নুরুলের মিথ্যা মামলায় চরম বিপাকে মাসুম

স্টাফ রিপোর্টারঃ

রাজধানীর গুলশান থানাধীন মামলাবাজ মোহাম্মদ নুরুল ইসলামের মামলার কারণে বিপাকে রয়েছেন ব্যবসায়ী মাসুম মল্লিক । এক মিথ্যা মামলা আর হয়রানিমূলক অভিযোগে বিভিন্নভাবে আর্থিক ক্ষতি ও সামাজিক সম্মানহানির কারণে ভুক্তভোগী পরিবারটি অতিষ্ঠ। মাসুম মল্লিকের ব্যবসার দিকে কুনজর পড়েছে নুরুল ইসলামের তাই আর্থিক লেনদেন করে পাওনা টাকার সিংহভাগ পেয়েও অস্বীকার করে উল্টো মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে বিপাকে ফেলে মাসুম মল্লিককে। নুরুল ইসলামের মিথ্যা মামলায় জেল হাজত থেকে বের হয়ে বিগো মুখো মহানগর হাকিম এর আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন মাসুম মল্লিক। মামলা সূত্রে জানা যায়, এম আর গার্মেন্টস এক্সেসরিজ এর একক মালিকানায় দীর্ঘদিন যাবত ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন মাসুম মল্লিক। তিনি তার উৎপাদিত পণ্যে বিভিন্ন গার্মেন্টস কোম্পানিতে সরবরাহ করেন অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম ভুক্তভোগী মাসুম মল্লিকের প্রতিষ্ঠানের এ টু জেড কম্পানির একজন কর্মচারী সেই সুবাদে তাদের পরিচয় হয়। পরে এই পরিচয় সূত্র ধরেই নুরুল ইসলাম ভুক্তভোগী মাসুম মল্লিককে তার কোম্পানির অংশীদার হওয়ার জন্য প্রস্তাব দেয় যে,নুরুল ইসলামের পরিধি বিস্তার করার জন্য অর্থনৈতিক সহায়তা সহ যাবতীয় কামনা করেন। মাসুম মল্লিক সরল বিশ্বাসে অভিযুক্ত নজরুল ইসলামের ফাঁদে পা দিয়ে বিপাকে পড়েন, পরে মাসুম মল্লিক অভিযুক্ত নুরুল ইসলামের সঙ্গে এক হাজার টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে বিগত ০১/১১/২০১৭ ইং একটি ব্যবসায়িক চুক্তি করেন। ব্যবসায়িক ডীড অনুযায়ী নুরুল ইসলাম কোম্পানিকে বিভিন্ন সময় ও তারিখ কে সর্বমোট ২১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করেন এবং সুকৌশলে মাসুম মল্লিকের থেকে গ্রান্ডার চেক হিসেবে তিনটি চেক গ্রহণ করেন।
কিন্তু ১০/০২/২০১৮ ইং মাসুম মল্লিকের ব্যবসায় সফলতায় এবং কোম্পানির অতি দ্রুত বিস্তার লাভ ঘটলে নুরুল ইসলাম প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করে।
নুরুল ইসলাম মাসুম মল্লিক কে বলেন, কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে তার নামে কোম্পানির নামকরণ করতে হবে আর যদি সেটা করা না হয় তাহলে তিনি আর অংশীদার থাকবেন না। কিন্তু ভুক্তভোগী মাসুম মল্লিক অভিযুক্ত নুরুল ইসলামের এই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে মাসুমের সাথে সকল ধরনের সহযোগিতা বন্ধ করে দেন এবং তার মূলধন ফেরত চান। এতে মাসুম মল্লিক ব্র্যাক ব্যাংক অনলাইনে গেলো ২৭/০৫/২০১৮ ইং পর্যন্ত সর্বমোট বারো লক্ষ টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু পরে অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম ভুক্তভোগী মাসুম মল্লিক কে কোন পূর্ব না দিয়েই হিসাবনিকাশ নোটিশ সম্পন্ন করার পূর্বেই ১২ লক্ষ টাকা নেওয়ার পরেও অসৎ উদ্দেশ্যে মাসুম মল্লিকের স্বাক্ষরিত ৩টি চেকের দুইটি চেক থেকে ৮ লক্ষ করে মোট ১৬ লক্ষ টাকা লিখে ব্র্যাক ব্যাংকের জমা দিয়ে চেক ডিজঅনার লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। পরে অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম ভুক্তভোগী মাসুম মল্লিককে ফাঁসাতে অন্যায় ভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে তাকে ফাঁদে ফেলেন।

জানা যায়, নুরুল ইসলামের অজ্ঞাত ভুতের দাপটে সর্বস্বান্ত হয়ে ভুক্তভোগী চকবাজার মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে। ১৬/২ জয়নাব রোড নিচতলায় এটি প্লাস্টিক কারখানায় ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার বাকেরগঞ্জের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী মল্লিকের ছেলে মাসুম মল্লিক। এই ব্যবসার সিংহভাগই কৌশলে হাতিয়ে নেন নুরুল ইসলাম। ভুক্তভোগী মাসুম মল্লিক বলেন, আমি বৰ্তমান ঠিকানা চকবাজার মডেল থানাধীন ১/২ অয়নাগ মোড নীচতলায় একটি প্লাষ্টিক কারখানা গেলো ০১/০৩/১৮ হতে ০১/০৬/২০২০ পর্যন্ত চুক্তিপত্র করে ভাড়া নেই। প্লাষ্টিক কারখানায় মোটামুটি ভালই ব্যবসা করে আসছি। ব্যবসার নিয়মানুযায়ী ওই এলাকায় প্লাষ্টিক দানার দোকান হতে বাকীতে দানা নেই এবং মালামাল তৈরী করে বিভিন্ন গার্মেন্ট কোম্পানীতে সামলাই দিতাম । গার্মেন্ট কোম্পানী টাকা দিলে সে সব টাকা বাকীকৃত দানার দোকান মালিককে দেই । তাতে আমার দানার দোকান মালিকের নিকট ৮,০০,০০০/- (আট লক্ষ) টাকা বকেয়া থাকে । বকেয়া টাকার শিংহভাগ পরিশোধ করলেও এমন অবস্থায় নুরুল ইসলামের সংঘবদ্ধ একটি চক্র আমাকে নানান ফন্দিফিকিরে সর্বস্বান্ত করেছে। মিথ্যা মামলায় হয়রানি করে আমার ব্যবসায়ী ক্ষতি সাধনসহ নুরুল ইসলামের চক্রটির মধ্যে মোঃ সোহাগ (৪০), পিতা বাধা, সাং জয়নাগ রোড, ২। মোঃ আপেল (৩০), পিতা অজ্ঞাত, সাং জানলাম রোড, ৩। মোঃ আমিন (৩০), পিতা অজ্ঞাত, সাং খাজে দেওয়ান ১ম লেন, ৪। মোঃ আরাফাত (২৮), পিতা রাত, বাং খালে দেওয়ান ১ম লেন, ৫। হাসান (৪৫), পিতা অজ্ঞাত, সাং জয়নাগ রোড, ৬। মোঃ মুন্না (৩৫), পিতা অজ্ঞাত, সাং জয়নাগ রোড, ৭। মোঃ আমিনুল (৫০), পিতা অজ্ঞাত, সাং উর্দু রোড, অরটি প্লাষ্টিক, ৮। মোঃ ফাদের (৪০), ৯। মোঃ কালুরা হয়রানি করে আসছে তাই নিরুপায় হয়ে থানা পুলিশের দারস্থ হোন মাসুম মল্লিক ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সূত্র জানায়, নুরুল ইসলামের ভূতের আছরে মাসুম মল্লিকের জীবন দূর্বিষহ হয়ে পড়েছে। একজন বলেন, এই নুরুল ইসলাম আমাকে মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। মাসুম মল্লিকের কারখানাটি নিজের কজ্বায় নিতেই তাকে মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছে নুরুল ইসলাম।

এব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, নিজেও কয়েকটি ব্যাপারে গিয়ে দেখেছি নুরুল ইসলামের অভিযোগগুলো মিথ্যা। তাছাড়া উভয়পক্ষের সকল বিষয় যাচাই করে দেখেছি। নুরুল ইসলামের অভিযোগও সত্য নয়।এ বিষয়ে মন্তব্যজানার জন্য নুরুল ইসলামের মুঠোফোনে বার বার কল দেযা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর মেট্রো জোন: পৌনে ৭ কোটি টাকা আত্মসাতের তদন্ত দুদকে ধামাচাপা

ডেস্ক রিপোর্ট॥
কোনো সরকারি বরাদ্দ নেই। তা সত্তে¡ও ভুয়া বিল ভাউচার দাখিল করে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে প্রকল্পের পৌনে ৭ কোটি টাকা। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের ঢাকা জোনে ঘটেছে এই ঘটনা। এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ শিক্ষা ভবনে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানতে পেরেছে, অর্থ বরাদ্দ না থাকা সত্তেও ভুয়া বিল দাখিল করে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে একটি প্রকল্পের নামে এই জোনের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থ তুলে নিয়েছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনেও এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। দুদক লিখিত এ অভিযোগ আমলেও নিয়েছে। কিন্তু দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধান শুরু করলেও অজ্ঞাতকারণে ধামাচাপা দিয়ে রাখা হয়েছে সেটি। যদিও সংস্থাটির সচিব ড. মুহা: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার দাবি করেছেন, কোনো অনুসন্ধানই ধামাচাপা দিয়ে রাখার সুযোগ নেই।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত অক্টোবরে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের ঢাকা মেট্রো জোনের পৌনে সাত কোটি টাকা আত্মসাতের লিখিত অভিযোগ হাতে পায় দুদক। ‘অভিযোগ বাছাই কমিটি’র প্রাথমিক বাছাইপর্ব চুকিয়ে বিষয়টি ‘অনুসন্ধান-যোগ্য’ মর্মে অভিমত পায় অভিযোগটি। এ প্রেক্ষিতে সংস্থার অনুসন্ধান-তদন্ত শাখা-১ এর অধীন একজন সহকারী পরিচালককে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে থেমে যায় সেই অনুসন্ধান প্রক্রিয়া।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ‘তথ্য-প্রযুুক্তির সহায়তায় শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে নির্বাচিত বেসরকারি কলেজসমূহের উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের ঢাকা জোনের জন্য ৩৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয় (সিএও) থেকে বিল বাবদ অর্থ পরিশোধ করা হয় ৪৬ কোটি টাকার। অর্থাৎ ৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয় বরাদ্দের অতিরিক্ত। এ অর্থ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের ঢাকা জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম আক্তারুজ্জামান, কয়েকজন ঠিকাদার এবং সিএও’র দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার মধ্যে এ অর্থ ভাগ-ভাটোয়ারা হয়।

উল্লেখ্য, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের ঢাকা মেট্রো জোনের লুটপাট-দুর্নীতি নিয়ে ইতিপূর্বে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী পদে দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালা থাকাকালে ঢাকা মেট্রো জোনসহ গোটা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরকেই দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করা হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ঢাকা মেট্রো জোনে এখনো ব্যাপকহারে দুর্নীতি-লুটপাট অব্যাহত রয়েছে।

ঢাকা মেট্রো জোনে বর্তমানে নির্বাহী প্রকৌশলী পদে যিনি আছেন আবুল কালাম মো. আক্তারুজ্জামান, তিনি অধিদফতরের অত্যন্ত জুনিয়র পর্যায়ের প্রকৌশলী হয়েও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই পদে আসতে পেরেছেন শীর্ষ দুর্নীতিবাজ প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালাকে ম্যানেজ করে তার বিশেষ আনুক‚ল্যে। হানজালার অনেক দুর্নীতি-অপকর্মের সহযোগী এই আক্তারুজ্জামান প্রায় চার বছর ধরে একই পদে বহাল রয়েছেন। লুটপাটের কোটি কোটি টাকা মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন জায়গায় বিলি-বণ্টন করেন বলে ঘনিষ্ঠদের তিনি জানিয়েছেন। আর এ কারণেই শত অপকর্ম-দুর্নীতি, জাল-জালিয়াতি সত্তেও তাকে এ পদ থেকে সরানো যাচ্ছে না।

গত প্রায় চার বছরে অধিদফতরের সবচেয়ে আকর্ষণীয়, ঢাকা মেট্রো জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী পদে থেকে অনেক অপকর্ম ও কেলেংকারির জন্ম দিয়েছেন একেএম আক্তারুজ্জামান। তারমধ্যে অন্যতম কেলেংকারি হলো, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়তলা ভবন নির্মাণের কাজে ছয় তলা করেই পুরো বিল পরিশোধ। এর মাধ্যমে অন্তত ৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন খোদ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরেরই তখনকার সংশ্লিষ্ট তত্তাবধায়ক প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন। এ অপকর্মের মূল হোতা ছিলেন প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তখনকার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এরসঙ্গে জড়িত ছিলেন। ফলে খোদ তত্তাবধায়ক প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো কাজ হয়নি। উল্টো এই তত্তাবধায়ক প্রকৌশলীকে মন্ত্রণালয় থেকে নানা হেনস্থা করা হয়েছে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই একাডেমিক ভবনটি ২০০৭ সালে ছয়তলা করা হয়েছিল। দ্বিতীয় দফায় ১৫ তলা পর্যন্ত করার জন্য ২০১৫ সালে নির্মাণ কাজে হাত দেয়া হয়। কিন্তু ১২ তলা পর্যন্ত করে পুরো ১৫ তলার অর্থই হাতিয়ে নেয়া হয়। এটি বাস্তবায়ন হয় নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম মো. আক্তারুজ্জামানের হাত দিয়েই। গণমাধ্যমে এ দুর্নীতি নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। কিন্তু দুর্নীতি ঠেকানো যায়নি হানজালা-আক্তারুজ্জামানের বেপরোয়া প্রবণতার কারণে।

নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম আক্তারুজ্জামান দুর্নীতি-অপকর্মে এতোটা বেপরোয়া যে, উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নে নিয়ম-নীতি, এমনকি সরকারের নির্দেশনাগুলোকেও তোয়াক্কা করছেন না বলে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যাদেশ সম্পর্কে সরকারি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্ধারিত কাজ সঠিক সময় সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হবে। একই ঠিকাদারকে বার বার কার্যাদেশ দেয়া যাবে না। আগের কাজ সময় মতো সম্পন্ন করতে পারেনি এমন ঠিকাদারকে আর কার্যাদেশ দেয়া যাবে না। সরকারি এই নির্দেশনাকে অগ্রাহ্য করে পূর্বের কাজ সম্পন্ন না করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বার বার কার্যাদেশ দিয়েছেন মেট্রো জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী। দুর্নীতি দমন কমিশন যে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তকাজ শুরু করে তাতে এটিও উল্লেখ আছে বলে জানা গেছে।

দুদকের ওই অভিযোগে আরো বলা হয়, প্রকল্পের আওতায় ঢাকার অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে আছে। পছন্দসই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ঢাকা জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী বার বার কাজ পরিসমাপ্তির সময় বাড়িয়ে দিচ্ছেন। এর ফলে ঢাকা কলেজ, বদরুন্নেসা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজের একাডেমিক ভবন, সরকারি তিতুমীর কলেজের বিজ্ঞান ভবন, একাডেমিক ভবন, সিদ্বেশ্বরী কলেজের একাডেমিক ভবন, শের-ই-বাংলা স্কুল ও কলেজের হোস্টেল নির্মাণ কাজ দীর্ঘ সময় ধরে পড়ে আছে অসমাপ্ত অবস্থায়। মিরপুর বাংলা কলেজ, ধানমন্ডি মহিলা কলেজ, ভিকারুন্নিসা নূন কলেসহ ঢাকা জোনের অনেক উন্নয়ন কাজ দীর্ঘদিন ধরে পড়ে রয়েছে। কার্যাদেশ প্রদানেও ঢাকা জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম আক্তারুজ্জামান অবলম্বন করছেন অভিনব কৌশল। একই প্রতিষ্ঠানকে বার বার কার্যাদেশ দেয়া হচ্ছে। টেন্ডারে অংশ নেয়া কোনো প্রতিষ্ঠানকেই নতুন কোনো কার্যাদেশ দেয়া হয় না। এর ফলে টেন্ডারে অংশ নেয়া অনেক প্রতিষ্ঠানের ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটছে। তারা টেন্ডারের সিকিউরিটি মানি প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন। এ সময় টেন্ডারে অংশ নেয়া ঠিকাদারদের কাছ থেকে এই মর্মে মুচলেকা নেয়া হয় যে, কার্যাদেশটি অন্য কেউ পেলেও এতে তাদের কোনো দাবি-দাওয়া থাকবে না।অভিযোগে বলা হয়, প্রায় চার বছর একই চেয়ারে থেকে ঢাকা জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম আক্তারুজ্জামান যোগসাজশের মাধ্যমে পছন্দসই ঠিকাদারদের কার্যাদেশ দেন। বিনিময়ে হাতিয়ে নেন কোটি কোটি টাকা। অবৈধ অর্থে বিনা অনুমতিতে তিনি সপরিবারে বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। এমন সুনির্দিষ্ট ও গুরুতর অভিযোগগুলো দুদকে ধামাচাপা পড়ে থাকার ঘটনা রহস্যজনক এবং দেশের জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করছেন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের কর্মকর্তারা।
সূত্রঃ (সাপ্তাহিক শীর্ষকাগজে ১৬ আগস্ট ২০২১ প্রকাশিত)

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আমদানি করলে দিতে হবে না ভ্যাট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎতে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব ফকরুল বাংলাদেশে ইতিহাস গড়ল উইন্ডিজ দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন রাজউক ইমারত পরিদর্শক শামীম রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে কে জিতবে, তা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচেছ ট্রাম্প নাসার চন্দ্র মিশনে স্পেসএক্স জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে নতুন করে দেড় হাজারের বেশি আবেদন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি