কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে বিএনপি নেতার হুমকি

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে বিএনপি নেতার হুমকি

কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর শামছুল ইসলামকে ‘কলিজা খুলে নেওয়ার হুমকি’ দেওয়ার একটি অডিও কল রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ভাইরাল ওই কল রেকর্ডটি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল গফুর ভূইয়ার বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে বিএনপি নেতা আব্দুল গফুর ভূইয়া ওই কল রেকর্ডকে এডিটেড বলে দাবি করেছেন।

এ সময় শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান শামসুল ইসলামকে বলতে শোনা যায়- ‘সে আমার কাছে এসে আমাকে পরিচয় দিয়েছে।’ তাৎক্ষণিক গফুর ভূইয়া বলে ওঠেন, ‘পরিচয় দেক, পরিচয় দিলেও একজন সংসদ সদস্যকে আপনি অপমান করতে পারেন না। আমি আপনার অফিসে আছি, আপনাকে অপমান করব। আপনার কত বড় কইলজা অইছে আমি দেখমু আপনারে। আপনারা কে এখানে বসাইছে আমি তার কইলজা খুলিয়ালামু। আপনার কইলজাও খুলবো। বেয়াদবির একটা সীমা আছে। একটা টোকাইর ইয়া নিয়েছেন আপনে। সে একজন কোঅর্ডিনেটর, সে চাকরি করে এখানে, টোকাই।’

এ সময় শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান শামসুল ইসলামকে বলতে শোনা যায়, ‘উনি পরিচয় দিয়েছেন আমাকে উনি খালেদা জিয়ার প্রেস…’। এ কথা বলার সাথে সাথে গফুর ভূইয়া বলে উঠেন, ‘ঠিক আছে, ঠিক আছে আপনি আমাকে বলতেন যে এরকম একটা তদবির আছে ইয়া আছে, ওখানে তো সে ঢুকতে পারবে না। তার ভাই ঢুকতে পারবে না, আপনি ভেজাল লাগাইছেন। একজন ইয়া করি আপনি এটার দায় দায়িত্ব নিতে হবে। আমি কালকে আপনার বিরুদ্ধে মামলা করব। কত বড় সাহস আপনার আমি দেখে নেব আপনাকে। এখন যদি ফেরত না আনেন ওই কুত্তার বাইচ্চাকে বলেন, বাস্টার্ডকে বলেন, কিসের কোঅর্ডিনেটর তুমি। ইয়া দেখাও, ডকুমেন্ট দেখাও শুয়োরের বাইচ্চাকে। আপনাকে আমি বলছি আপনি এটা সুন্দরভাবে করেন না হলে কিন্তু আপনার ক্ষতি হবে। আপনি অপমানিত হবেন। আমি আপনাকে দেখে নেব। আমি টোকাই না। আই অ্যাম নট কাউ বয়। আই ওয়াজ ল মেকার, আই নো অল। কুত্তার বাইচ্চা ডিসি শুয়োরের বাইচ্চা । এরমধ্যেই কলরেকর্ডটি শেষ হয়।

নারীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ ওসি ও এস আই এর বিরুদ্ধে!!

কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লায় এক নারীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে মেঘনা থানার ওসি ছমির উদ্দিন ও এসআই মো. মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩- এ মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী। পরে আদালতের বিচারক মোয়াজ্জেম হোসেন সহকারী পুলিশ সুপার পদ মর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, মেঘনা থানার শিকিরগাঁও এলাকার এক প্রবাসীর স্ত্রী (২৬) জমির বিরোধ নিয়ে হওয়া মামলার খোঁজ নিতে বেশ কয়েকবার থানায় আসা যাওয়া করেন। এর সূত্র ধরে ওসি ছমির ও এসআই মোশাররফ তাকে প্রায়ই ফোন করতেন। এক পর্যায়ে ওসি ছমির তাকে মেঘনা রিসোর্টে সময় কাটানোর প্রস্তাব দেন। এসআই মোশাররফও প্রায়ই ফোন করে অনৈতিক প্রস্তাব দিতেন। তারা ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ফোন দিতেন। প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় দু’জনেই তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই নারী।

অভিযোগে বলা হয়, গত ২৬ আগস্ট ওই নারীর বোনের জামাইকে গ্রেফতার করতে যান ওসি ছমির ও এসআই মোশাররফ। সেদিন তিনি মামলার ওয়ারেন্ট দেখতে চাওয়ায় এসআই মোশাররফ তাকে থানায় নিয়ে আসেন। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে ওসির রুমে নেওয়া হয়। এ সময় রুমের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওসি তার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন এবং চিৎকার করলে মেরে ফেলার ও ধর্ষণের হুমকি দেন। তখন ওসিকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাকে চড়, থাপ্পড় এবং লাথি মারা হয়। ওই নারী চিৎকার শুরু করলে এসআই মোশাররফ তার গলা চেপে ধরে। পরে তাকে আবারও অনৈতিক প্রস্তাব দেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। তবে তিনি রাজি হননি বলে দাবি করেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম