জাবেদ-মোয়াজ্জেম সিন্ডিকেটের বেসামাল অপকর্ম

স্টাফ রিপোর্টারঃ

বাংলাদেশ ইলেসকট্রিক্যাল মার্চেন্ডাইজ ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশনের (বীমা) সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন এসোসিয়েশনের একটি প্যাড চুরি করে নিজেকে সিনিয়র সহ-সভাপতি উল্লেখ করে অপর একটি বানিজ্যিক সংগঠন বাংলাদেশ ইলেকট্রিক্যাল ক্যাবলস ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। একটি সংগঠনের প্যাড ব্যবহারের সুনির্দিষ্ট বিধি-বিধান থাকে। সংগঠনের সভাপতির অনুমোদন ছাড়া অন্য কেউ প্যাড ব্যবহারের অধিকার রাখে না। কিন্তু মোয়াজ্জেম হোসেন বীমার অফিস থেকে প্যাড চুরি করে আরেকটি সংগঠনের বিরুদ্ধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অভিযোগ দেওয়ার বিষয়টি প্রকাশিত হওয়ায় বীমার সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। বিষয়টি সংগঠনের গঠনতন্ত্র বিরোধী হওয়ায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বীমার সদস্যরা সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও সভাপতি কোন প্রকার আইনগত ব্যবস্থা না নেয়ায় এসোসিয়েশনের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, মোয়াজ্জেম হোসেন বাংলাদেশ ইলেকট্রিক্যাল মার্চেন্ডাইজ এন্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশনের সহযোগি সদস্য। মূলত সে কখনো বীমার সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন না তারপরেও নিজেকে বীমার সিনিয়র সহ-সভাপতি পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশ ইলেকট্রিক্যাল ক্যাবলস ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশনের উপর প্রশাসক নিয়োগ করার আবেদন জানিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি যেই প্যাড ব্যবহার করেন সেটি ছিল বাংলাদেশ ইলেকট্রিক্যাল মার্চেন্ডাইজ এন্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশনের (বীমার) প্যাড। একজন সদস্যের পক্ষে এভাবে প্যাড ব্যবহার করার কোন বিধি-বিধান এসোসিয়েশনে নেই। তারপরেও মোয়াজ্জেম হোসেন কিভাবেই প্যাড ব্যবহার করলেন সেই বিষয়ে নানা প্রশ্ন সামনে চলে আসে। মূলত বাংলাদেশ ইলেকট্রিক্যাল ক্যাবলস ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশনকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য মোয়াজ্জেম হোসেন এই অপকর্মটি করেন। অফিসিয়াল কাজে প্যাড ব্যবহারে একমাত্র অধিকারী ব্যক্তি সভাপতি ও তার মনোনিত ব্যক্তি। সভাপতি নিজেও তার ব্যক্তিগত কাজে সংগঠনের প্যাড ব্যবহারের অধিকার রাখে না। অনুমোদন ছাড়া মোয়াজ্জেমের পক্ষে তো প্রশ্নই আসেনা। মোয়াজ্জেম প্যাড চুরি করে নিয়েছে অথবা কেউ মোয়াজ্জেমকে প্যাড ব্যবহারের সুযোগ করে দিয়েছে বলে দাবী করেন বীমার সদস্যরা।
কারণ এই বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর বীমার বর্তমান সভাপতি আফতাব জাবেদের কাছে বীমার সদস্যরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু বীমার কর্তৃপক্ষ সেই অভিযোগ গ্রহন করেন নাই। পরে অভিযোগকারী সদস্যরা ডাকযোগে অভিযোগ প্রেরণ করেন। এতে বীমার সদস্যদের মধ্যে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। একজন সদস্যের ব্যক্তিগত প্রয়োজনে সংগঠনের প্যাড ব্যবহারের কোন সুযোগ নেই অবগত থাকার পরেও সভাপতি আফতাব জাবেদ কেন মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি এমন প্রশ্নেই প্রমাণিত হয় সভাপতি আফতাব জাবেদ নিজেই স্বার্থ হাসিলের জন্য মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অনিচ্ছুক। মোয়াজ্জেমকে শাস্তি দিলে থলের কালো বেরিয়ে আসবে। এতে সভাপতি জাবেদের মুখোশ খুলে যাবে। সভাপতি আফতাব জাবেদ সিন্ডিকেটের অনেক পরিচালকই অন্যান্য সদস্যদের এবিষয়ে অভিযোগ দায়ের করতে নিষেধ করেছেন। তবে বীমার অনেক সদস্যই বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ দিবেনা বলে বদ্ধপরিকর। তাদের দাবী মোয়াজ্জেম প্যাড চুরি করেছে, তাই চুরির বিচার হতে হবে অথবা সভাপতি আফতাব জাবেদকে মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ার বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে। কারন এটা সংগঠনের সুনাম নষ্ট করেছে। এই বিচারে সভাপতির অনীহা নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

বাংলাদেশ ইলেকট্রিক্যাল মার্চেন্ডাইজ এন্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশনের সদস্য মোঃ মনির হোসেন বলেন, সভাপতির অনুমোদন ছাড়া কারোর পক্ষে প্যাড ব্যবহার করার অধিকার নেই। সংগঠনের প্যাড ব্যবহার করে কেউ নিজের ব্যক্তিগত কাজ করতে পারেন না। মোয়াজ্জেম হোসেন কিভাবে কাজটি করেছে তা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ অভিযোগটি গ্রহণ করে নাই। পরে ডাকযোগে পাঠিয়েছি। কিন্তু এবিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের কেন এমন অনীহা তা আমার বোধগম্য নয়।

এব্যাপারে বীমার সভাপতি আফতাব জাবেদ বলেন, কেউ অভিযোগ দায়ের করলে বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ারবাজারে আসতে চায় জেনিথ লাইফ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দেশের চতুর্থ প্রজন্মের বীমা প্রতিষ্ঠান জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ১৫ কোটি টাকা তুলতে চায়। এ জন্য কোম্পানিটি নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আবেদন করেছে।

বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

সূত্রটি জনায়, কোম্পানিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ১.৫ কোটি সাধারণ শেয়ার ইস্যু করে ১৫ কোটি টাকা তুলবে। এই টাকা দিয়ে কোম্পানিটি ব্যবসা সম্প্রসারণ করবে।

২০১৩ সালের জুলাইয়ে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সকে বাংলাদেশে জীবন বীমা ব্যবসা করার অনুমোদন দেয় বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। অনুমোদন পেয়ে ওই বছরের আগস্ট থেকেই ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করে কোম্পানিটি।

কোম্পানির প্রসপেক্টাস অনুসারে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত, জেনিথ ইসলামী লাইফ ২৮.৩৪ কোটি টাকা নিট প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে; যা আগের বছরে ছিলো ৩০.৩ ২ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে কোম্পানিটির লাইফ ফান্ড ছিলো ১৭.৭৬ কোটি টাকা, যা এক বছর আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।

কোম্পানিটির বিনিয়োগ ক্রমান্বয়ে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২.৭৬ কোটি টাকা, যা এক বছর আগের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেশি। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ২২.৫০ কোটি টাকা।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের