নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে তিন কর্মকর্তা

স্টাফ রিপোর্টার:

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন’, প্রবাদ আছে চোরে শোনে না ধর্মের কাহিনী। নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে তিন কর্মকর্তা । অফিস শেষে মিটিং এর নামে চার তলায় ঘুষের টাকা ভাগাভাগি হয়। টাকা ভাগাভাগির শেষে পলিথিনের ভিতর টাকা নিয়ে মোটরসাইকেল দিয়ে চলে যায় বাসায়। এ যেন দেখার কেউ নেই। নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের দুর্নীতির মূল হোতা ১/মোঃ রুকুনুজ্জামান ভূঁঞা ২/ মোঃ কামাল ৩/ আনসার কমান্ডার বকুল, ১০১ নম্বর রুমের কামাল সে নাকি এখন মিডিয়া লোকদের ম্যানেজ করে থাকে । নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস ঘুষ ছাড়া মেলে না সেবা এ যেন গণেশের কেরামতির খেলা। ছবি তোলা থেকে শুরু করে প্রতিটি ধাপে ধাপে টাকা দিতে হয়। প্রতি পাসপোর্ট এর জন্য ৩০০০ টাকা করে নেওয়া হয়। নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসে ঘুস-দুর্নীতির যেন শেষ নেই। দুর্নীতি রোধে মাঝে মাঝে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা শোনা গেলেও কিছুদিন পর দেখা যায় সবকিছু আগের মতোই চলছে । ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ একদিকে কড়াকড়ি করলে আরেকদিকে খুলে যায় দুর্নীতির নতুন পথ। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস যেন দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এ অফিসে অলিখিতভাবে দালাল নিয়োগ দিয়ে প্রকাশ্যে চলে ঘুসের কারবার। আর এসব ঘুষের টাকার নিয়ন্ত্রণে ছিল আনসার কমান্ডার বকুল এই বকুলের বিরুদ্ধে কিছু মিডিয়ায় নিউজ প্রকাশিত হয় তারপরে বকুল কে নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস থেকে সরিয়ে দেয় বলে জানাই নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস কর্তৃপক্ষ মোঃ রুকুনুজ্জামান ভূঁঞা। কিন্তু আসলে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়নি তিনি আন্ডারগ্রাউন্ডে আছে অফিসে ডিউটি করে লুকিয়ে লুকিয়ে। এ বিষয়ে বকুলের সাথে ফোনে কথা বলে তিনি বলে আমি গাজীপুর আছি। বর্তমানে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মোঃ কামাল নামে একজনকে তিনি এখন ঘুষের টাকা দেওয়া নেওয়ার দায়িত্ব পালন করে । গোপন সূত্রে জানা যায় নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস থেকে ৪০০ এর অধিক সাংবাদিকদের কে বিকাশের মাধ্যমে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। যদি ৪০০ এর হিসাব করা হয় তাতে টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় চার লক্ষ, বিকাশের মাধ্যমে যে এই চার লক্ষ টাকা দিল এই টাকা কোথা থেকে আসলো। বিষয়টি ভাবিয়ে তোলার মত এবং কিছু কিছু নাম্বার আছে ২০০০. টাকা করে দেওয়া হয়েছে। যেই নাম্বার থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা দেওয়া হয়েছে সেই নাম্বারটি হল। ( 01325661626 ) যা পরবর্তী নিউজ এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা মনে করি। নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের কর্তৃপক্ষ মোঃ রুকুনুজ্জামান ভূঁঞা এর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। সাধারণ মানুষ পাসপোর্ট করার জন্য অফিসে আসলে মোঃ রুকুনুজ্জামান ভূঁঞা এর কাছে তেমন কোন সেবা পাওয়া যায় না বলেই চলে। তিনি পাসপোর্ট করতে আসা মানুষের সাথে খারাপ আচরণ করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। আর এই খারাপ আচরণ করার মানে হল যাতে দালালের মাধ্যমে পাসপোর্ট এর সেবা নিতে পারে। আর এই সেবা নিতে হলে লাগবে টাকা, টাকা ছাড়া কোন সেবাই পাওয়া যাবে না নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসে, গত ১৪/০৩/ ২০২৪, রোজ বৃহস্পতিবার আনুমানিক ১.১৫ মিনিটের সময় হালিম সরকার নামে একজন বয়স্ক লোক পাসপোর্ট করার জন্য হাতে সব কাগজপত্র নিয়ে উপ – সহকারী রুমে ঢুকে মোঃ রুকুনুজ্জামান এর সাথে কথা বললে তিনি উত্তেজিত হয়ে বলে এখন হবে না পরে আসেন সেবা না দিয়ে তাকে বের করে দেওয়া হয়। ঠিক পাঁচ মিনিট পরে আরো একজন আসে তাকেও বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে বের করে দেয়। পাসপোর্ট অফিসের গেটের সামনে ভুক্তভোগী হালিম সরকার এর সাথে কথা বললে তিনি আবেগমন হয়ে বলেন কোন দেশে বাস করছি আমরা এটাই কি আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ। এভাবে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের অভিযোগ আছে যা লিখে কখনো শেষ করা যাবেনা। শুধুই অভিযোগ আর অভিযোগ এসব কিছু নিয়ে চলছে নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস। একটা বিষয় ক্লিয়ার যে নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস চলছে ঘুষের স্বর্গরাজ্য ।

ভুলে গেলে চলবে না, হয়রানি ও দুর্নীতিমুক্ত সেবা পাওয়া জনগণের সাংবিধানিক অধিকার। অথচ বাস্তবতা হলো, দেশে ঘুস ছাড়া কোনো সেবা পাওয়া যায় না বললেই চলে। পাসপোর্ট অধিদপ্তরের আঞ্চলিক অফিসসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের লাগামহীন দুর্নীতি সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার খর্ব করছে এবং এর ফলে প্রান্তিক ও পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠী নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা দেখছি, দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক অবদান রাখার পরও প্রবাসী শ্রমিকরা পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে গিয়ে নানাভাবে দুর্ভোগ ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। অথচ পাসপোর্ট অফিসের দুর্নীতিবাজদের কারণে একশ্রেণির মানুষ ঘুস দিয়ে অবৈধভাবে সেবা নিচ্ছেন। এ অবস্থা চলতে পারে না। সাধারণ মানুষ যাতে হয়রানি, ভোগান্তি ও দুর্নীতিমুক্তভাবে পাসপোর্ট পেতে পারে, সে জন্য প্রতিটি পাসপোর্ট অফিসে অভিযান পরিচালনা এবং নিয়মিত তদারকি প্রয়োজন। প্রবাসী শ্রমিকসহ দেশের সাধারণ মানুষ যাতে প্রয়োজনের সময় কোনোরকম হয়রানি ও ভোগান্তি ছাড়া পাসপোর্ট পেতে পারে, সেজন্য সরকার পাসপোর্ট অধিদপ্তরসহ এর সব আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস দুর্নীতিমুক্ত করার পদক্ষেপ নেবে, এটাই কাম্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছে কোন অন্যায়কে বরদাস্ত করা হবে না।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কথা অমান্য করে ঘুষ বাণিজ্য মেতে উঠেছে নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস সহ দেশের অন্যান্য পাসপোর্ট অফিস। ( চলবে )

গাজায় হত্যাযজ্ঞ নিহতের সংখ্যা ৪৪ হাজার ৮০০ ছাড়াল

সবুজ বাংলাদেশ ডেস্ক: 

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় একদিনে কমপক্ষে আরও ৪৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৪৪ হাজার ৮০০ ছাড়াল। এ ছাড়া গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় কমপক্ষে আরও ১৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪ হাজার ৮০৫ জনে পৌঁছেছে বলে বুধবার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিরলস এই হামলায় আরও অন্তত এক লাখ ৬ হাজার ২৫৭ জন ব্যক্তিও আহত হয়েছেন।

মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত আগ্রাসনে ১৯ জন নিহত এবং আরও ৬৯ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এ ছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

 

সবা:স:জু-৩১৮/২৪

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম