মেঘনায় বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার এম এ মতিন খানের গণসংযোগ

মো. আনোয়ার হোসেন, মেঘনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রাক্তন এপিএস ইঞ্জিনিয়ার এম এ মতিন খান এর ব্যাপক শোডাউন ও গণসংযোগ।

মঙ্গলবার (১২ আগষ্ট, ২০২৩) সকাল থেকে দিনব্যাপী বিভিন্ন মহলে নেতাকর্মীদের নিয়ে কুমিল্লা-২ (হোমনা-মেঘনা) আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশি এ নেতা উপজেলার লুটেরচর, আলীপুর, সেন নগর, পাড়ারবন্দ বাজার, কান্দারগাঁও, পাথালিয়ারচর, নয়ানি ও মানিকারচর এলাকায় ব্যাপক মতবিনিময় ও গণসংযোগ করতে দেখা যায়।

গগণসংযোগকালে তিনি বলেন, মেঘনায় আমি প্রথমবারের মতো গণসংযোগে এসেছি। মেঘনার উন্নয়নের রূপকার ছিলেন মরহুম এমকে আনোয়ার ও তার ছায়া হিসেবে ছিলাম আমি। জিয়া পরিবার আমাকে হোমনা মেঘনায় কাজ করতে বলেছেন। তাই আমি আপনাদের খাদেম হিসেবে কাজ করতে চাই। বিএনপি এখন একদফার আন্দোলনে আছে। বিএনপির একদফা দাবি আদায়ের আন্দোলনে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আমি সে লক্ষেই কাজ করে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে কুমিল্লা-২ (হোমনা মেঘনা) আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করব, যদি বিএনপি আমাকে মনোননয়ন দেয়। আমি আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মেঘনা উপজেলা বিএনপি’র নেতা আব্দুস সাত্তার তপু, গোবিন্দপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি ডাঃ মাহফুজ, মেঘনা উপজেলা যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি হুমায়ূন কবির, পাড়ারবন্দ বিএনপি নেতা খাইরুল ইসলাম, হোমনা পৌরসভা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশিদ, মাসুদুর রহমান মাসুদ, জেলা বিএনপির সদস্য মহসীন বেপারী, তিতাস উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ জহিরুল ইসলাম জাদু মোল্লা, কড়িকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোঃ মনির হোসেন, তিতাস উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক ফুল মিয়া, সাবেক সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম, কলাকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি গাজী মোহাম্মদ হানিফ, বলরামপুর ইউপি বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু, তিতাস উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি হান্নান হোসাইন, তিতাস উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রুবেল খান রাজ, জয়পুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এমআই টিপু প্রমূখ।

গুমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন হাসিনা ও শীর্ষ কর্মকর্তারা : এইচআরডব্লিউ

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশে গুমের ঘটনা তদারকিতে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং কয়েকজন শীর্ষ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।

সংস্থাটি বলেছে, শেখ হাসিনা, শীর্ষ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক ও মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গুমের ঘটনা তদারকিতে যুক্ত ছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটির সম্প্রতি প্রকাশিত ‘আফটার দ্য মনসুন রেভ্যুলিউশন: এ রোডম্যাপ টু লাস্টিং সিকিউরিটি সেক্টর রিফর্ম ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক ৫০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

জোরপূর্বক গুমের ঘটনা তদন্তকারী জাতীয় কমিশন ১৪ ডিসেম্বর তাদের প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে সাড়ে ৩ হাজারের বেশি জোরপূর্বক গুমের ঘটনা ঘটেছে।

এইচআরডব্লিউ বলেছে, জোরপূর্বক গুমের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে বলেছেন, শেখ হাসিনা ও তার সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিবর্গ গুম করে রাখার বিষয়ে অবগত ছিলেন।

শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর, গোপন আটক কেন্দ্র থেকে তিনজনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল এবং এই তিনজনের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ বছরের পর বছর ধরে তাদের আটক রাখার কথা অস্বীকার করে আসছিল।

গুম হওয়ার শিকার আইনজীবী মীর আহমাদ বিন কাসেম বলেছেন, তাকে যে স্থানে আটক রাখা হয়েছিল সেটি ‘বন্দীদের মৃত্যুর চেয়েও খারাপ অভিজ্ঞতা দেওয়ার জন্য নিখুঁতভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল।’

ন্যাশনাল ডিসঅ্যাপিয়ারেন্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্যাতনের ধরণ শুধু পদ্ধতিগত নয় বরং প্রাতিষ্ঠানিকও ছিল।

এইচআরডব্লিউ তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ‘বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন ও জোরপূর্বক গুমের জন্য দায়ী পুলিশ ও সামরিক কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিট র‌্যাব ভেঙে দিতে সরকারের জাতীয় তদন্ত কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী কাজ করা উচিত।

প্রতিবেদনের বিষয়ে এইচআরডব্লিউ বলেছে, র‌্যাব প্রধান এ কে এম শহীদুর রহমান ইউনিটের গোপন ডিটেনশন সেন্টারের কথা স্বীকার করেছেন এবং বলেছেন যে, অন্তর্বর্তী সরকার ইউনিটটি ভেঙে দিতে চাইলে র‌্যাব সিদ্ধান্ত মেনে নেবে।

বাংলাদেশে বিভেদমূলক রাজনীতির দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে, যা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মধ্যে ঢুকে যেতে পারে উল্লেখ করে এইচআরডব্লিউ বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত আটক করে রাখার সকল স্থানে অঘোষিত পরিদর্শন করার কর্তৃত্ব সহ আইন প্রয়োগের উপর জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মাধ্যমে সহ স্বাধীন বেসামরিক তদারকি প্রতিষ্ঠা করা।

এছাড়াও বাহিনীর ক্ষমতা ব্যবহারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড প্রয়োগ করা উচিত যাতে সুস্পষ্ট হয় যে, নিরাপত্তা বাহিনীর কোন সদস্য আইন লঙ্ঘন করলে তাকে দায়ী করা হবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম