৫জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেন – শ্যামপুর মডেল থানা পুলিশ

এম এ জব্বার:

পুলিশ সূত্রে জানা যায় – গোপালগঞ্জ জেলার মোঃ জামিল হোসেন, তিনি বডি “স্পা” র কাজ করে থাকেন এবং তিনি অন-লাইনের মাধ্যেমে বিভিন্ন স্থানে গিয়েও এ কাজ করে থাকেন।

ঘটনা সূত্রে : ১৬ জুন রবিবার আনুমানিক রাত ১০ টার সময় তার মোবাইল নাম্বারে অজ্ঞাতনামা একজন ব্যক্তি থেকে তার পেইন থেরাপি দেওয়ার জন্য তাকে ধোলাইপাড় নৌকা ব্রীজের নিচে আসতে বলেন।

পরবর্তীতে নৌকা ব্রীজের নিচে আসলে – অজ্ঞাতনামা ১ জন ব্যক্তি তাকে জুরাইন খন্ডকার রোডে ১টি গলির ভিতর নিয়ে যায়।

উক্ত স্থানে পূর্ব হইতে আরো ৫/৬ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি রাত আনুমানিক ১১টার সময় – শ্যামপুর থানাধীন ৪০২/১/১ পশ্চিম জুরাইন, খন্ডকার রোড, রওশন আরা আহম্মেদ এর বাড়ীতে পঞ্চম তলায়, একটি ফ্রাটে নিয়ে যায়।

পরে আসামীরা তাকে ঐ ফ্লাটে আটকে রেখে মারধর করা সহ বিভিন্ন ভয়ভীত প্রদান করে, তাহার নিকট ১ লক্ষ টাকা দাবী করে এবং তার সাথে থাকা নয় হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন আসামীরা।

ঘটনা এখানেই শেষ নয় – আসামীরা মোঃ জামিল হোসেন কে জোড় পূর্বক উলঙ্গ করে তার ভিডিও ছবি ধারন করে এবং ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিবে বলে জানান এবং তাকে মৃত্যুর হুমকিও দিয়ে থাকেন।

অতঃপর আসামীরা বাদীর সোনালী ব্যাংকের ওয়ালেট এ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড নিয়ে তার একাউন্ট হইতে, আসামীদের একাউন্টে মোট ২লক্ষ টাকা ট্রান্সফার করে নেয়।

পড়ে বাদীর নিকট হইতে আরো টাকা নেওয়ার জোড়পূর্বক করে থাকেন আসামীরা। আসামীরা ২ দিনের মাথায় তাকে ছেড়ে দেন বিভিন্ন হুকমী প্রদান করে।

এক পর্যায়ে বাদী শ্যামপুর থানায় আসামীদের বিষয়ে একটি অভিযোগ করেন – এ ঘটনার সূত্র ধরে শ্যামপুর মডেল থানা পুলিশ – আসামী চক্রের ৫জন কে গত ২৫ জুন গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।

এ বিষয়ে সবুজ বাংলাদেশ এর প্রতিবেদক’কে তথ্য নিশ্চিত করেন, ডিএমপি ওয়ারী বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ আলাউদ্দিন। তিনি বলেন, ঘটনায় জড়িত আসামীগন পেশাদার চাঁদাবাজ, পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে বাদীকে ঘটনা স্থলে নিয়ে, আটক রেখে মারধর করা সহ ভয়ভীত দেখিয়ে চাঁদা, দাবী ও আদায় করে থাকেন।

এসময় আসামীদের নিকট হইতে নগদ ৫ হাজার টাকা উদ্ধার করে এবং তাদের আদালতে প্রেরণ করেন – শ্যামপুর মডেল থানা পুলিশ।

৩৫০ কোটি টাকার ঋণকাণ্ডে নাটের গুরু রতন এখন জেলে

স্টাফ রিপোর্টার॥

নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানকে প্রতিষ্ঠিত আমদানিকারক দেখিয়ে ৩৫০ কোটি টাকার নন-ফান্ডেড ঋণ অনুমোদন করেছে এবি ব্যাংক। কাগুজে ওই প্রতিষ্ঠানটির নাম ব্র্যান্ডশেয়ার ট্রেডিং লিমিটেড। বিপুল অঙ্কের এ ঋণের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। ঋণের বিপরীতে জামানত দিয়েছে তৃতীয় পক্ষ এবং ঋণের বিপরীতে যে সম্পত্তি বন্ধক রাখা হয়েছে, তার মূল্য দেখানো হয়েছে বাজার মূল্যের চেয়েও ১৬ গুণ বেশি।

শুধু তাই নয়, ঋণটির দায় গ্রাহক পরিশোধ না করলে তা এলটিআর ও মেয়াদি ঋণে রূপান্তরের সুযোগও রাখা হয়েছে। এরপরও ঋণ মঞ্জুরিপত্রের শর্ত লঙ্ঘন করে অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১৬ কোটি টাকার পারফরম্যান্স গ্যারান্টি ইস্যু করা হয়েছে। এবি ব্যাংকের ৩৫০ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদনের অভিযোগ এরই মধ্যে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

কে এই রতন
তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাগ্নে পরিচয় দিতেন।     জানা যায়, আলী হায়দার রতন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানার চরপারবতী গ্রামের মৃত নূর ইসলামের ছেলে। গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকায় ব্যপক প্রভাব ছিলো তার। তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাগ্নে পরিচয় দিতেন।

আলী হায়দার রতন ইনফ্রাটেক লিমিটেডের চেয়ারম্যান হিসেবেও পরিচিত। তিনি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নকল নথির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আলোচনায় আসেন। তিনি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত মুস্তাফিজুর রহমান বুলবুলের মেয়ের জামাতা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তিনি শ্রীপুরের গাজীপুর ইউনিয়নে বহু মানুষের বাড়ি ও জমি দখল করে নিয়েছেন।
২১ এপ্রিল রাজধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালের সামনে থেকে জনগণ তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এরপর রমনা থানার সহায়তায় শ্রীপুর থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। ্

৩৫০ কোটি টাকার এই ঋণকাণ্ডে ‘নাটের গুরু’ ইনফ্রাটেক কনস্ট্রাকশন কোম্পানির কর্ণধার আলী হায়দার রতন। তিনি সেই ব্যক্তি, যাকে ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে রাত ৮টার পর নগদ ২২ কোটি ৬০ লাখ টাকা উত্তোলনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। ওই সময় বিষয়টি সংবাদের খোরাক হয়েছিল। রতন পেশায় একজন ঠিকাদার। ১০ বছর ধরে দেশের সরকারি বিভিন্ন কাজ তিনি একক ও যৌথভাবে করছেন।

আলী হায়দার রতন শুধু এবি ব্যাংক থেকেই নয়, এর আগে আরও পাঁচটি ব্যাংক থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়েছেন। ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে একই জমি একাধিক ব্যাংকে বন্ধক ও বন্ধকি সম্পত্তির অস্বাভাবিক বেশি মূল্য দেখানোর ঘটনা ঘটেছে। এসব ঋণের মধ্যে এরই মধ্যে ৫২৫ কোটি টাকা খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যে ন্যাশনাল ব্যাংকে ২০০ কোটি টাকা, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে ১৮০ কোটি টাকা, জনতা ব্যাংকে ৭০ কোটি টাকা, বেসিক ব্যাংকে ৩৫ কোটি টাকা ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে ৪০ কোটি টাকার ঋণখেলাপি হয়ে গেছে। বিএফআইইউর কর্মকর্তারা জানান, ওই ৫ ব্যাংকের ঋণের বিষয়ে সংস্থাটির তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

এমন কি সে সাবেক সচিব কবির বিন আনোয়ারের ব্যবসায়িক র্পাটনারও ছিলো সেই ক্ষমতাধর সচিবের নাম নিয়েই সে শত অপর্কম করে গেছেন।

যেভাবে উঠে এল রতনের নাম

দেশের কেন্দ্রীয় আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) এক তদন্তে আলোচ্য ঋণের প্রকৃত সুবিধাভোগী হিসেবে ঠিকাদারি ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইনফ্রাটেক কনস্ট্রাকশন কোম্পানির কর্ণধার রতনের সংশ্লিষ্টতা মিলেছে। তিনি ব্র্যান্ডউইন গ্রুপ অব কোম্পানিজেরও ব্যবস্থাপনা পরিচালক। সম্প্রতি ব্যাংকটির গুলশান শাখার অনুমোদিত ঋণ প্রস্তাবটির যাবতীয় তথ্য পর্যালোচনা করে এ জালিয়াতির ঘটনা উদঘাটন করেছে বিএফআইইউ।

বিএফআইইউর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাংকের নির্বাহী ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা পর্ষদ এবং আলী হায়দার রতনের পারস্পরিক যোগসাজশে দুর্নীতি ও জালিয়াতির মাধ্যমে একটি কাগুজে এবং বেনামি প্রতিষ্ঠানের নামে ৩৫০ কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর করা হয়েছে। এ ঋণের প্রকৃত সুবিধাভোগী আলী হায়দার রতন। কেননা আলোচ্য ঋণটির আবেদন থেকে শুরু করে সহায়ক জামানত, পার্সোনাল ও করপোরেট গ্যারান্টি প্রদানসহ যাবতীয় কার্যসম্পাদন করেছেন আলী হায়দার রতন নিজেই। এরই মধ্যে ১৬ কোটি টাকার ঋণ সুবিধা ভোগও করেছেন তিনি।

বিএফআইইউর মতে, বেনামি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ঋণ সুবিধার আওতায় ৩৫০ কোটি টাকা বিতরণ করা হলে তা আদায় করা দুরূহ হবে। তাই ঋণের বাকি অর্থের বিতরণ বন্ধে সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্ট জব্দ করার পাশাপাশি ব্যাংকটির কাছে এ ঋণের বিপরীতে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। এ ছাড়া বিষয়টির বিশদ তদন্ত সাপেক্ষে কাগুজে প্রতিষ্ঠানটির প্রকৃত মালিক ও সুবিধাভোগী চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশাপাশি দুর্নীতি দমন কমিশনেও (দুদক) এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম  বলেন, ব্যাংক খাতের শৃঙ্খলা যে একেবারেই তলানিতে এসে ঠেকেছে, সেটারই আভাস দিচ্ছে এ ধরনের জালিয়াতি। এখানে সংশ্লিষ্টদের অবশ্যই যোগসাজশ রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই এ খাতে বড় ধরনের চুরি-জালিয়াতি চলছে। এগুলোর বিরুদ্ধে অবশ্যই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

খতিয়ে দেখার নির্দেশ হাইকোর্টের

কাগুজে কোম্পানির নামে এবি ব্যাংকের ৩৫০ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদনের অভিযোগ এরই মধ্যে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিষয়টি অনুসন্ধানে দুদক, বিএফআইইউ ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিন মাসের মধ্যে এ নিয়ে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত।

কিন্তু সেই প্রতিবেদন আজও আলোর মুখ দেখেনী।

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান