জুনে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে যেসব দেশ থেকে

ডেস্ক রিপোর্ট:

গত জুন মাসে দেশে এসেছে ২৮২ কোটি ১২ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে সৌদি আরব থেকে। এছাড়া শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় আরও রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ কয়েকটি দেশ।

বুধবার (৯ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, গত জুন মাসে সৌদি প্রবাসীরা দেশে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। দেশটি থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ৪৬ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার। এছাড়া শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় আরও রয়েছে যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, ওমান, ইতালি, কুয়েত, কাতার ও সিঙ্গাপুর।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৬ কোটি ২০ লাখ ৬০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে যুক্তরাজ্য থেকে। আর মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, ওমান, ইতালি, কুয়েত, কাতার ও সিঙ্গাপুর থেকে জুন মাসে যথাক্রমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৫ কোটি ৮৮ লাখ, ৩২ কোটি ৩৯ লাখ ১০ হাজার, ২৩ কোটি ৮১ লাখ ৩০ হাজার, ১৭ কোটি ১৮ লাখ ৪০ হাজার, ১৬ কোটি ৪৭ লাখ ২০ হাজার, ১১ কোটি ৯০ লাখ ১০ হাজার, ১১ কোটি ৬৬ লাখ ও ৯ কোটি ৫৯ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।

গত জুনে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগের প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১৬৬ কোটি ৬৯ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ৬৪ কোটি ১০ লাখ ডলার, সিলেট বিভাগে ২০ কোটি ১০ লাখ ডলার, খুলনা বিভাগে ৯ কোটি ৯২ লাখ ডলার, রাজশাহী বিভাগে ৭ কোটি ৬৬ লাখ ডলার, বরিশাল বিভাগে ৬ কোটি ১৬ লাখ ডলার, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪ কোটি ১৩ লাখ ডলার ও রংপুর বিভাগে ৩ কোটি ৩৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

এদিকে গত অর্থবছরজুড়ে দেশে এসেছে ৩০ দশমিক ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স, যা দেশের ইতিহাসে কোনো নির্দিষ্ট অর্থবছরে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়ের রেকর্ড। এর আগে দেশে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে। সেই অর্থবছর জুড়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ ১০ হাজার বা ২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

৯টি শৈল্পিক গ্রুপে রিসিভার বসাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক

স্টাফ রিপোর্টার ॥

ব্যাংকের ঋণ আদায়ের জন্য এস আলমসহ ৯টি শিল্প গ্রুপে রিসিভার বসাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যাদের মূল কাজ হবে ব্যাংক ঋণের বিপরীতে জামানত এবং তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি খুঁজে বের করা এবং সেই সম্পত্তি বিক্রি করে ব্যাংকের দেনা পরিশোধ করা।
এসব গ্রুপের সম্পত্তি এবং অর্থ উদ্ধারের সুবিধার্ধে রিসিভার নিয়োগের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
এছাড়া এরই মধ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের স্থাবর-অস্থাবর এবং বিদেশে থাকা সম্পত্তির সন্ধানে রিসিভার নিয়োগ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এদিকে, বকেয়া ঋণের মোট টাকা আদায়ে গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন এবং এস আলম গ্রুপের অন্য সম্পত্তিসমূহ থেকে পাওনা আদায়ের জন্য অতিরিক্ত আইনি পদক্ষেপ নিতে পারে জনতা ব্যাংক। এস আলম গ্রুপের কাছ থেকে এক হাজার ৮৫০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য জনতা ব্যাংক গ্রুপটির অন্যতম সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন লিমিটেডের জামানত সম্পত্তি নিলাম করার ঘোষণা দিয়েছে।

শেখ হাসিনার ১৫ বছরের মেয়াদে এস আলম গ্রুপের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের মধ্যে প্রথমবারের মতো একটি ব্যাংক গ্রুপটির একটি কোম্পানির বন্ধক রাখা সম্পদ নিলামে ওঠানোর পদক্ষেপ নিলো।

গত ১ নভেম্বর জনতা ব্যাংক পত্রিকায় নিলাম সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ২০ নভেম্বরকে নিলামের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।

ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ তথ্য অনুযায়ী, এ ঋণের বিপরীতে বন্ধক রাখা হয়েছে চট্টগ্রাম ও গাজীপুরে এস আলম গ্রুপের ১৮৬০ শতাংশ জমি, যার বাজারমূল্য সর্বোচ্চ ৩৫৮ কোটি টাকা। এ দাম পাওনা টাকার চেয়ে প্রায় পাঁচগুণ কম। এ সম্পত্তি বিক্রি করে খেলাপি ঋণ পুরোপুরি আদায় করা সম্ভব নয়। বকেয়া বাকি টাকা আদায়ে আরও আইনি পদক্ষেপের প্রয়োজন হতে পারে। অর্থঋণ আদালত আইনের ১২(৩) ধারা অনুযায়ী ব্যাংক মামলা করার আগেই জামানতের সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা আদায় সম্ভব।

বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের (সিএজি) ২০২১ সালের এক নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশিকা না মেনে ঋণসীমা অতিক্রম করে অতিরিক্ত ঋণ নিয়েছে।

এস আলম গ্রুপের ওয়েবসাইট অনুসারে, ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন শিল্প কাঁচামাল, বাণিজ্যিক পণ্য এবং নির্মাণসামগ্রীর ব্যবসায় জড়িত ছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১২ সালে সাধারণ বিমা ভবনে অবস্থিত জনতা ব্যাংকের চট্টগ্রাম করপোরেট শাখা থেকে গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন প্রাথমিকভাবে ৬৫০ কোটি টাকা ঋণ নেয়।

এ ঋণ ২০২১ সাল পর্যন্ত সুদ-আসলে মোট এক হাজার ৭০ কোটি ৬৫ লাখ টাকায় পৌঁছেছে। এর মধ্যে ৬১৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা পিএডি (পেমেন্ট এগেইনস্ট ডকুমেন্ট), ২২৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা এলটিআর (ট্রাস্ট রিসিপ্ট) ঋণ এবং ২২৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা সিসি হাইপো ঋণ। সুদ-আসল মিলিয়ে ঋণের পরিমাণ ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে এক হাজার ৮৫০ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে।

সবা:স:জু-২৬/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম