার পরের দিন কবর স্থান পর্যবেক্ষণ করতে আসেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিনাত ফৌজিয়া সহ জাতীয় নাগরিক পার্টির সেন্ট্রাল থেকে রাসেল আহমেদ মোঃ ইমরান হোসেন সহ কেরানীগঞ্জ নাগরিক পার্টির জাবেদ জসিম মামুন বকুল মাসুদ পারভেজের সাথে অসংখ্য নেতা কর্মীগন।ও বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনের কেরানীগঞ্জ মডেল সাফায়ত ঢালী,সাবরিনা আক্তার বন্যা,সাজ্জাদ, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার মুখপাত্র স্রাবনী আক্তার সুবর্না সহ অনেক নেতৃবৃন্দ।

মাধ্যমিকের দুই শ্রেণির পাঠ্যবই জানুয়ারিতে পাবে শিক্ষার্থীরা

স্টাফ রিপোর্টার॥

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন) এবং দাখিল ও কারিগরির ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আগামী বছরের জানুয়ারি মাসেই নতুন পাঠ্যবই হাতে পাবেন বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের এ কথা জানান। তিনি বলেন, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনের পাঠ্যপুস্তক এবং কারিগরি বোর্ডের পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণি এবং কারিগরি বোর্ডের শিক্ষার্থীরা আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথমদিকেই পাঠ্যপুস্তক পাবে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন) এবং দাখিল ও কারিগরির ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির পাশাপাশি ইবতেদায়ির প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এই শ্রেণিগুলোর জন্য ১২ কোটি ৬৪ লাখ ৬১ হাজার ৬৪৬টি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহে মোট ৫২৭ কোটি ৯৩ লাখ ৩২ হাজার ৭৭৭ টাকা ব্যয় হবে। ইবতেদায়ির প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণি এবং মাধ্যমিক (বাংলা ও ইরেজি ভার্সন), দাখিল ও কারিগরি শ্রেণির সাত কোটি ৩১ লাখ ২৯ হাজার ৮৫৯টি বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ কমিটি। ১০৭টি লটে ৭৯টি প্রতিষ্ঠান থেকে এই পাঠ্যপুস্তক নেওয়া হবে। এতে মোট ২৮৭ কোটি ৬১ লাখ ৬৭ হাজার ১৩৮ টাকা ব্যয় হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অন্য এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন) সপ্তম শ্রেণি, দাখিল সপ্তম শ্রেণি এবং কারিগরির সপ্তম শ্রেণির বিনামূল্যের পাঁচ কোটি ৩৩ লাখ ৩১ হাজার ৭৮৭টি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। ৯৯টি লটে ৬৯টি প্রতিষ্ঠান থেকে এ পাঠ্যপুস্তক নেওয়া হবে। এতে মোট ২৪০ কোটি ৩১ লাখ ৬৫ হাজার ৬৩৯ টাকা ব্যয় হবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম