গাড়ি চালকের বেপরোয়া আচরণে আতঙ্কিত এলাকাবাসী

মো: মহিব্বুল্লাহ, স্টাফ রিপোর্টার:

রাজধানীর কাওলা গোয়ালবাড়ি মাদ্রাসা রোডের ভোরবেলার শান্ত পরিবেশ ভেঙে দেয় এক প্রাইভেট কারের কর্ণভেদী হর্ণ।

ফজরের নামাজ শেষে ফাঁকা রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন মুসল্লীরা। হঠাৎ দ্রুতগতিতে পেছন থেকে আসা গাড়িটি অকারণে হর্ণ বাজাতে থাকে। এতে ভয় পেয়ে হোঁচট খান এক মুরুব্বি।

ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক এগিয়ে এসে শান্তভাবে চালককে বলেন, “ভাই, হর্ণটা না বাজালেও পারতেন, মানুষ ভয় পেয়ে গেছে।” কিন্তু কথা শেষ হতেই চালক ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন এবং পরে ওই সাংবাদিককে গলা ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন।

আঘাতপ্রাপ্ত সাংবাদিক বলেন, “আমি একজন সাংবাদিক। শুধুমাত্র শান্তভাবে কথা বলার জন্য আমাকে আক্রমণ করা হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ অমানবিক ও ভয়ঙ্কর আচরণ।”

স্থানীয়রা জানান, ভোরের নীরবতা ভেঙে এমন কাণ্ডে তারা হতবাক হয়ে পড়েন। এক বাসিন্দা বলেন, “ভোরবেলায় এমন হট্টগোলে মনে হচ্ছিল পুরো পাড়া আতঙ্কে ভরে গেছে।”

ঘটনার পর স্থানীয়রা আহত সাংবাদিককে সহযোগিতা করেন এবং থানায় লিখিত অভিযোগ করার পরামর্শ দেন। তারা জানান, “আমরা এমন আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই।

পুলিশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চট্টগ্রামে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারি রিকশা!!

 

রায়হান হোসাইন, চট্টগ্রামঃ-সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার সিদ্ধান্ত তোয়াক্কা না করে কিছু অসাধু ব্যক্তি পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকার প্রধান সড়কে। প্যাডেল চালিত রিকশার চেয়ে এর গতি বেশি হওয়ায় বাড়ছে দুর্ঘটনা। নগর পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ থেকে অভিযান চলমান থাকলেও তা কমানো যাচ্ছে না।

জানা গেছে, প্রতিটি ব্যাটারি রিকশার চালক থেকে দৈনিক ১৪০ টাকা চাঁদা তোলা হয়, যার মধ্যে ১০ টাকা গ্যারেজ ভাড়া, অর্থাৎ ১৩০ টাকা মূল চাঁদা। তাহলে ৬০০ টি ব্যাটারি রিকশা থেকে দৈনিক আদায় হয় ৭৮ হাজার টাকা। প্রতি মাসে প্রায় ২৩ লক্ষ ৪০ হাজারটাকাও বেশি এবং বছরে দাঁড়ায় প্রায় ২ কোটি ৮৪ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। এই সব টাকা প্রশাসন থেকে শুরু করে, এলাকার নেতা, এবং বিভিন্ন মহলে গিয়ে ভাগভাটোয়ারা হয়।

যাত্রীদের অভিযোগ, অধিকাংশ অটোরিকশা চলাচ্ছে শিশু-কিশোর এবং অন্য পেশা থেকে আসা শ্রমিকরা। এসব চালকদের বেপরোয়া ও বিশৃঙ্খলা অটোরিকশা চালনার কারণে প্রতিনিয়তই ঘটেছে দুর্ঘটনা। এতে নগরবাসী রয়েছে চরম ভোগান্তিতে।

তাছাড়া এসব যানে ব্যবহৃত হচ্ছে অবৈধ বিদ্যুৎ। বিশেষ করে এলাকা ভিত্তিক এলাকা গুলোতে বেশ কয়েকটি ব্যাটারি চালিত রিকশার গ্যারেজ রয়েছে। ওইসব গ্যারেজে অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহার করে ওই রিকশার ব্যাটারি চার্জ দেওয়া হয়। এতে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। আর লাভবান হচ্ছে অসাধু অটোরিকশা মালিকরা।

প্যাডেল চালিত রিকশা চালকেরা বলেন, প্যাডেল চালিত রিকশা বৈধ হলেও ব্যাটারি রিকশার কারণে আমরা ভাড়া পাচ্ছিনা, এই সব অবৈধ ব্যাটারি রিকশা প্রশাসনকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে চলছে। শুধু তাই না, প্রায় সময় দুর্ঘটনা ঘটে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম