বিএসএমএমইউ অনিয়ম, লোপাট আড়াইশো কোটি টাকা!

সবুজ বাংলাদেশ ডেক্স॥
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটির ২৯টি খাতে প্রায় ২৪৬ কোটি টাকা লোপাটের চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিভিন্ন খাতের অনিয়মের মধ্যে রয়েছে- বিল-ভাউচার ছাড়া ব্যয়, যন্ত্রপাতি না কিনলেও ঠিকাদারকে অর্থ পরিশোধ, পিপিআর বিধিমালা লঙ্ঘন করে অনিয়মিত ব্যয়, নির্মাণ ও মেরামতে অনিয়মিত ব্যয় ইত্যাদি।

বিএসএমএমইউয়ের এ আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুদক। পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিবেদন এবং হাসপাতালটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগ আমলে নিয়ে দুদক চলতি বছরের জুনে সংস্থাটির উপপরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বেশ কিছু তথ্য চেয়ে দুদক বিএসএমএমইউকে চিঠি দিয়েছে গত ২৬ জুন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও এর জবাব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে জানা যায়।

অনুসন্ধান দলের সদস্য সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলমকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি কিছু বলতে রাজি হন নাই।

বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী, বিএসএমএমইউয়ের চিকিৎসাসেবা জনকল্যাণমূলক হিসেবে বিবেচিত। তবে এই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রোগীদের স্বল্পমূল্যে চিকিৎসার বিষয়টি আমলে না নিয়ে বাড়ানো হয় হাসপাতালটির অপারেশন ও চিকিৎসাসেবার ফি। এভাবে রোগীদের কাছ থেকে আদায় করা হয় বাড়তি ৮৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা।

প্রতিষ্ঠানটির ২০১৭-২০১৮ সালের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষা প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, বাজারে ওষুধের মূল্যবৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে অপারেশন চার্জ বাড়িয়ে অতিরিক্ত টাকার বড় অংশ কমিশন হিসেবে বণ্টন করে নেন হাসপাতালটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। যদিও নিরীক্ষাকালে চিকিৎসাসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান থাকায় অনুসন্ধানী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলম এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অডিট আপত্তির অনেক কিছুই সে সময় নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, অনুসন্ধান কেবল শুরু হয়েছে। শুরু হলেই তো কিছু বলা যায় না। অনুসন্ধান কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনুসন্ধান শেষ করবেন তিনি। প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অডিটের কিছু বিষয় নিষ্পত্তি করা হয়েছে। চাহিদামাফিক বেশ কিছু প্রশ্নের জবাবও দেওয়া হয়েছে।

নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উঠে আসা অনিয়মের মধ্যে ৮৩ কোটি ২৬ লাখ ১০ হাজার ৭৩৪ টাকা বিভাগীয় প্রাপ্তি বিশ্ববিদ্যালয় তহবিলে হস্তান্তর না করা, অব্যয়িত ২৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা বছর শেষ না করে সমর্পণ না করা, বিভাগীয় আয় থেকে অনিয়মিতভাবে ল্যাবরেটরি সার্ভিসেস পরিচালনা কমিটির ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর, ব্যয়ের সমর্থনে ৪২ কোটি টাকার বিল/ভাউচার না পাওয়া, আইন লঙ্ঘন করে ইউজার ফির পৌনে ১৪ কোটি টাকা ডাক্তার, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টন।

এছাড়া অহেতুক অপারেশন চার্জ ও আইসিইউ চার্জসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চার্জ বৃদ্ধি, পিপিআর বিধিমালা লঙ্ঘন করে ১৯ কোটি ৯২ লাখ টাকার অনিয়মিত ব্যয়, বিল থেকে ভ্যাট ও আয়কর কর্তন না করায় ৬৯ লাখ টাকার রাজস্ব ক্ষতি। ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ করার সমর্থনে প্রয়োজনীয় প্রমাণক না পাওয়ায় এক কোটি ৮৭ লাখ টাকার অনিয়মিত ব্যয়, নির্মাণ, মেরামতে ৬৭ লাখ টাকার অনিয়মিত ব্যয়, ৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ের সমর্থনে রেকর্ড সংরক্ষণে অনিয়ম, অতি জরুরি এমএসআর (ইটিটি মেশিন) না কেনায় রোগীদের ভোগান্তি ও বার্ষিক ৩০ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি।

অন্য অনিয়মের মধ্যে রয়েছে- মেডিকেল ওয়েস্ট ট্রিটমেন্টটি পারমানেন্ট সাইটে প্লেসমেন্ট না করেই তিন কোটি ৩৩ লাখ টাকার বিল পরিশোধ, অকেজো লিফট রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ ৩২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা খরচ, এই কার্যাদেশের বিপরীতে দুবার বিল পরিশোধ, কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের আয়ের হিসাবে গরমিল ইত্যাদি।

দুদক সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটির ২৯টি খাতে ২৪৬ কোটি ১৪ লাখ ৭১ হাজার ৬৮৮ টাকার অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে বলে নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

২০১৭-১৮ অর্থবছরে চিকিৎসা ব্যয় বাড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে এক কোটি ৭১ লাখ ৯১ হাজার ১০৯ টাকা। এছাড়া একই সময়ে ইভনিং ইনসেনটিভ হিসেবে ১৫ লাখ ৮৮ হাজার ৪১২ টাকা জমা করা হয়। ওই সময় অপারেশনের ফি দ্বিগুণ বাড়িয়ে রোগীদের কাছ থেকে আদায় করা হয় বাড়তি ৮৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা, যা অসহায়, বিপদাপন্ন রোগীদের প্রতি সেবার প্রমাণ নয় উল্লেখ করে প্রতিবেদনে অপারেশনসহ সার্বিক চার্জ কমিয়ে পুনর্নির্ধারণ করার সুপারিশ করা হয়েছে।

জানা যায়, ওই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মোট বার্ষিক খরচের চেয়ে আয় অনেক বেশি বা দ্বিগুণ, যা অপারেশন চার্জ দ্বিগুণ করার কারণে হয়েছে। ২০১৩ সালের সিন্ডিকেট সভায় এ চার্জ দ্বিগুণ করার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।

দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের মার্চের কোটেশন বিজ্ঞপ্তির আলোকে পরের বছরের সেপ্টেম্বরে ইস্যু করা এক লাখ ১৭ হাজার ৫শ টাকার মালামাল সরবরাহের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে মালামাল সরবরাহের জন্য দুই লাখ ৩৫ হাজার টাকার দুটি বিল ধরা হয়। কার্যাদেশের দ্বিগুণ এই অর্থ ২০১৮ সালের মে মাসে চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়। যদিও বিল দুটিতে উল্লেখিত মালামাল মজুত বইতে লিপিবদ্ধ করা হয়নি।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, কার্ডিয়াক সার্জারির তিনটি ওটিতে প্রতিদিন একজন করে কমপক্ষে তিনজন রোগীর অপারেশন করা হয়। প্রতিটি অপারেশনের সর্বনিম্ন নির্ধারিত খরচ এক লাখ ৩০ হাজার টাকা। ছুটি ও অন্যদিন ছাড়া প্রতিবছর কমপক্ষে ১১ কোটি ৭০ লাখ টাকা আয় হওয়ার কথা থাকলেও এ খাতে বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে চার কোটি ১৩ লাখ টাকা, যা সম্ভাব্য আয় থেকে সাত কোটি ৫৭ লাখ টাকা কম।

প্রতিষ্ঠানটির হিসাব শাখার বাজেট বরাদ্দ ও বিভাজিত খাতভিত্তিক খরচের বিল রেজিস্টার নিরীক্ষায় বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, একাধিক খাতের প্রায় ২৫ কোটি ২০ লাখ ৮০ হাজার ৫৬২ টাকা ব্যয় না হওয়া অর্থের কোনো হদিস নেই। যার মধ্যে ১০টি খাতের ২৩ কোটি ৭০ লাখ ৮ হাজার ৮৬২ টাকা ব্যয় হয়নি। কিন্তু ওই টাকা প্রতিষ্ঠানের কোষাগারে সমর্পণ করারও প্রমাণ নেই। বিনা অপারেশনে শিশুদের জন্মগত হৃদরোগ চিকিৎসায় সরকার থেকে দেওয়া আট কোটি টাকার মধ্যে অব্যয়িত ছিল এক কোটি ৫০ লাখ ৭১ হাজার ৭শ টাকা। কিন্তু ওই অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে জমা হয়নি। নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই দুটি খাতের ব্যয় না হওয়া অর্থ কোষাগারে জমা না দেওয়ায় ২৫ কোটি ২০ লাখ ৮০ হাজার ৫৬২ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে ইউজার ফি বাবদ আদায় করা অর্থ কেন্দ্রীয় তহবিলে জমা করার বিধান রয়েছে। কিন্তু কয়েকটি বিভাগের ৮২ কোটি ২৬ লাখ ১০ হাজার ৭৩৪ টাকা এবং এফডিআর থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশের এক কোটি টাকাসহ মোট ৮৩ কোটি ২৬ লাখ ১০ হাজার ৭৩৪ টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে জমা করা হয়নি। সাতটি বিভাগের মোট আয়ের চেয়ে ৪৫ কোটি ১৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা কম জমা দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ১২৮ কোটি ৩৯ লাখ ৮২ হাজার ৭৩৪ টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় তহবিলে জমা হয়নি। নিরীক্ষা প্রতিবেদনে এসব অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে জমা দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার প্রয়োজনে জরুরি যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি কেনার জন্য অর্থ-কমিটির অনুমোদনক্রমে ক্রয় কমিটির মাধ্যমে বিভাগকে ক্ষমতা দেওয়া আছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বিভাগ যথাসময়ে তা প্রয়োগ না করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এ বিধি লঙ্ঘন হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

হৃৎপিণ্ডের রক্তনালিতে কোনো ব্লক আছে কি না তা শনাক্ত করার যন্ত্র এক্সারসাইজ টলারেন্স টেস্ট বা ইটিটি। ২০১৭-১৮ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) হৃদরোগ, ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ আছে এমন রোগীদের পরীক্ষার জন্য অতিপ্রয়োজনীয় যন্ত্রটির সংখ্যা ছিল মাত্র একটি। তহবিলে যথেষ্ট টাকা থাকার পরেও আইন লঙ্ঘন করে যন্ত্রটি না কেনায় প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক ক্ষতি হয়েছে ৩০ লাখ টাকা। আর ভোগান্তির স্বীকার হওয়া রোগী যথাযথ সেবা না পেয়ে বেসরকারি হাসপাতালমুখী হয়েছেন।

নিরীক্ষাকালে কার্ডিওলজি বিভাগের মেডিকেল স্টোরেজ রুম ঘুরে দেখা যায়, হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের অত্যাবশ্যকীয় দ্বিতীয় পর্যায়ের ইটিটি পরীক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে বহু বছর থেকেই একটি ইটিটি মেশিন কার্যকর। ফলে প্রতিদিনই এ পরীক্ষাটির জন্য রোগীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। ২০১৫ সালে ইটিটি যন্ত্র না কেনায় হাসপাতালটির ৩০ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এ বিভাগ থেকে যন্ত্রটি কেনার চাহিদা দেওয়া হয় ২০১৫ সালে। কিন্তু ২০১৮ সাল পর্যন্ত তহবিলে পর্যাপ্ত অর্থ থাকলেও যন্ত্র কেনা হয়নি।

২০১৭-২০১৮ সালে কার্ডিওলজি বিভাগের মোট আয় ছিল ৪ কোটি ২ লাখ ২৫ হাজার ২১০ টাকা। যার মধ্যে অর্জিত ১২ লাখ টাকা ইউজার ফি থেকে ৩০ শতাংশ কমিশন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। ২০১৮ সালের ৩০ জুন বিভাগটির তহবিলে ৬১ লাখ টাকা উদ্বৃত্ত ছিল। নিরীক্ষাকালে ইটিটির আনুমানিক মূল্য ছিল ২৫ লাখ টাকা। যন্ত্রটি দিয়ে জনপ্রতি পরীক্ষার ফি ছিল ১৪শ টাকা। বছরে পরীক্ষা করা হয় গড়ে ২২শ জন রোগী। সে মোতাবেক বছরে আয় হওয়ার কথা ৩০ লাখ ৮০ হাজার টাকা। প্রতিবেদন বলছে, উদ্যোগের অভাবে মেশিন না কেনায় রোগীদের যেমন ভোগান্তি হয়েছে, তেমনি প্রতিষ্ঠানটিও আর্থিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

একটি প্রকল্পের আওতায় চিকিৎসা বর্জ্য পরিশোধন প্ল্যান্ট কেনা বাবদ ৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে। কিন্তু ওই ক্রয়ের কার্যাদেশ, বিল ও সরবরাহ চালানের সঙ্গে মডেল নম্বর, উৎস দেশ, আমদানি-সংক্রান্ত কাগজপত্র ও বিবরণী না থাকায় দরপত্র শিডিউলে দাখিল করা স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী যন্ত্র কেনা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এছাড়া প্ল্যান্টটি স্থায়ী জায়গায় স্থাপন না করেই ৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকার বিল তুলে নিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০১৯ সালের ১৫ মে অডিট চলাকালীন পর্যন্ত প্ল্যান্টটি প্রতিস্থাপন বা সচল থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এছাড়া ২০১৮-এর মাঝামাঝি ইএমজি/এনইভি/এসইপি মেশিনটি ক্রয় বাবদ একটি প্রতিষ্ঠানকে ২৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা পরিশোধ করা হলেও দীর্ঘ ১১ মাস পরে যন্ত্রটি ব্যবহারের কোনো প্রমাণ পায়নি নিরীক্ষক দল।

২০১৫ সালের ২৪ মার্চ থেকে ২০১৮ সালের ২৩ মার্চ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য ছিলেন প্রফেসর কামরুল হাসান খান। আর অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত উপ-উপাচার্য হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসএমএমইউর বর্তমান উপাচার্য ও ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠানটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমার আগে দুজন ভাইস চ্যান্সেলর ছিলেন। প্রফেসর কামরুল হাসান খান ও প্রফেসর কনক কান্তি বড়ুয়া। ওনাদের আমলে দুটো অডিট আপত্তির ব্যাপার রয়েছে। দুদক থেকে চিঠি এসেছে, আমি আমার ফাইন্যান্স বিভাগের ট্রেজারার ও ফাইন্যান্স ডিরেক্টরদের দিয়েছি। ওনারা কাগজপত্র রেডি করছেন। দুদকে সময় চাওয়া হয়েছে, দুদককে জবাব দেবেন।

তিনি আরও বলেন, কাগজপত্রের বাইরে আমার কিছু করার নেই। এটা তো আমার বিষয় নয়। এটা আগে যারা ছিলেন ওনাদের। যেহেতু আমি প্রধান, যাই হোক না কেন এর কাগজপত্রগুলো আমরা পাঠিয়ে দেবো যত দ্রুত সম্ভব। দুই সপ্তাহের মধ্যে তারা পাঠিয়ে দেবেন।

বিএসএমএমইউর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, আমি ২০১৮ সালের মার্চে জয়েন করি। এর আগে কামরুল হাসান খান ছিলেন। এছাড়া কামরুল হাসান খানেরও কিছু করার আছে বলে মনে হয় না। ফাইন্যান্স বিভাগ এগুলোর উত্তর দিতে পারবে। ডকুমেন্টস তো সব অফিসে থাকে।

তিনি আরও বলেন, ২০১৭-১৮ সালেও আমিও যদি ভিসি থাকতাম, এগুলো তো আমার হাতে থাকতো না। থাকবে অফিসে। ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্ট তার উত্তর দেবে। তারা যদি বলে, ভিসি সাহেবের কারণে এগুলো হয়েছে, তখন আমার কাছে আসতে পারেন, যা কিছু হয়ে থাকুক, আমাদের গোচরে আসে। আমি যতটুকু জানি এগুলোর অনেকগুলোই মিটমাট হয়ে গেছে। আমি থাকতে অনেক কিছুই মিটমাট হয়েছে যতদূর জানি।

সাবেক এই ভিসি বলেন, আমি এ ব্যাপারে কিছুই বলতে পারবো না, আমার পূর্ববর্তী ভিসি যিনি ছিলেন উনিও এতদিন পরে এগুলো বলতে পারবেন কি না আমি জানি না। আমিতো পেয়েছি কেবল তিনমাস। সে সময়তো কোনো ফাইন্যান্সিয়াল অর্ডার হয়নি। বুঝতে বুঝতে তো তিনমাস চলে গেছে।
সূত্র: জাগোনিউজ॥

সাবেক মন্ত্রীর বিশ্বস্ত আইন সচিব সারোয়ারের দুনীতি- চক্রান্ত:

# নোবেল বিজয়ী ডক্টর মুহম্মদ ইউনুসকে মামলায় নাজেহাল|| জামাতের নিষিদ্ধ করা ও আন্দোলনরত ছাত্র জনতাকে জামিন নামঞ্জুর সবকিছুই সচিব সারোয়ারের কারিশমা #
——————————————–
এইচ আর শফিক: —
সারা পৃথিবী জুড়ে সম্মানীয় হলেও ডঃ মুহাম্মদ ইউনুসকে নিজ দেশে বাংলাদেশের সাবেক আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের জুলুম নির্যাতন ও অপমানের গ্লানি সইতে হয়েছে যা বাঙালি জাতির জন্য লজ্জাজনক বলে অনেকেই মনে করেন। পৃথিবী বরেণ্য ডক্টর ইউনুস বর্তমানে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জামায়েত ইসলামকে নিষিদ্ধ ছাত্র জনতা কে বিভিন্ন মামলায় গণহারে গ্রেফতার করা হয় পরে জামিন না দেয়ার জন্য সারা দেশের সকল আদালতকে শেখ হাসিনা সরকারের হয়ে সকল ধরনের নির্দেশনা দেন আইন সচিব গোলাম সরোয়ার।

আইন সচিব সরোয়ারের নির্লজ্জ আওয়ামী গোলামীর ও বিরোধীদের আইনের জালে ফেলার নীল নকশায় নাজেহাল হয়েছেন পৃথিবীর বরেণ্য ব্যক্তিত্ব নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ডঃ মোঃ ইউনুস সহ দেশের রাজনৈতিক মহল ও ছাত্র জনতা। জানাযায় মেরিনা সুলতানা লেবার কোটের জর্জ সে চেয়েছিলো জরিমানা করতে, কিন্তু আইন সচিব ৬ মাসের আদেশ দিতে বলে। এর পর জামিন দেযার কারনে মেরিনাকে ঝিনাইদহ বদলি করে। তিনি নারী ও শিশু আদালতে আছেন।

সম্প্রতি দেশের ছাত্র জনতার আন্দোলন যে উত্থান হয়েছে সেই আন্দোলনের প্রথম ভাগে ছাত্র জনতা সহ রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের সকলকে ছাত্রশিবির ত্যাগ লাগিয়ে জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর সকল ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দিয়েছেন এই আইন সচিব।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে সঙ্গে নিয়ে আইন ও বিচার মন্ত্রনালয়ে মহা-দুর্নীতির সিন্ডিকেট গড়ে তোলা সচিব গোলাম সারওয়ার এখনো বহাল। মন্ত্রনালয়সহ মাঠ পর্যায়ে বিস্তৃত সচিবের সাঙ্গপাঙ্গরাও এখনো রয়েছেন দাপটের সঙ্গেই।
বিচারের নামে ড. মোহাম্মদ ইউনুসকে বছরের পর বছর হয়রানি করা, তড়িঘড়ি লিখিত নোট দিয়ে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা এবং সর্বশেষ ছাত্র আন্দোলনে গুলি বন্ধের রীটকে ধমক দিয়ে খারিজ করানোর মূল হোতা হচ্ছেন এই সচিব গোলাম সারওয়ার।
জামাতকে নিষিদ্ধ করতে হাফিজ আহাম্মেদ চৌধুরী অতি: সচিব ডাপ্ট করে থাকেন । ওম্মে কুলসুম যুগ্ন সচিব, সচিব ও মন্ত্রী মিলে ডাপ্ট করে সেই ডাপ্ট সচিব নিজে হাতে হাতে গিয়ে দিয়ে আসেন স্বরাস্টমন্ত্রীর কাছে ।

ব্রাম্মনাড়ীয়ার কসবা থানার বাসিন্দা গোলাম সারওয়ার আত্মীয়তার সম্পর্কে মন্ত্রী আনিসুল হকের বেয়াই। আইন সচিবের চাচাতো ভাই বিয়ে করেছে মন্ত্রীর ফুফাতো বোনকে। সেই হিসেবে পারিবারিকভাবে আত্মীয়তার যেমন বন্ধন রয়েছে তাদের, তেমনি মন্ত্রনালয়েও দুই বেয়াই মিলেমিশে গড়ে তুলেছিলেন দুর্নীতির মহাসিন্ডিকেট। সাথে যুক্ত ছিল আইনমন্ত্রীর গোপন প্রেমিকা তৌফিকা।

বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা ও মহানগরীর অধস্তন আদালতে যতো নিয়োগ হয়েছে তার অধিকাংশেই খাতা পরিবর্তন, জালিয়াতি, পরীক্ষা না দিয়েও চাকুরী হওয়ার নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, ঘুস বানিজ্য সহ পাহাড়সম অপরাধ সংঘটিত হয়েছে সরাসরি আইনমন্ত্রী আনিছুল হকের নির্দেশে সাবেক সচিব (মৃত) জহুরুল হক দুলাল ও বর্তমান সচিব গোলাম সারোয়ারের তত্ত্বাবধানে।

মন্ত্রী আনিসুল তার ক্ষমতা খাটিয়ে ব্রাহ্মবাড়িয়ার সন্তান তার চরম অনুগত গোলাম সারোয়ারকে সচিব পদে বসিয়েছেন আইনবহির্ভুতভাবে, অতঃপর নির্বিঘ্নে চালিয়েছেন দুর্নীতির রামরাজত্ব। গোলাম সারোয়ারও সততার ভাণ ধরে আইজিআর অফিসসহ বিভিন্ন অধস্তন দপ্তরে আর্থিক বড় লেনদেনের খাতগুলো থেকে নিয়মিত বিপুল অংকের টাকার ভাগ পান। মুখোশের আড়ালে নিয়মিত বিপুল অংকের মাসোহারা নেন।

আনিসুল ও গোলাম সারওয়ার সিন্ডিকেট প্রভাব ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে অধস্তন আদালতের নিয়োগ কমিটিকে বাধ্য করে সারাদেশে চতূর্থ শ্রেনীর পদে প্রায় দুই হাজারের মতো কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন কেবলমাত্র নিজেদের কসবা উপজেলা থেকে। অথচ বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট ও সরকারী চাকুরী সংক্রান্ত নিয়োগ বিধিমালায় স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে, চতূর্থ শ্রেনীর চাকুরীতে নিয়োগে প্রাধান্য পাবে স্থানীয় জেলার আবেদনকারীরা। অথচ আইনমন্ত্রী ও তার অনুগত আইন সচিব এই বিধান লংঘন করে বিভিন্ন জেলায় বিপুল সংখ্যক নিয়োগ দেন। অব্যাহত চাপ প্রয়োগ করে বহু বিচারককে অপরাধকর্মে জড়াতেও বাধ্য করেছে খোদ আইনমন্ত্রী ও সচিব।

উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, শুধুমাত্র চট্টগ্রামেই কসবা উপজেলার বাসিন্দা নিয়োগ পেয়েছে ৩৪ জন। এরমধ্যে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ১৪ জন, মহানগর দায়রা জজ আদালতে ৪ জন, সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইব্যুনাল ১ জন, নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালে ১২ জন, সিএমএম কোর্টে ৩ জন কসবা উপজেলার। এভাবে ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, খুলনা, রাজশাহী সহ সারাদেশে অধস্তন আদালতে মোট কর্মরত কর্মচারীদের প্রায় এক চতূর্থাংশই কসবা উপজেলার।

সাদাসিধা ভাব ধরে থাকা মন্ত্রী আনিসুল ও তার সচিব নিয়োগ দুর্নীতি করেই কামিয়ে নিয়েছে শত শত কোটি টাকা। একই সাথে আইন মন্ত্রণালয়ের রেজিষ্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট যেন মন্ত্রী সচিবের টাকার খনি। গুলশানের সাব-রেজিস্ট্রারের বাড়ীও ব্রাহ্মবাড়িয়ায়, যিনি গুলশান এলাকার একটি দলিল করতে ১ কোটি থেকে ৩/৪ কোটি টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেন। ঢাকার ডেপুটি রেজিস্ট্রার সাবেকুন ঢাকার বিভিন্ন সাব-রেজিস্ট্রার অফিস থেকে বস্তা বস্তা টাকা কালেকশন করে তুলে দেন মন্ত্রী ও সচিবকে।

সূত্র জানায়, আইজিআর এর ব্যংক একাউন্টে জমা থাকা ১৪৩ কোটি টাকা থেকে সচিব নিজের সিটিজেন ব্যাংকে ১০০ কোটি টাকা নিয়ে নেয়।
জমাকৃত টাকা থেকে প্রতিমাসে ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন সাবেক আইন মন্ত্রী ।

তার বান্ধবী আইনজীবী তৌফিকা করিম। এই আইনজীবীর মাধ্যমেই সচিব যত তদবির বানিজ্য করে শত শত কোটি টাকার দুর্নীতি করেছেন।
আইন সচিব এর নিজ এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার
কসবা থানায় একই এলাকার প্রতিবেশী হওয়ায় যুগ্ম সচিব কুলসুমের সাথে তার রয়েছে গভীর সখ্যতা। তাই দুজনে মিলে ভূমি কর থেকে লুটপাট করেছেন শত কোটি টাকা। জমির স্খানীয় কর সেটা তারা মানে আইন মন্ত্রী সিএনএস নামের একটি কোম্পানী করে এন আরবিসি হেড অফিসে জমা করেন সেই একাউন্টে । ভলিয়মে টাকার টাকা বছরের পর বছর রেখে দেয় হাজার হাজার টাকা এ থেকে মাসিক ৪ কোটি টাকা নেয় যা অবৈধ্য। এ টাকা আগে সরাসরি সোনালি ব্যাংকে জমা হতো
আইনমন্ত্রীর মা জাহানারা হক জীবদ্দশায় দৃশ্যমান কোন আয়ের বৃহৎ উৎস না থাকলেও আলাদীনের চেরাগ বলে হয়ে গেছেন সিটিজেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান, কেবলমাত্র তার পুত্রের টাকার খনির বদৌলতে। এর আগে কোনো আইনমন্ত্রীই কখনই কোনো ব্যাংকের মালিক ছিলেন না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ছোট ভাই আরিফুল হকের কাছে মন্ত্রী আনিসুল পাচার করেছিলেন দুর্নীতিলব্ধ শত শত কোটি টাকা। আরিফের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী, দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তান আমেরিকাতেই বসবাস করে। সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞার পর আনিছুল হক তার দুর্নীতির সম্পদগুলো ম্যানেজমেন্ট করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন বলে শোনা যায়।

মন্ত্রী আনিসুলের স্ত্রী মারা গেছে বহু বৎসর আগে। এরপর তিনি আর বিবাহ করেননি এটা দেখিয়ে তিনি নিজের সরলতা প্রকাশ করেন, অথচ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ্যাডভোকেট তৌফিকা করিম মন্ত্রী আনিসুলের বান্ধবী পরিচয় দিলেও আইন ও বিচার বিভাগে তিনি মন্ত্রীর আন-রেজিস্টার্ড স্ত্রী এবং মূর্তিমান আতংক হিসাবে সবাই তাকে চিনে এবং সমীহ করে।

বাংলাদেশের বিভিন্ন আদালতে তদবীর, চাপ প্রয়োগ করে জামিন, ইচ্ছামত রায় নেয়া প্রায় সবই সম্ভব মন্ত্রীর এই আনরেজিস্টার্ড স্ত্রীর মাধ্যমে। কাবিননামা অনুসারে এ্যাডভোকেট তৌফিকা ব্যবসায়ী আফতাব-উল ইসলাম মঞ্জুর স্ত্রী। কিন্তু মঞ্জুর সাথে তার কাগজের সম্পর্ক ছাড়া বাস্তবে কোন সম্পর্কই নেই, বরং মন্ত্রী আনিস হলো তৌফিকার সবকিছু- কাবিনবিহীন স্বামী!

ধূর্ত সচিব গোলাম সারওয়ার এই তৌফিকাকে সঙ্গে নিয়েই বিচার বিভাগে যেকোন তদবীরে ও বিপুল অংকের টাকা দিয়ে ইচ্ছামতো রায় করানোর সবচেয়ে কার্যকর সিন্ডিকেট গড়েন। শত শত কোটি টাকা লেনদেনও এদের কাছে ডাল ভাতের মতো। গোলাম-তৌফিকা সিন্ডিকেটই বসুন্ধরার এমডি আনভীর কর্তৃক মুনিয়া হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সিটিজেন ব্যাংকে মন্ত্রী আনিস চেয়ারম্যান আর পরিচালক বানিয়েছেন তৌফিকাকে, আর বর্তমানে এই তৌফিকাই হলো ব্যাংকটির চেয়ারম্যান।

 

সচিব গোলাম সারওয়ারকে আইনি নোটিশ:
—————————–
আইনজীবী মহাসমাবেশে স্বাগত বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার বরাবরে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী। কোন কর্তৃত্বে মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন, সেটি আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে নোটিশে। অন্যত্থায় তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান ২০২৩ সালের ২৪ অক্টোবর ই–মেইলে ও ডাকযোগে ওই নোটিশ পাঠান। নোটিশদাতা আইনজীবী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের প্রচার সম্পাদক ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সহসম্পাদক।

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ২১ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আইনজীবী মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ বিষয়টি উল্লেখ করে আইন সচিবের উদ্দেশে দেওয়া নোটিশে বলা হয়, ‘আপনি নিশ্চয়ই অবগত আছেন, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ একটি রাজনৈতিক সংগঠন। ওই আইনজীবী সমাবেশে উপস্থিত হয়ে আপনি স্বাগত বক্তব্য দিয়েছেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দেশে প্রচলিত আইন, সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ ও সাংবিধানিক আইন সম্পর্কে আপনি অবগত আছেন। সরকারি চাকরিতে থাকা অবস্থায় একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেওয়া প্রচলিত আইন ও বিধির পুরোপুরি লঙ্ঘন।’

সচিবের উদ্দেশে নোটিশে বলা হয়, ‘একজন সরকারি কর্মচারী/আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে স্বাগত বক্তব্য দেওয়ার মাধ্যমে ১৯৭৯ সালের সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালার ২৫ (১) বিধি লঙ্ঘন করার কারণে আপনি ওই পদে কর্মরত থাকার বৈধতা হারিয়েছেন। এ সত্ত্বেও ২১ অক্টোবরের পর অদ্যাবধি স্বপদে দায়িত্ব পালন করছেন। কোন কর্তৃত্ববলে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তা নোটিশদাতাকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে অবহিত করার জন্যও বলা হয়েছে।

 

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আমদানি করলে দিতে হবে না ভ্যাট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎতে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব ফকরুল বাংলাদেশে ইতিহাস গড়ল উইন্ডিজ দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন রাজউক ইমারত পরিদর্শক শামীম রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে কে জিতবে, তা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচেছ ট্রাম্প নাসার চন্দ্র মিশনে স্পেসএক্স জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে নতুন করে দেড় হাজারের বেশি আবেদন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি