বৃদ্ধ জবেদ আলীর আশঙ্কাই সত্যি হলো

নিজস্ব প্রতিবেদক:

গত মঙ্গলবার সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে নিজের বাড়ি লুট হওয়ার আশংকা প্রকাশ করেছিলেন জবেদ আলী মিয়াজী (৮৬)। বুধবার এ বিষয়ে অভিযোগ নিয়ে থানায় গেলেন। গত বৃ্হস্পতিবার সাত সকালেই সেই শংকাকে সত্যি করে লুট হয়ে গেল তার পৈতৃক বাড়ি। আর এই ঘটনার অনেকখানি ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানার পশ্চিম মানিকদী নামাপাড়া এলাকায়।
জানা যায়, গত মঙ্গলবারই মিরপুর ১৩ নম্বর সেকশনে সড়কের পাশের ঝুপড়ি ঘরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে নিজের বাড়িটি লুট হওয়ার আশংকার কথা বলেছিলেন অশীতিপর জবেদ আলী। বলেছিলেন রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানার মানিকদী নামাপাড়া এলাকায় ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া জমিতে নির্মাণ করা একটি টিনের ঘরসহ বাড়িটিতে যেকোনো মুহূর্তে হামলা চালাতে পারে ভূমিদস্যুরা। সেটি ঠেকাতে পরদিন অসুস্থ শরীর নিয়ে গিয়েছিলেন থানায়। কিন্তু ওসি থানায় না থাকায় জিডি নেওয়া যাবে না – এমন কথা শুনে আরো অসুস্থ হতে পড়েন তিনি। এরপর জিডি ও অভিযোগের দুটি কপি ডিউটি অফিসারকে দিয়ে বাড়িতে এসে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন জবেদ আলী। ঠিক তার পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ভোরেই সত্যি হয় জবেদ আলীর শংকা। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভাষানটেক এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ‘বিএনপি খোকনের’ নেতৃত্বে একদল লোক এসে প্রথমেই হামলে পড়ে তার বাড়ির সামনের হোল্ডিং নম্বর (২৫২/৮) লাগানো সাইনবোর্ডে। সেটা টেনেহিঁচড়ে ছিঁড়ে ফেলার পর তাদের চোখ পড়ে বাড়িতে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরার দিকে। তখন তারা সেখানকার দুটি সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে ফেলার পর শুরু করে তাণ্ডব। বাড়ির গেটে লাগানো দুটি তালা ভেঙে বাড়ির ভেতরে ঢুকে ভাংচুর চালায়। ভেঙে ফেলে প্লটের ভেতরে টিনের ঘরের সাথে থাকা সাইনবোর্ডও। তালা ভেঙে ভেতরে থাকা চার্জার লাইট-ফ্যানসহ আরো বেশকিছু মালামাল লুটে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় উপড়ে তুলে নিয়ে যায় বাড়ির সামনে থাকা লোহার সাইনবোর্ডটিও। এই ঘটনা জানার পর আরো অসুস্থ হয়ে পড়েন জবেদ আলী।ছেলে সুমন থানায় বারবার ফোন দিলেও পুলিশ একবারের জন্য ঘটনাস্থলে আসেনি বলে অভিযোগ তার।
মিরপুর ১৩ নম্বর সেকশনে রাস্তার পাশে একটি ঝুপড়ি ঘরে স্ত্রী সাহিদা খাতুনকে নিয়ে বসবাস করেন জবেদ আলী। এই বয়সেও ঘরের পাশে একটি চায়ের দোকান দিয়ে চলে সংসার। আলাপকালে জবেদ আলী জানান, ক্যান্টনমেন্টের মানিকদী এলাকায় প্রায় ৯০ বছর আগে থেকে তাদের পারিবারিক দেড় একর জমি ছিল কিন্তু সেগুলো স্থানীয় ভূমিদস্যুরা দখল করতে করতে অবশিষ্ট আছে মাত্র ৯ কাঠা জমি। সেখানে মাটি ভরাট করে টিনের ঘর নির্মাণ করেন তিনি। সেখানে পানি-বিদ্যুৎ এনে বসবাস শুরু করবেন— এমন প্রস্তুতি যখন নিচ্ছিলেন, তখনই হঠাৎ জানতে পারেন পার্শ্ববর্তী ভাষানটেক থানার দেওয়ানপাড়া এলাকার দেওয়ান পরিবারের লোকজন তার পৈতৃক ভিটাটি দখলের চেষ্টা করছে। জনৈক মনির দেওয়ান নাকি কোন ওয়ারিশদের সাথে এই জমি বায়না করেছেন।এ খবর শোনার পর তাৎক্ষণিক তিনি ছুটে যান তেজগাঁও রেজিস্ট্রি অফিসে। মূল দলিলসহ সমস্ত আসল কাগজপত্র তার কাছে থাকার পরও কিভাবে রেজিস্ট্রি বায়না হলো? এ কথা জানতে গিয়ে বেরিয়ে আসে কেঁচো খুঁড়তে সাপ। দলিল জালিয়াতি করে কিছু ওয়ারিশের কাছ থেকে বায়নানামায় স্বাক্ষর নিয়েছেন মনির দেওয়ান ও তার লোকজন। জবেদ আলী আরো বলেন, শুনেছি আমার বংশের কিছু লোক তাদের কাছ থেকে বায়না নিয়েছে। কিন্তু এই দাগে তো অনেক সম্পত্তি।তাদের জমি তারা খুঁজে নিক। আর বায়না দিলেই কি জমির মালিক হয়ে গেল! সব রেখে কেন আমার বাড়ি লুট করল? আমি গরিব বলেই কি আমার জানমালের ওপর এমন হুমকি! আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর বিচার চাই। এই সময়েও যদি বিএনপির লোকজন এসে বাড়িঘর লুট করে তাহলে আমরা যাব কোথায়? ভিডিও ফুটেজ দেখে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই লুট-কান্ডে নেতৃত্ব দেন ভাষানটেক থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খোকন। তার সাথে ছিলেন বিএনপি-যুবদলের কর্মী সোবাহান, জসিম, অপুসহ বেশ কয়েকজন। সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে ফেলার পর সেখানে ১০-১২ জনের আরেকটি গ্রুপ মনির দেওয়ান-আরিফ আহমেদ ও বিএনপির নেতা গোলাম কিবরিয়া স্বাধীনের নেতৃত্বে সেখানে যোগ দেয়। এ ঘটনার পর কোনো মামলা করেছেন কিনা জানতে চাইলে জবেদ আলী বলেন, মামলা নয়, ওসি সাহেবের পরামর্শে জিডি করেছি। তিনি বলেছেন, তদন্তের পর মামলা হবে। এ সময় কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, আমার ৫০ বছরের অপেক্ষার ফল কি শুধুই কান্না? এসব বিষয়ে অভিযুক্ত মনির দেওয়ান, ক্যান্টনমেন্ট থানার ওসি শাহীনুর রহমান ও  গুলশান জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) কে বারবার কল দিলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি সে কারনে তাদের মন্তব্য জানা যায়নি।

রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে রেখার দেহ ব্যবসা ও নারী পাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

স্টাফ রিপোর্টারঃ

রাজধানীর যাত্রাবাড়ির মিরাজিবাগ এলাকায় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে রেখা খাতুন( ৪৫) নামে এক নারী প্রকাশ্য দেহব্যবসা, নারী পাচার এবং মাদককের ব্যবসার চলমান রেখেছেন। সরে জমিনে রেখা খাতুনের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায় রেখা খাতুনের মাদক দেহ ব্যবসা সহ নারী পাচারে প্রতিনিয়তো যাত্রাবাড়ি সহ আশে পাশের যুবসমাজ ধ্বংসের মুখে পড়ছে।

তার এই অবৈধ ব্যবসায়ের কারনে ছিন্তাই রাহাজানি সহ কিশোর অপরাধ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
রেখা খাতুনের ক্ষমতার দাপটে যাত্রাবাড়ি এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদ জানালেও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন প্রকার কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নিই বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় রেখা খাতুন কয়েকজন ক্ষমতাধর প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ সহ স্থানীয় কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার সেল্টারে মরন নেশা ইয়াবা, গাজা, ফেনসিডিল, আফিন সহ সকল প্রকার মাদকের ব্যবসা, নিজ বাড়িতে মেয়ে রেকে দেহ ব্যবসা ও বিদেশে নারী পাচার দেদার্সে চালিয়ে যাচ্ছেন।
যাত্রাবাড়ি এলাকাবাসী প্রতিবেদককে জানান রেখা খাতুনের এই অবৈধ কর্মকান্ড স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত বন্ধ করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন বলেন, রেখা দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের অপরাধমূলক কাজ পরিচালনা করে আসছে। বিশেষ করে যুবসমাজকে হেরোইন ফেনসিডিল ইয়াবা গাজা সহ বিভিন্ন প্রকার মাদকের দিকে ঠেলে দিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করছে। এছাড়া বিদেশে নারী পাচার নিজ বাড়িতে মেয়ে রেখে দেহ ব্যবসা সহ বিভিন্ন প্রকার গুরুতর অপরাধের সঙ্গেও তার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে ।

রেখা খাতুন যাত্রাবাড়ি এলাকাতে এতোটাই বেপরোয়া ভাবে চলাফেরা করে তার ক্ষমতার দাপটে দিন দিন সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে।

যাত্রাবারি এলাকার বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম বলেন, “এখানে প্রতিদিন অপরিচিত লোকজনের আনাগোনা দেখা যায়। আমরা আতঙ্কে আছি এবং দ্রুত পুলিশি ব্যবস্থা চাই।”

এ বিষয়ে মানবাধিকার কর্মী আব্দুল রাজ্জাক রাজ বলেন, বর্তমান সমাজকে সুরক্ষিত রাখতে হলে রেখা খাতুনের মতো দেহ ব্যবসায়ি, মাদক ব্যবসায়ি সহ নারী পাচার চক্তের সদস্যদের যদি দ্রুত আইনের আওতায় না আনা হয়,তা হলে বর্তমান যুব সমাজ দিনদিন আরো বেপরোয়া হয়ে পরবে, তাই এই সমস্থ মাদক ও দেহ ব্যবসায়ী, নারী পাচার কারির বিরুদ্ধে প্রশাসন যুবসমাজকে বাঁচাতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে মনে করেন।

এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ি থানার কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তারা বলেন, “বিষয়টি তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে। প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আমদানি করলে দিতে হবে না ভ্যাট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎতে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব ফকরুল বাংলাদেশে ইতিহাস গড়ল উইন্ডিজ দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন রাজউক ইমারত পরিদর্শক শামীম রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে কে জিতবে, তা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচেছ ট্রাম্প নাসার চন্দ্র মিশনে স্পেসএক্স জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে নতুন করে দেড় হাজারের বেশি আবেদন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি