ক্ষতিকারক কেমিক্যাল এর মেশেলে ভেজাল সাবানে নারীদের প্রতারণা: সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নজর দেবেন কি?

স্টাফ রিপোর্টার:

কারখানা ল্যাব কেমিস্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন কিছুই নেই তবু তৈরি হচ্ছে নারীদের রূপচর্চার ভেজাল সাবান। এ যেন দেখার কেউই নেই, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি এড়িয়ে চলছে লাখ লাখ টাকার ভেজাল সাবানের বেচাকেনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এমন ভেজাল সাবান বিক্রি নারীদের প্রতারিত করছে একটি প্রতরক চক্র। এই প্রতারক চক্র একদিকেই ক্রেতা সাধারণ অন্যদিকে সরকারের শুল্ক ফাঁকির মত অপরাধ করেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে।

সাফরন গ্রর্ট মিল্ক সোপবার নামে একটি সাবান পণ্য উৎপাদন করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বাজারজাত ও বিজ্ঞাপন প্রচার করে লাখ লাখ টাকার সাবান বিক্রি করা হচ্ছে। বিএসটিআই পরিবেশ অধিদপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট কোন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই বাসায় বসে দিনের পর দিন কেমিস্ট, ল্যাব, ছাড়াই রূপচর্চাকারী সাবান তৈরি হচ্ছে। বিএসটিআই ও পরিবেশে অধিদপ্তরের সনদ ছাড়া ত্বক ফর সরকারি ক্ষতিকারক কেমিক্যাল ব্যবহার করে এই সাবান তৈরী করা হচ্ছে। যা ত্বকের জন্য খুবই স্পর্শকাতর।

স্কিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার তাসফিয়া খানমের মতে এই সাবান ব্যবহারে ব্যবহারকারীদের ত্বকে ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে অনেক বেশি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বুষ্ট দিয়ে হাজার হাজার ক্রেতাদের হতে সাবান নামের ক্ষতিকারক ক্যান্সারের মতো ভয়ানক রোগ ছড়িয়ে দিচ্ছে এই প্রতাকর চক্র।

এবিষয়ে তাদের হটলাইন নাম্বারে কথা বলে কোন উত্তর পাওয়া যায়নি কোম্পানি সম্পর্কে জানতে চাইলে মালিক পক্ষ যোগাযোগ করবে বলে ফোন কেটে দেন।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের বক্তব্য সহ ওই প্রতারক চক্রের বিস্তারিত তুলে ধরা হবে আগামী পর্বে…

এবার ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে পেটালেন এডিসি হারুন

স্টাফ রিপোর্টার:
আবারো সমালোচনায় পুলিশ সদস্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় ধরে নিয়ে বেদম পিটিয়েছেন পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদ। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে।

আহত দুইজন হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম। তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনার জেরে রাতে শাহবাগ থানার সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভিড় করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও পুলিশের কর্মকর্তারা থানায় গিয়ে মধ্যরাতে ঘটনা মিমাংসা করেন।

ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, এডিসি হারুন শনিবার রাতে ৩১তম বিসিএসের আরেক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই সময় নারী কর্মকর্তার স্বামী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। নারী কর্মকর্তার স্বামীও প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা এবং ছাত্রলীগের সাবেক নেতা।
সূত্র জানায়, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান নিউমার্কেট জোনের এডিসি শাহেনশাহ মাহমুদ। তিনি হস্তক্ষেপ করে ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তার স্বামীকে রক্ষা করেন। কিন্তু এডিসি হারুন দুই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাকে শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করেন। এরপর অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়লে ওই দুইজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবশ্য পুরো ঘটনাই অস্বীকার করেন এডিসি হারুন। তিনি বলেন, ‘আমি এসব কিছু জানি না।’

নিউমার্কেট জোনের এডিসি শাহেন শাহ মাহমুদ বলেন, ‘এমন কোনো বিষয় জানা নেই। তবে হাঁটার সময়ে আমাদের এক অফিসারের সঙ্গে অন্য এক অফিসারে ধাক্কা লাগে। তা নিয়ে ভুল বুঝাবুঝি হলেও বিষয়টা সমাধান হয়ে গেছে।’

৩১তম বিসিএসের পুলিশ কর্মকর্তা এডিসি হারুন নানা সময়েই আলোচনা-সমালোচনায় থাকেন সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে। এবার তিনি ক্ষমতার চূড়ান্ত অপব্যবহার করেছেন নারীঘটিত বিষয়ে।

সূত্র জানায়, ওই নারী কর্মকর্তার সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের পরকিয়া সম্পর্ক। বিষয়টি টের পেয়ে তার স্বামী ছাত্রলীগের দুই নেতাকে দিয়ে নজরদারি করাচ্ছিলেন। শনিবার রাতে তাদের একসঙ্গে দেখে হাতেনাতে ধরার পর ঘটনার সৃষ্টি হয়।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম