মানবপাচার মামলার আসামী জাবেদের হোটেল “আপন নিবাস

 

রায়হান হোসাইন, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ-

চট্টগ্রামে যেকটি পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে, এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ফয়েসলেক আর এই ফয়সলেক এলাকায় হোটেল ব্যবসার আড়ালে মানব পাচারের অভিযোগ ওই এলাকায় আপন নিবাস নামের আবাসিক হোটেলের মালিক মো. জাবেদের বিরুদ্ধে। মানব পাচারে তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলাও রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

অভিযোগ আছে, আপন নিবাস আবাসিক হোটেল নামে পরিচিত হলেও মূলত চলে দেহব্যবসা। খদ্দর ডাকার জন্য হোটেলের প্রধান ফটকের সামনে দুই যুবক বসে থাকে। হোটেলের আড়ালে মানবপাচার করে গ্রেফতারও হয়েছিলেন আপন নিবাস হোটেলের মালিক মো. জাবেদ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয়রা জানান, আপন নিবাস হোটেলে ভিন্ন ভিন্ন কাজে ভিন্ন ভিন্ন দর। এখানে স্ট্যান্ডার্ড, লো স্ট্যান্ডার্ড ইত্যাদি পতিতা রয়েছে। ফয়সলেকে ঘুরতে আসা পর্যটকদের টার্গেট করে তারা। খদ্দেরদের দেন পুলিশি হামলাসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা। হোটেল কর্তৃপক্ষের অভয় প্রদানে খদ্দেরেরা রাত্রিও যাপন করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আপন নিবাস জাবেদের নিজস্ব হোটেল। খুলশি থানাধীন ফয়সলেক ও ইউএসটিসিকে কেন্দ্র করে ওই আবাসিক হোটেল গড়ে তুলেন জাবেদ। বর্তমানে ফয়সলেকে আরও দুটি হোটেলে তার অংশীদার রয়েছে। এ ধরণের পতিতা ব্যবসা ফয়সলেকে পাঁচ থেকে সাতটি হোটেল রয়েছে। পর্যটকেরা চাইলে অনায়াসে পছন্দের পতিতা নিয়ে সময় কাটান।

সরেজমিনে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। আশেপাশের সাধারণ মানুষের সাথে পরিচয় গোপন রেখে হোটেলের অতিথি আপ্যায়নের প্রসঙ্গে কথা হয়। তারা জানান, এখানকার হোটেলগুলোতে সবই চলে। আপনার যে রকম নারী পছন্দ তা পাবেন। আমাদের ধারণা প্রশাসন ম্যানেজ করে হোটেলে পতিতা ব্যবসা চলছে। না হয় দফায় দফায় অভিযানের পরও এ ব্যবসা কিভাবে চলে?

জাবেদ মানবপাচারকারী এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে খুলশি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) সন্তোষ চাকমার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মানবপাচার মামলায় জাবেদের বিরুদ্ধে গত বছর তিনটি মামলা হয়েছিল।

সন্দ্বীপে ‘আবু ইউসুফ লিটনের’ উদ্যোগে ব্যতিক্রমী আয়োজনে জেল হত্যা দিবস পালিত।

সাব্বির রহমান,(সন্দ্বীপ) প্রতিনিধি –

আজ ‘৩রা’ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) জেল হত্যা দিবস। বাঙালি জাতির ইতিহাসে কলঙ্কজনক দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সহ জাতীয় চার নেতার প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা রেখে চট্রগ্রাম- সন্দ্বীপে,সাবেক ছাত্রনেতা, রাজপথের সাহসী সৈনিক সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী- লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, আবু ইউসুফ লিটনের উদ্যোগে সন্দ্বীপ পৌরসভাস্থ (৩) নং ওয়ার্ডের ফোরকানিয়া মাদ্রাসায়, খতমে কোরআন, কোরআনে হাফেজদের মধ্যে পবিত্র কোরআন শরীফ বিতরণ, দোয়া-মাহফিল ও আলোচনা সভা সহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবস’টি পালন করা হয়।

সন্দ্বীপ পৌরসভাস্থ ফোরকানিয়া মাদ্রাসার হল-রুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলাউদ্দিন বেদন, ভাইস- চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী- লীগের সাধারণ সম্পাদক মাঈন উদ্দিন মিশন,উপজেলা আওয়ামী- লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ জামিল ফরহাদ, যুগ্ন-সাধারণ- সম্পাদক এবং বাউরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী-যুবলীগের সভাপতি ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য ছিদ্দিকুর রহমান। এ সময় বক্তারা বলেন, ‘ঘাতকরা কতটা নির্লজ্য হয়ে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ৩ নভেম্বর তার ঘনিষ্ঠ ৪ সহকর্মী সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এম মুনসর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে কারাগারে হত্যা করে। ঢাকা বাঙালি জাতির ইতিহাসে আরেকটি কলঙ্কিত অধ্যায়ের নাম জেল হত্যাকান্ড। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শত্রুরা এ দেশের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি। পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে স্বাধীনতাবিরোধী দেশি-বিদেশি ওই চক্রটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যা করে।বঙ্গবন্ধু কে হত্যার পর বাংলাদেশ যাতে ঘুরে দাঁড়িয়ে আর এগোতে না পারে, স্বাধীনতা যাতে ব্যর্থ হয়, বাংলাদেশ যাতে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয় সেই চক্রান্ত করে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র অগ্রসর হয়। শুধু মুক্তিযুদ্ধ নয়, সকল আন্দোলন-সংগ্রামে এই চার নেতা বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকেছেন। বিভিন্ন সময় বঙ্গবন্ধুকে যখন কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে তখন আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিয়ে এই চার নেতা আন্দলন- সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়েছেন। জাতীয় চার নেতার আত্মত্যাগের কথা তুলে ধরে বলেন, দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের এ দেশের মানুষ সারা জীবন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। যে অপশক্তি জাতির পিতা সহ তার পরিবার, ও জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে সেই শক্তি এখনো ওৎ পেতে আছে। তারা বারে-বারে দেশের শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিনষ্ট করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।

“উক্ত সভা-অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, পৌরসভা আওয়ামী-লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ সাজ্জাদ , পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নুরনবী আনন্দ,সরকারী হাজি এ,বি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, এছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন, পৌরসভা যুবলীগ নেতা শাহাদাত হোসেন, শ্রমিকলীগ নেতা মঞ্জুর, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নিশাদ সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। আলোচনা শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ ৩রা’ নভেম্বর জেলহত্যায় সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া- মাহফিল,কোরআন খতমের মোনাজাত ও কোরআনের হাফেজদের মাঝে পবিত্র কোরআন শরীফ বিতরণ শেষে, উপস্থিত নেতৃবৃন্দ ও কোরানের হাফেজ সহ এতিমদের মাঝে দুপুরের খাবার পরিবেশন করা হয়।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম