স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া

স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া

ডেস্ক রিপোর্ট:

এভারকেয়ার হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে গভীর রাতে বাসায় ফিরেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বুধবার (২৪ জুলাই) রাত ২টা ৫৫ মিনিটে তিনি বাসায় ফেরেন। এর আগে, রাত ১টা ১৮ মিনিটে গুলশানের বাসা থেকে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গুলশান-২ নাম্বারের ৭৯ নাম্বার রোডের ১ নম্বর বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল নেওয়া হচ্ছে।

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলেও জানানো হয়।খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ম্যাডামের জন্য যে মেডিকেল বোর্ড রয়েছে, সেই মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল, আবার বাসায় ফিরে এসেছেন তিনি। কিছু পরীক্ষা করানোর প্রয়োজনে উনাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।

এভারকেয়ার হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা জিয়া। ৭৯ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন লিভার সিরোসিস, ‍হৃদরোগ, ফুসফুস ও কিডনি জটিলতা, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারে আমলে বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ সময় কারাবন্দি ছিলেন। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৭ জানুয়ারি লন্ডন যান। লন্ডন ক্লিনিকে ১৭ দিনের চিকিৎসা শেষে চিকিৎসকদের পরামর্শে কিংস্টনে বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় যান বেগম জিয়া। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার সময় চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, বয়স বিবেচনায় খালেদা জিয়ার লিভার ট্রান্সপ্লান্টের বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসা যায়নি। তিন মাস পর গত চলতি বছরের ৬ মে লন্ডন থেকেও চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরছেন তিনি।

লেখালেখির জগতে ফিরতে চাই : প্রেস সচিব

ডেস্ক রিপোর্ট:

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরবর্তীতে কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ নয়। বরং সাংবাদিকতা ও লেখালেখির জীবনেই ফিরে যেতে চান বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

বুধবার (২ জুলাই) সকালে ফেসবুকের এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেছেন।

প্রেস সচিব বলেন, ‘আমার কিছু বন্ধু বলেছেন আমি নাকি কোনো বড় রাজনৈতিক দলে বা সদ্য গঠিত একটি দলে যোগ দিতে যাচ্ছি। কিন্তু সোজা কথায় বলি— আমি কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি আসক্ত নই। একজন এমপি বা রাজনৈতিক ‘বিগ শট’ হয়ে যে ধরনের জীবনযাপন করতে হয়, তাতে আমার কোনো আগ্রহ নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘সিঙ্গাপুর বা ইউরোপের মতো দেশে রাজনৈতিক নেতৃত্বে ভালো আর্থিক সুবিধা থাকে। কিন্তু আমাদের দেশে রাজনীতি করে ভালো থাকা মানেই দুর্নীতির পথে যাওয়া। আমি সে পথে হাঁটতে চাই না।’

প্রেস সচিব জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব শেষ হলে তিনি সাংবাদিকতা ও লেখালেখির জগতে পূর্ণভাবে ফিরে আসতে চান। তার ভাষায়, ‘আমার কিছু বই লেখার পরিকল্পনা আছে। আমি চাইলে সারা জীবন শুধু জুলাই বিপ্লব নিয়েই লিখে যেতে পারি। আমি জীবনে এত স্বতঃস্ফূর্ত, সাহসী ও ব্যাপক রাজনৈতিক সংগ্রাম আর দেখিনি। রবার্ট কেরো যেমন তার জীবন উৎসর্গ করেছেন লিন্ডন জনসনের ওপর লেখালেখিতে, আমিও তেমনি ‘জুলাই বিপ্লব’ নিয়ে কাজ করে যেতে পারি। যদিও কেউ কেউ ‘বিপ্লব’ শব্দটা পছন্দ করেন না।’

তিনি আরও লেখেন, আমার জীবনের শেষের দিকে নতুন রূপান্তরের পর কি আমি নিরাপদ থাকব? গত কয়েক মাসে আওয়ামী লীগের কিছু কর্মীর কাছ থেকে হুমকি পেয়েছি। তবে এগুলো হয়তো তাদের হতাশার বহিঃপ্রকাশ। যারা দেশের মানুষের কাছে জনপ্রিয়তার শেষ আশ্রয়টুকুও হারিয়েছে।

সবশেষে প্রেস সচিব বলেন, আমার পূর্ণ বিশ্বাস আছে সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর। তিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন এবং যার কাছে আমরা ফিরে যাব। আমি আমার অন্তর্বর্তীকালীন জীবনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম