পর্দা কেলেঙ্কারির হোতা সাজ্জাদ মুন্সিকে কাজ দিতে শর্ত ভঙ্গ

মাঠপর্যায়ের তথ্য সংগ্রহ করে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) বিভাগে পাঠানোর জন্য ৫ হাজার ৭৯০টি ট্যাবলেট পিসি কিনছে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর। এ জন্য সর্বনিম্ন দরদাতাকে কার্যাদেশ প্রদানের আনুষ্ঠানিকতাও প্রায় সম্পন্ন। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, বিতর্কিত ঠিকাদারের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে এ ক্ষেত্রে সূক্ষ্মভাবে কিছু অনিয়মের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, ট্যাবলেট পিসি কেনার টেন্ডার প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ শর্ত সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছে। টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশনের প্রথম শর্তে বলা আছে, ট্যাবলেট পিসি হতে হবে ‘স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের’। কিন্তু এ ক্ষেত্রে শর্তের ব্যত্যয় ঘটিয়ে দেশীয় কোম্পানি ওয়ালটনের ট্যাবলেট পিসি কেনার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। আর এই অনিয়ম করা হয়েছে বিতর্কিত ঠিকাদারকে কাজ দেওয়ার জন্য।

জানা গেছে, ট্যাবলেট পিসিগুলো কিনতে ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। ইতিমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। কার্যাদেশ দেওয়া হচ্ছে ‘আয়ান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল’ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে, যার মালিক সাজ্জাদ মুন্সি। তিনি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ‘পর্দা কেলেঙ্কারি’র হোতা। এ কারণে তাঁকে কারাভোগও করতে হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের কালো তালিকাভুক্ত দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিকানাও তাঁর পরিবারের।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সুপারিশে ২০২০ সালের ৯ জুন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব হাসান মাহমুদের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ১৪ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই তালিকার দুটি প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স অনিক ট্রেডার্স’ এবং ‘মেসার্স আহমেদ এন্টারপ্রাইজ’-এর মালিকানার পেছনেও রয়েছেন সাজ্জাদ মুন্সি। যদিও ট্রেড লাইসেন্সে কোনোটিতে ছেলের নাম, আবার কোনোটিতে ভাইয়ের নাম দিয়ে রেখেছেন তিনি।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা জানান, ওই ঠিকাদারের যোগসাজশে টেকনিক্যাল সাবকমিটিকে চাপ প্রয়োগ করছেন অধিদপ্তরের একজন পরিচালক ও একজন উপপরিচালক।

প্রসঙ্গক্রমে তাঁরা এটাও বলেন যে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ২০২২ সালে প্রায় ৪ লাখ ওয়ালটন ট্যাবলেট পিসি ক্রয় করে, যা বর্তমানে অচলাবস্থায় পড়ে আছে। এসব ট্যাবলেট পিসি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিতরণের সুপারিশ করা হয়। কিন্তু কোনো মন্ত্রণালয় সেগুলো নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেনি। এত কিছুর পরেও অধিদপ্তরের একটি অসাধু চক্র সরকারের বিপুল অর্থের ক্ষতিসাধন করতে এই উদ্যোগ নিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (লজিস্টিকস অ্যান্ড সাপ্লাই) মো. হুমায়ূন কবীর তালুকদার বলেন, কার্যাদেশ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। কারিগরি কমিটি সুপারিশ করেছে। এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ও কার্যাদেশ দেওয়া হয়নি।

বিতর্কিত ও কালো তালিকাভুক্ত ঠিকাদারকে কাজ দেওয়ার প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে এই পরিচালক বলেন, এ বিষয়ে তাঁর জানা নেই, এমনকি তাঁকে কেউ তা জানায়নি।

এছাড়া পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে দুর্নীতি, লুটপাট এবং বদলী ও পদায়ন বাণিজ্যে করে যাচ্ছে একটি চক্র। দীর্ঘদিন ধরে অপকর্ম গুলো চালিয়ে যাওয়ার মূল হোতাদের অন্যতম হলেন সহকারী পরিচালক সমন্বয় কারী মতিউর রহমান। সে দীর্ঘ একযুগেরও বেশি সময় ধরে একই চেয়ারে থেকে বহাল তবিয়তে সিন্ডিকেট পরিচালনা করেন। কথিত আছে যে ডিজিই আসুক না কেনো মতিউরকে সরাতে পারে না। বরং মতিউরের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এছাড়া পরিচালক প্রশাসন খান মো: রেজাউল করিম নিজেকে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির ঘনিষ্ঠ লোক পরিচয় দিয়ে চলে। ডিজিকে পরিচালক প্রশাসন একদম পাত্তা দেন না। অধিদপ্তের সকল ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে রেজাউল করিম জড়িত, মতিউর রহমান ও রেজাউল করিমের অবৈধ কালো থাবা থেকে বাঁচতে পারেনি একজন ডা: মনোয়ার নামে এক মেডিক্যাল অফিসার। প্রমোশন/পদায়নের জন্য পঞ্চাশ লাখ টাকা দাবি করেছিলো এই চক্রটি। মনের দুঃখে ঐ কর্মকর্তা অফিসেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। যা অনুসন্ধানে আরো অজানা সত্য ও ভয়াবহ দুর্নীতি ও লুটপাটের ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

জামায়াত আমিরের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করায় ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ

ডেস্ক রিপোর্ট:

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ২০শে জুলাই, রবিবার, নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টে তিনি এই ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

ফেসবুক পোস্টে জামায়াত আমির উল্লেখ করেন যে, শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সভামঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়ার পর প্রধান উপদেষ্টা তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন এবং তার প্রেস সচিবকে হাসপাতালেও পাঠিয়েছেন। ডা. শফিকুর রহমান এই সহমর্মিতাকে ‘স্মরণীয়’ বলে অভিহিত করেছে

ন।

অসুস্থতার সময় খোঁজখবর নেওয়ায় অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা
এছাড়া, আরেকটি পৃথক পোস্টে জামায়াত আমির আরও অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, তার অসুস্থতার খবর পেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দেশ-বিদেশের বহু গণ্যমান্য ব্যক্তি তার খোঁজখবর নিয়েছেন ও দোয়া করেছেন। হাসপাতালে স্বল্প সময় অবস্থানকালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ তার সাথে সাক্ষাৎ করেন।

ডা. শফিকুর রহমান আরও জানান, ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমদ, খেলাফত মজলিসের আমির হযরত মাওলানা আব্দুল বাসিত আজাদ, মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের, খেলাফত আন্দোলন, এনসিপি, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামসহ বিভিন্ন ইসলামী ও জাতীয় নেতৃবৃন্দও তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের জাতীয় সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে জামায়াত আমির এক পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে মঞ্চে পড়ে যান। এর কিছুক্ষণ পরই তিনি উঠে কথা বলেন এবং পরে সমাবেশ শেষে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আমদানি করলে দিতে হবে না ভ্যাট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎতে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব ফকরুল বাংলাদেশে ইতিহাস গড়ল উইন্ডিজ দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন রাজউক ইমারত পরিদর্শক শামীম রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে কে জিতবে, তা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচেছ ট্রাম্প নাসার চন্দ্র মিশনে স্পেসএক্স জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে নতুন করে দেড় হাজারের বেশি আবেদন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি