মেঘনায় পল্লী চিকিৎসকদের প্রতারণা বেড়েই চলছে

স্টাফ রিপোর্টারঃ

মানুষকে ধোঁকা দিতে শিক্ষা লাগে না, তবে সামান্য বুদ্ধি আর চালাক-ই যথেষ্ট। এই বুদ্ধি আর চালাকিকে পুঁজি করেই কুমিল্লা মেঘনা উপজেলার মানিকারচর বাজার সহ আশেপাশের বাজার গুলোতে পল্লি চিকিৎসকের ধোঁকাবাজি যেন প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। এলএমএএফ, আরএমপি, ডিএমএস ডিগ্রী দিয়েই চিকিৎসা চালাচ্ছে অনেকেই। না বুঝে ফার্মাকোলজি, না বুঝে গাইনেকোলজি, না বুঝে এনাটমি ও ফিজিওলজি। রোগীদের রোগ নির্ণয় করার মতো তাদের কোনো জ্ঞান না থাকলেও এন্টিবায়োটিক ও স্টেরয়েড মেডিসিনই তাদের মূল জ্ঞান। এই কয়েক প্রকার ঔষধ দিয়েই রোগীদের চিকিৎসা চালিয়ে নামি-দামি ডাক্তার বনে গেছে অনেকেই। কেউবা হয়ে উঠেছে কোটিপতিও।

নামের আগে ডাক্তার লিখতে না পারলেও সামান্য জ্বর, সর্দি ও কাশি হলে রোগীদের মৌখিকভাবে এন্টিবায়োটিক ও স্টেরয়েড ঔষধ কৌশলে চালিয়ে দিচ্ছে হাতুড়ে ডাক্তাররা। লিখিত কোনো প্রমাণ না থাকায় তাদের প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মহল। স্টেরয়েড ও এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করলেই অল্প সময়ে রোগীর রোগ নিরাময় সহ চিকিৎসকের পরিচিতি লাভ করা একেবারেই সহজ।

উপজেলার সহজ সরল মানুষ গুলোকে যখন তারা চিকিৎসা দিয়ে থাকে, তখন এন্টিবায়োটিক ও স্টেরয়েড ঔষধ দিয়ে চিকিৎসা দিয়ে থাকে। রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার সাথে সাথে রোগী খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন। তখন রোগী ও স্বজনরা মনে করে ওনারা অনেক বড় ডাক্তার। আসলে ওনারা যে কতো বড় ডাক্তার এটা সাধারণ জনগণ না বুঝলেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ঠিকই বোঝেন। তবে কিছুই করার থাকেনা চিকিৎসকদের!

কথিত মেঘনা উপজেলার মানিকারচর বাজারের নুরুল ইসলাম ওরফে নুরু ডাক্তারের ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পল্লি চিকিৎসক বলেন, নুরু ডাক্তার রোগীদের অনেক ইঞ্জেকশন ও স্টেরয়েড ড্রাগ ব্যবহার করে থাকেন। যার ফলে রোগীরা খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, তার দোকানে নারকোটিক ঔষধ, ফিজিশিয়ান সেমপল ও বাহিরের কিছু ঔষধ অহরহ বিক্রি করছে। তার প্রেসক্রিপশন করার বৈধতা না থাকলেও সাদা কাগজে লিখে দিচ্ছে রোগীদের ঔষধ। এই অনিয়ম চিকিৎসা ব্যাবস্থা চালিয়ে তিনিও হয়ে গেছেন নামি-দামি ডাক্তার।

এ ব্যাপারে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসার ডাঃ সায়মা রহমান দৈনিক সবুজ বাংলাদেশকে বলেন, নুরু ডাক্তারের ব্যাপারে যদি কোন প্রমাণ থাকে তাহলে আমাকে দিন। আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।

তিনি আরও বলেন, পল্লী চিকিৎসক লাইসেন্স ব্যতীত নারকোটিক জাতীয় ঔষধ বিক্রি করতে পারবেন না। এমনকি রোগীকে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া স্টেরয়েড ও এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে খুব শীগ্রই আমি এসমস্ত পল্লী চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসবো।

পুরান ঢাকায় সাংবাদিকতার পরিচয় ভয়ংকর অপরাধ ! এদের  কেউ কেউ নিজের নাম পর্যন্ত লিখতে পারেন না ,চলেন ম্যানেজার নিয়ে !

মাসুদ রানা জীবন ( বিশেষ প্রতিনিধি )ঃ

বেশ কয়েক বছর ধরে দাম সর্বস্ব গনমাধ্যমের স্টিকার ব্যবহার করে সোয়ারি ঘাট, চকবাজার , ইসলামবাগ এর বিভিন্ন জায়গা , বংশাল , কামরাঙ্গীরচর ও কেরানীগঞ্জের কিছু কিছু এলাকায় চাঁদাবাজি করে আসছে ভয়ঙ্কর এই চক্রটি ! তাদের চলাফেরা স্টাইল কথাবার্তার ধরন দেখলে নিঃসন্দেহে মনে হতে পারে এরা কোনো বড় মাপের সাংবাদিক ! এরা মূলত ভিন্ন পেসা থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসেছে ,কেউ কেউ সাংবাদিকদের সাথে সখ্যতা থাকার দরুন, দেখতে দেখতে সাংবাদিক বনে গেছেন ! সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তাদের তান্ডব সহিতে হয় সাধারণ ব্যবসায়ীদের । তাদের হাত থেকে বাঁচতে প্রায় অর্ধশতাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ইতিমধ্যে এলাকার ছেড়েছেন ! যারা আছেন তাদের গুনতে হচ্ছে মাস শেষে মোটা অংকের বখরা ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন ,, সবচাইতে বেশি চাঁদাবাজি হয় সোয়ারি ঘাট এলাকায়. কেরানীগঞ্জ থেকে চকবাজার কিংবা মৌলভীবাজার মালামাল প্রবেশকালে ব্যবসায়ীদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন প্রতিনিয়ত ! এলাকায় নিজেদের আধিপত্য বিস্তার ও রক্ষা করার জন্য স্থানীয় বেশকিছু মাদকসেবীদের সাথে তাদের সখ্যতা রয়েছে এবং প্রায় শতাধিক ছোট মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাদের ছত্রছায়ায় অদ্যবধি চলছে । চক্রের প্রধান পরিকল্পনাকারী ও দুই সোর্স বেসরকারি একটি টেলিভিশনের পেশাদার সাংবাদিকদের আত্মীয়’র কখনো’বা পুলিশের বড় কর্মকর্তার আত্মীয়র পরিচয় দিয়ে মানুষকে বোকা বানিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন । ভুক্তভোগী অনেকে দাবি জানিয়েছেন রাত ১১-২ টার দিকেও ব্যবসায়ীদের মাল আটকিয়ে মুক্তিপণ আদায় করেন তাহলে এরা রিপোর্ট লিখেন কখন ? কোন নিউজ তাদের ছাপা হয় না কিন্তু কেন
? এলাকাবাসীর কয়েকজন বাড়ির মালিক অভিযোগ করেন তাদের হয়রানির কারণে ভাড়াটিয়ারা শান্তিতে বসবাস করতে পারে না । ৮-১০জনের সিন্ডিকেট সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন চায়ের দোকান সহ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান মাদক সেবনের অভিযোগ পাওয়া গিয়ছে । ব্যবসায়ীদের একটি বড় অংশ বিনয়ের সহিত প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন ,, যেন তারা সাদা পোশাকে কিংবা তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনের সর্বোচ্চ শাস্তির আনা হয় । এদিকে সাংবাদিক নেতাদের কেউ কেউ বলছেন অপসাংবাদিকতা ও চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হলে পেশাদার সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং অপসাংবাদিকতা বন্ধ করতে প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ও সুধী সমাজের ব্যক্তিবর্গ কে এগিয়ে আসতে হবে ।
★ ভুয়া সাংবাদিক চেনার কিছু কৌশলঃ একশ্রেণীর প্রতারক ও ভূয়া ভন্ডদের অপরাধ অপকর্ম থেকে নিরীহ জনসাধারণকে সুরক্ষা করা প্রকৃত সাংবাদিকদের নৈতিক দায়িত্ব। কারা প্রকৃত সাংবাদিক কারা ভূয়া সাংবাদিক সে ব্যাপারে সচেতন করে তোলা প্রয়োজন সবাগ্রে। যেসব আচরণ, প্রমাণাদি দেখে ভূয়া সাংবাদিক চিহ্নিত করবেন তার কয়েকটি নমুনা উল্লেখ করা হলো। ১) সাংবাদিকতার বেশভূষা পরিধান করে বুকে-পিঠে আইডি কার্ড ঝুলিয়ে বিকেল-সন্ধায় কেউ কি আপনার সামনে হাজির হয়েছৈন ? জেনে রাখুন-এ সময়টা সাংবাদিকদের নিজ নিজ অফিসে পিক আওয়ার চলে। এ সময় কোন সাংবাদিককের অফিসের বাহিরে অবস্থান করা দেখে বুঝে নিন তিনি পেশাদার সাংবাদিক নন। ২) সাংবাদিক হিসেবে একাধিক পত্রিকা/একাধিন টিভি চ্যানেল কিংবা একাধিক অনলাইনের আইডি কার্ড ব্যবহারকারীরা নিঃসন্দেহে অপেশাদার-অপসাংবাদিক। চাকরি বিধান অনুযাযী একই স্টাইলের দুটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা কিংবা বেতন তোলা মোটেও বিধি সম্মত নয়। ৩ ) কোন সংবাদের তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রকৃত সাংবাদিক কখনই জোর জবরদস্তি করেন না। তথ্যের জন্য কাউকে ধমক ধামকি, হুমকি কিংবাক ভয়-ভীতি প্রদর্শনকারীরা নিঃসন্দেহে ভূয়া। ৪ ) অশুদ্ধ উচ্চারণ, সন্দেহমূলক কথাবার্তা ও অসংলগ্ন আচরণ পরিলক্ষিত হলে এক টুকরো সাদা কাগজ ও কলমটা এগিয়ে দিয়ে বলুন- তার নাম, পদবী আর কর্মস্থল (কোন হাউসে আছেন ) নামটি ইংরেজীতে শুদ্ধভাবে লিখে দিন। প্রতি বর্ণের ভুলে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন। ৫ ) সভ্যতা-ভদ্রতা রক্ষা করেই একবার সাংবাদিক সাহেবকে জিজ্ঞাসা করুন – ৬ মিনিটের মধ্যে একটা সংবাদ লিখুন ।
চলবে………..

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আমদানি করলে দিতে হবে না ভ্যাট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎতে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব ফকরুল বাংলাদেশে ইতিহাস গড়ল উইন্ডিজ দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন রাজউক ইমারত পরিদর্শক শামীম রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে কে জিতবে, তা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচেছ ট্রাম্প নাসার চন্দ্র মিশনে স্পেসএক্স জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে নতুন করে দেড় হাজারের বেশি আবেদন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি