ডিপিডিসি জোয়ার্দার এখন শতকোটি টাকার মালিক!

নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর (ডিপিডিসির) নির্বাহী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) গিয়াস উদ্দিন জোয়ার্দারের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন ও স্বেচ্ছাচারীমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা পড়া লিখিত অভিযোগ থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, ডিপিডিসির নির্বাহী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) গিয়াস উদ্দিন জোয়ার্দার অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করে একাধিক ফ্ল্যাট, বাড়ি, দোকানসহ জায়গার মালিক হয়েছেন। নির্বাহী পরিচালক হওয়ার আগেই আলাদিনের চেরাগ ধরা দিয়েছিল তার হাতে।

তখন সময়টা ছিল বিএনপি সরকারের। ঢাকার মোহাম্মদপুরের সূর্য নামে এক নেতার সঙ্গে আত্মীয়তার সুবাদে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের কাছে সূর্যর সাথে প্রায়ই হাওয়া ভবনে যেতেন গিয়াস উদ্দিন জোয়ার্দার। তাই বিএনপির আমলে ভাল পোষ্টিং, বিদেশ ভ্রমণসহ ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে বলেন, গিয়াস উদ্দিন আল মামুন কারাগারে থাকলেও তার সহযোগীর কাছে নিয়মিত অবৈধ অর্থের ভাগ পাঠান এবং কাশিমপুর কারাগারে গিয়ে খাবার ও টাকা দিয়ে আসেন। বিএনপির রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত থেকে ঢাকার উত্তরাতে তিনটি ফ্ল্যাট গড়েছেন।

যার মধ্যে একটি আলিশান ফ্লাটে নিজে বসবাস করেন। ওই ফ্লাটে আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা রেখে মনের মত সাজিয়েছেন। বাকী দুইটি ফ্লাট ভাড়া দেওয়া। মোহাম্মদপুরের বায়তুল আমান হাউজিংয়ে ২টি এবং লালমাটিয়াতে ২টি ফ্ল্যাট ভাড়া দেওয়া আছে। এ ছাড়াও তার নামে-বেনামে অসংখ্য জায়গা ও দোকান রয়েছে। শুধু দেশে নয়, এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার রয়েছে আমেরিকাতে বাড়ি-গাড়ি।

তার মেয়ে আমেরিকাতে পড়াশুনা শেষে আলিশান জীবন যাপন করছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে এই কর্মকর্তা খোলস পাল্টিয়ে রাতারাতি একজন মন্ত্রীর বড় ভাই পরিচয়ে এবং একটি চক্রের সহযোগীতায় হঠাৎ ডিপিডিসির নির্বাহী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান।

সূত্র জানায়, ডিপিডিসির একজন প্রভাবশালী ‘স’ অদ্যাক্ষরের এক বোর্ড মেম্বারের পরক্ষ ছত্রছায়ায় তিনি খুব ক্ষমতাবান বনে গেছেন।

সূত্র আরো জানায়, এই কর্মকর্তা যখন ডিপিডিসির প্রিপেইড মিটারের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) ছিলেন, তখন তিনি অনেক অনিয়ম করে শত কোটি টাকার মালিক বনে যান। তৎকালীন সময় হেক্সিন ঠিকাদারী কোম্পানীর নিম্নমানের প্রিপেইড মিটার ক্রয় ও গ্রাহকের আঙ্গিনায় মিটার স্থাপনের সময় সরকারের অনেক রাজস্ব ক্ষতি সাধন করেছেন। তৎকালীন সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমে তা প্রকাশিতও হয়েছিলো।

ডিপিডিসির একাধিক কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে বলেন, ডিপিডিসিতে অনেক যোগ্য লোক থাকতেও জোয়ার্দারের মত অযোগ্য লোককে নেয়া হয়েছে অর্থের বিনিময়ে। টাকা ছাড়া কোন ফাইল সই করেন না। হুমকি-ধমকির ভয়ে তার রুমে কেউ যেতে চায় না।

তারা আরো জানান, কর্মকর্তাদের ওপর যখন তখন টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন এবং রুমে গেলে কাজের চেয়ে অকাজের কথা বেশি বলেন। গত দুই বছরে নির্বাহী পরিচালক হয়ে কমপক্ষে ৬০ কোটি টাকার ঘুষ বাণিজ্য করেছে। সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ডিপিডিসিতে চলছে বিদেশ ভ্রমণ ও দুর্নীতির মহোৎসব।

নির্বাহী পরিচালক থাকাকালীন গিয়াস উদ্দিন জোয়ার্দার প্রকল্প পরিচালকও ছিলেন। প্রকল্প পরিচালক হিসেবে ঠিকাদারকে সুবিধা দেয়ার জন্য ভেরিয়েশনের মাধ্যমে অন্তত দুইশ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন। তাছাড়া ওই প্রকল্পের কাজের গুনগত মান নিম্নমানের হওয়ায় এরই মধ্যে সাতটি ট্রান্সফর্মার বিকল হয়েছে।

ফলে সরকার তথা ডিপিডিসির অন্তত ৮০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সম্প্রতি রাজধানীতে বেশ কিছু বৈদ্যুতিক সাবষ্টেশন নির্মাণেও তিনি অনেক ঘাপলা করেছেন। নিম্নমানের মালামাল সরবরাহের কারণে সাবষ্টেশনগুলোতে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটছে।

ডিপিডিসি থেকে আরও জানা যায়, গিয়াস উদ্দিন জোয়ার্দারকে দুই দফা চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দেয়ার পরও একটি ঠিকাদার চক্র তৃতীয়বারের মত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। সার্ভিস রুলস্ সংশোধনের পায়তারা করছে তারা।

আগামী বছরের জানুয়ারীতে তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। বর্তমান সরকারের বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানীতে নির্বাহী পরিচালক নিয়োগে বয়সের যে বিধিমালা রয়েছে তা সব সংস্থার এক নিয়মে চলে।

ডিপিডিসিতে নিয়োগের বয়স সংশোধন হলে সিস্টেম ভেঙ্গে পরবে। এতে করে মেধাসম্পন্ন যোগ্য লোক যথাস্থানে বসতে পারবে না। প্রতিষ্ঠানে দেখা দিবে অসঙ্গতি, কাজের গতি কমে যাবে এবং প্রকৌশলীদের মনোবল ভেঙ্গে যাবে।

বিদ্যুত সেক্টর ও ডিপিডিসির এ যাবত কালের সমস্ত নিয়ম কানুন ভঙ্গ করে দশ কোটি টাকার বিনিময়ে একটি শক্তিশালী চক্র উঠেপড়ে লেগেছে এই অযোগ্য, অর্থবর দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে আর একবার চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে তোড়জোড় শুরু করেছেন।

তিনি কথায় কথায় নিচের কর্মকর্তাদের হুমকি দিয়ে বলেন, আমিই ডিপিডিপির এমডি হব। এখন কথা মত কাজ না করলে এর ফল পরে ভোগ করতে হবে।

এসব অভিযোগের বিষয়ে বৃহস্পতিবার গিয়াস উদ্দিন জোয়ার্দার সঙ্গে মুঠোফোন বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

ডিপিডিসির এমডি প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান বলেন, এ ধরনের কোন অভিযোগ আমি পাইনি। দুদক একটি স্বাধীন সংস্থা। তারা তাদের মত তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।

গুলশানে ২টি সহ রাজধানীতে স্পার নামে অশ্লীলতা, অসামাজিক কার্যকলাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক॥
‘আওয়ার থেরাপিস্ট ইজ ইয়াং… অ্যান্ড সো হট।’ বাংলায়, ‘আমাদের থেরাপিস্টরা কচি এবং খুব আকর্ষণীয়।’ গুলশানের অ্যারোমা থাই স্পা’র প্রিন্ট বিজ্ঞাপন এটি। নিজেদের ফেসবুক পেজে স্পন্সর বিজ্ঞাপন হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির প্রচারণা এমন!

বিজ্ঞাপনটিতে গ্রাহকদের দুই ধরনের ম্যাসেজ দেয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ‘নুরু ম্যাসেজ’ ও ‘বডি টু বডি ম্যাসেজ’। আরও লেখা আছে, ‘উই হ্যাভ নিউ ফোর গার্লস (আমাদের সংগ্রহে নতুন চারটি মেয়ে আছে)।’

ম্যাসেজ পার্লারের এমন বিজ্ঞাপনে ম্যাসেজ ছাড়াও স্পষ্টভাবে অন্যকিছুর ইঙ্গিত দেয়া হচ্ছে! ভালো করে লক্ষ্য করলে বোঝা যায়, বিজ্ঞাপনে ‘নুরু ম্যাসেজের’ কথা উল্লেখ রয়েছে। নুরু ম্যাসেজ বলতে শরীরের সংবেদনশীল ও স্পর্শকাতর জায়গাগুলোতে ম্যাসেজ করা বোঝায়, যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে জনপ্রিয়। ‘বডি টু বডি ম্যাসেজ’ তার চেয়েও ভয়ংকর, এটি অনেকেরই জানাৃ।

শুধু অ্যারোমা নয়, ঢাকা শহরে তাদের মতো প্রায় ডজনখানেক স্পা সেন্টার অশ্লীল বিজ্ঞাপন আর মেয়েদের প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশে বডি ম্যাসেজের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অথচ তাদের কাছে নেই কোনো বৈধ কাগজ কিংবা ট্রেড লাইসেন্স। সিটি কর্পোরেশনের কাছ থেকে হোটেল, বিউটি পার্লার, সেলুন আর ব্যায়ামাগারের ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে চলছে এ ব্যবসা, চলছে অশ্লীলতা।

পরিচয় গোপন করে সেবাগ্রহীতা সেজে কথা হয় গুলশানের স্পা জোন’র কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানের সঙ্গে। গুলশান-১ এর ডিসিসি মার্কেটের বিপরীতে একটি ভবনে সেন্টার তাদের। কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এখানে বয়সভিত্তিক বিভিন্ন ক্যাটাগরির ১০-১২ জন মেয়ে দিয়ে ম্যাসেজ করানো হয়। বয়স ছাড়াও ম্যাসেজে পারদর্শী ও অপারদর্শীদের আলাদা ক্যাটাগরি রয়েছে। ইউনিভার্সিটিপড়ুয়া কম বয়সী মেয়েরাও আছে। যদি কেউ প্রশিক্ষিত মেয়েদের নিয়ে সারা শরীর ম্যাসেজ করাতে চান তাহলে খরচ পড়বে ঘণ্টাপ্রতি ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা। যদি এক ঘণ্টা ফুল কাজ করেন তাহলে পড়বে পাঁচ হাজার। ভালো ক্যাটাগরির আকর্ষণীয় মেয়েদের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় ছয় থেকে সাত হাজার পড়বে।’
পুলিশের ঝামেলা হবে না তো? জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘কোনো সমস্যা নাই, আমাদের সব বৈধতার কাগজ আছে। আমরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করি, নিয়মিত মাসোয়ারা দেই। কোনো সমস্যা নাই।
কথা হয় গুলশানের ব্লু ট্যারেস স্পা নামের একটি স্পা অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারের কর্মকর্তার সঙ্গে। তারা সিটি কর্পোরেশনের কাছ থেকে বিউটি সেলুনের ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে পরিচালনা করছে ম্যাসেজ সেন্টার, করছেন অসামাজিক কার্যকলাপ!
ওই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, সকাল ৯টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ‘ভালো মেয়েদের দ্বারা’ বডি ম্যাসেজ করা হয়। ঘণ্টায় তিন থেকে চার হাজার টাকা লাগে। এখানে ‘ফুল কোর্সও’ রয়েছে, রেট সাত থেকে ১০ হাজার টাকা।
একই চিত্র গুলশান-বনানী এলাকার গুলশান সেলুন অ্যান্ড স্পা, লেটস রিল্যাক্স স্পা, ঢাকা গুলশান স্পা, ফেমাস স্পা’র। অশ্লীলতার ইঙ্গিত দিয়ে বিজ্ঞাপন তৈরি করে তরুণ ও বয়স্ক পুরুষদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

ঢাকা গুলশান স্পা’র একটি বিজ্ঞাপনে স্পা’র সঙ্গে ‘কমপ্লিট ফান’র ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পোস্ট করা হয়েছে অশ্লীল ভিডিও।
এর আগেও বেশ কয়েকবার স্পা’র নামে ব্ল্যাকমেইলের ঘটনা ঘটিয়েছে কয়েকটি স্পা সেন্টারে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে স্পা’র নামে অসামাজিক কাজ করে তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। ২০১৮ সালের অক্টোবরে গুলশান ও বনানী এলাকার ডব্লিউ বিউটি অ্যান্ড স্পা, মহাখালী ডিওএইচএস-এর ফনিক্স হেলথ কেয়ার, গুলশানের হোয়াইট বিউটি সেলুন অ্যান্ড স্পা সেন্টার এবং ডায়মন্ড বিউটি অ্যান্ড স্পা’য় অভিযান চালিয়ে ৪০ জনকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তাদের বিরুদ্ধে তরুণীদের দিয়ে স্পা করানোর পর সেসময়ের ছবি ধারণ করে পরবর্তীতে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের অভিযোগ ছিল।
পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) এ প্রসঙ্গে বলেন, বিউটি পার্লার বা হোটেলের আদলে কেউ যাতে অসামাজিক কার্যকলাপ না করতে পারে সেদিকে নজর রাখছে পুলিশ। এছাড়া এসবের দ্বারা কেউ যাতে ব্ল্যাকমেইল বা হয়রানির শিকার না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।
গুলশানে ২টি স্পা সেন্টারের আড়ালে চলছে অবৈধ দেহ ব্যবসা!
কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত স্পা সেন্টার গুলোর অবৈধ কর্মকা-। যেখানে প্রতিনিয়ত চলছে স্পা বা বডি মেসেজ এর নামে দেহ ব্যবসা।
সম্প্রতি গুলশানে এমন দুইটি স্পা সেন্টারের নাম উঠে এসেছে, যারা অজানা ক্ষমতাবলে চালিয়ে যাচ্ছে অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে পতিতাবৃত্তি সহ অসামাজিক কার্যকলাপ। রোড-২৩/এ, হাউজ নং-১, এল-১ এর স্পা। রোড-৪১, হাউস-৭, এল-১ এর ঋরা স্পা।
গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এই দুইটি স্পা সেন্টারের সম্পর্কে জানা যায়, বডি মেসেজের নাম করে স্কুল-কলেজ ও ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া মেয়ে সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন বয়সী নারীদের একত্রিত করে দেহ ব্যবসা পরিচালনা, যৌন শোষণ, নিপীড়নমূলক কাজ করা হয়। যার মূল উদ্দেশ্য থাকে গ্রাহকের সাথে যৌন সম্পর্কে সৃষ্টির মাধ্যমে টাকা উপার্জন করা। এমনকি স্পা সেন্টার গুলোতে থাকে মাদকের ব্যবস্থা। যেখানে বিভিন্ন পর্যায়ের পুরুষ গ্রাহকরা খুব সহজেই টাকার বিনিময়ে পেয়ে যায় মাদকের নিরাপদ আখড়া। যা কিনা সামাজিক অবক্ষয়ের অন্যতম কারণ।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেন, আমাদের সব বৈধতার কাগজ আছে। আমরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করি, এবং নিয়মিত মাসোহারা দেই।

কিন্তু সরোজমিনে প্রতিবেদক তথ্য সংগ্রহের জন্য ঐ দুইটি স্পা সেন্টারে গেলে একটি স্পা সেন্টার সমঝোতা করার কথা বলে, এছাড়া স্পা’ নামক সেন্টারের মালিক জামান ও ম্যানেজার আসাদ কোন প্রকার তথ্য দিতে অস্বীকার করে প্রতিবেদককে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এবং স্পা সেন্টার থেকে জোরপূর্বক বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে।

এই বিষয়ে গুলশান থানার ওসি বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত এই ধরনের অবৈধ প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি এবং কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মামলাও দিয়েছ। তাছাড়া এই ধরনের অবৈধ ব্যবসা কাউকে চালাতে দেওয়া হবে না।

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আমদানি করলে দিতে হবে না ভ্যাট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎতে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব ফকরুল বাংলাদেশে ইতিহাস গড়ল উইন্ডিজ দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন রাজউক ইমারত পরিদর্শক শামীম রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে কে জিতবে, তা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচেছ ট্রাম্প নাসার চন্দ্র মিশনে স্পেসএক্স জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে নতুন করে দেড় হাজারের বেশি আবেদন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি