মেঘনায় ৮ জুয়ারি গ্রেফতার

মেঘনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় ৮ জুয়ারিকে গ্রেফতার করেছে মেঘনা থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর, ২০২৩) ভোর ২টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার মানিকারচর এলাকা থেকে উপ-পরিদর্শক হাক্কানী বিল্লাহ ও সহকারী উপ-পরিদর্শক আলী হোসেন আল মামুন সঙ্গীয় ফোর্স সহ অভিযান পরিচালনা করে জুয়া খেলা অবস্থায় এই আসামীদের গ্রেপ্তার করে।

থানা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মানিকারচর গ্রামের হেলাল উদ্দিন প্র: হেলাইন্না (৪৫), শিকিরগাঁও গ্রামের ইব্রাহীম হাসান রাহুল (৩৫), খোকন দাস (৫৮), নাইম ভূইয়া (৫০), মো. আনোয়ার (৪৫), আলমগীর (৪০), উত্তর বাউসিয়া গ্রামের মাজেদুল ইসলাম টুটুল (৪৩) ও শেখ আলম (৫২) গ্রেফতার সহ নগদ ৪ হাজার টাকা ও ৪ প্যাকেট তাস উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, আসামীদের বিরুদ্ধে জুয়া আইনে মামলা করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

গরুর মাংসের কেজি ৮০০ টাকা, খাসি ১৩০০

নিজস্ব প্রতিবেদক॥

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে আবারও বেড়েছে গরুর মাংসের দাম। এখন প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়, যা কিছুদিন আগেও ছিল ৭৫০ টাকা। এদিকে খাশির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২৫০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা প্রতি কেজি।

ক্রেতাদের অভিযোগ, ঈদের বাড়তি চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে গরুর মাংসের দাম বাড়ানো হয়েছে। যদিও বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের কারণে গরুর দাম বাড়ছে। বেশি দামে গরু কিনতে হচ্ছে বলে বাধ্য হয়ে তাদের মাংসের দাম বাড়াতে হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) মালিবাগ, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

এদিকে পাড়া-মহল্লার দোকানে প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম উঠেছে ৮২০ টাকা পর্যন্ত। আবার ঈদকে সামনে রেখে অনেকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় মাংস বিক্রি করছেন সাড়ে ৮০০ টাকা দরেও। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে গরু জবাই করতে দেখা গেছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, হাটে গরুর দাম বেড়েছে। গত কয়েক দিনে হাটে আকারভেদে একেকটি গরুর দাম ১৫ থেকে ২৫ হাজার পর্যন্ত বাড়তি দেখা যাচ্ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে পরিবহনভাড়া ও খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ার বিষয়টি।

এদিকে এ দফায় দাম বাড়ায় রাজধানীতে প্রতি কেজি মাংসের দাম চার মাসে ১০০ টাকা বেড়ে গেছে। কারণ গত জানুয়ারি মাসে গরু মাংসের দাম ছিল প্রতি কেজি ৭০০ টাকা। রমজানের আগে যা বেড়ে হয় ৭৫০ টাকা।

বৃহস্পিতবার সকালে রাজধানীর মালিবাগ এলাকার মাংসের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়। যেসব দোকানে দিনে একটি গরু জবাই করা হয়, আজ সেখানে তিন থেকে চারটি গরু জবাই করা হয়েছে। প্রায় প্রতিটি দোকানের মূল্যতালিকায় গরুর মাংস ৮০০ টাকা কেজি লিখে রাখা হয়েছে।

রামপুরা আল্লাহর দান মাংসের দোকানের জলিল মিয়া বলেন, ‘হাটে গরুর দাম বাড়তি। তাই মালিক বাড়তি দামে মাংস বিক্রি করতে বলেছেন। গরুর দাম এত বাড়তি যে ৮০০ টাকা বিক্রি করলেও আমাদের পোষায় না।’

তিনি বলেন, ‘সোমবার (১৭ এপ্রিল) ৫ মণ ওজনের একটি গরু ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকায় কিনেছি। এখন সেটা দুই লাখ চায়।’

দাম বেশি হওয়ায় অনেকে মাংস কেনার পরিমাণ কমিয়েছেন। শান্তিনগর বাজারে ফরিদা ইয়াসমিন নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘দামের কারণে সাধারণ সময়ে মাংস কেনা হয় না। ঈদের কারণে কিনছি। তবে পরিমাণে কম কিনেছে।’

এদিকে খাশির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২৫০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা কেজি। আর বকরির মাংস ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম