1. md.zihadrana@gmail.com : admin :
নিউজিল্যান্ডের হারিয়ে টাইগারদের ইতিহাস - দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ

১৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । রাত ৯:৪৭ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।

সংবাদ শিরোনামঃ
মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন ক্ষমতাসীন দলের পদ-পদবী ব্যবহার করে হোটেল ব্যবসার আড়ালে বাদলের মাদক,জুয়া ও রমরমা দেহ ব্যবসা বিশ্বনাথে অবশেষে অস্ত্র ও সহযোগী’সহ পুলিশের খাঁচার বন্দি কুখ্যাত ডাকাত আজির টংগী’তে অবস্থিত ‘জাবান হোটেল’ যেনো অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শনী ও মদ সেবনের নিরাপদ আড্ডাখানা বরখাস্তের পরও স্বপদে বহাল বিতর্কিত সেই অধ্যক্ষ প্রতিষেধকের অভাবে সেলিম মাদবরের মৃত্যু মিরপুরে মানব পাচার ও দেহ ব্যবসা চক্রের মূল হোতা মারুফের খুটির জোর কোথায়? হোটেল ক্লিনার থেকে কোটিপতি মারুফ ! সিরাজদিখানে ৯ দিন ধরে কৃষক নজরুল নিখোঁজ, আতংকে পরিবার ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ কর্তৃক বিশ্ব মা দিবস পালন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে মুহাম্মদ আলী মিঠুল
নিউজিল্যান্ডের হারিয়ে টাইগারদের ইতিহাস

নিউজিল্যান্ডের হারিয়ে টাইগারদের ইতিহাস

ক্রীড়া প্রতিবেদক॥
কিউই স্পিনার কোল ম্যাককোনকির বলটি সীমানা ছাড়তেই নতুন ইতিহাস লিখল টাইগাররা। প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ নিশ্চিত হতেই উদযাপনে মাতলেন মাহমুদউল্লাহ-আফিফরা। হাত মুষ্টি করে শুন্যে ছুড়ে আবার শান্ত ‘সাইলেন্ট কিলার’। সিরিজ জয়ের নায়ক চাপা আনন্দ নিয়ে যখন গ্লাভস খুলে ব্যাট বগলদাবা করে হাঁটা ধরল ডাগআউটের পথে, হাত মেলাল প্রতিপক্ষের সঙ্গে- তখন পুরো দলে ভর করেছে রোমাঞ্চিত সিরিজ জয়ের আবহ- সমর্থকদেরও বটে!

অবশ্য মিরপুরে আজকের ম্যাচটাকে রোমাঞ্চকর বলাই যায়। টাইগার স্পিনার নাসুম আহমেদের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ের পর মুস্তাফিজুর রহমানের নৈপুণ্য। একশোর নিচে লক্ষ্য নিয়ে শুরুতেই ধাক্কা। পরে সময় গড়ানোর পর ধাক্কাটার শঙ্কায় রুপ নেওয়া। আর শেষে মাহমুদউল্লাহর অধিনায়কোচিত ক্যামিও। তাতেই ইতিহাস। অস্ট্রেলিয়ার পর কিউইদের বিপক্ষেও ঘুচল সিরিজ খরা। ব্লাক ক্যাপসদের বিপক্ষে এই সংস্করণে প্রথম জয়ের পর প্রথম শিরোপা। বিশ্বকাপের আগে জয়ের ধারায় থাকতে চাওয়া টাইগারদের আত্মবিশ্বাসের অন্যতম খোরাক নিশ্চয়ই!

ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে ধরাশায়ী করার মাসখানেক পর টাইগারদের ডেরায় কুপোকাত হল ব্লাক ক্যাপসরা। বিশ্বকাপের আগে দুর্দান্ত জয়ের ধারায় থাকা সাকিব-মাহমুদউল্লাহরা জিতল টানা তিন সিরিজ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২-১, অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ এবং এক ম্যাচ হাতে রেখেই নিউজিল্যান্ডকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে জয়। এমন জয়ের ফর্মে অবশ্যই খুশি টিম বাংলাদেশ।

অবশ্য খুশি না হওয়ার কোনো কারণ নেই। ম্যাচ শেষে ম্যাচ জয়ী লাজুক নাসুম আহমেদকে অনুভূতি জানতে চাইলে, তার দেয়া হাসিই প্রমাণ করে আগুনের জবাবে রাখা ‘আগুনটা’ জয়ের পর জ্বলেই উঠেছে। ‘উইকেটে টার্ন পাচ্ছিলাম। তাই চেষ্টা করেছি একটা জায়গায় বল করা, উল্টাপাল্টা কিছু চিন্তা করিনি। সিরিজ জিতেছি আলহামদুলিল্লাহ। অনুভূতি বলতে… আসলে অনেক খুশি লাগছে।’

আজ মিরপুরে ছোট রানের ম্যাচটিতে নায়কের ভূমিকা রেখেছিল তিনজন। প্রথমে নাসুম পরে মোস্তাফিজ এবং তুলির শেষ আঁচড়ের রাঙালো মাহমুদউল্লাহ তৃতীয়। তবে টাইগার অধিনায়কের কণ্ঠে সবার বন্দনা, ‘টিম ম্যানেজমেন্ট এবং দলের ছেলেদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। আজকে ম্যাচ জেতার এবং সিরিজ জেতার ক্ষুধা ছিল। বাংলাদেশের হয়ে আরো একটি ম্যাচ জেতার সুযোগ সামনে। যেসব জায়গায় প্রয়োজন সেসব নিয়ে কাজ করে আরো ভালো পারফর্ম করতে হবে।’

চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে অবশ্য ব্যাটিং ব্যর্থতার পরও দারুণ লড়াই করেছিল সফরকারী কিউইরা। দুর্দান্ত ছিলেন রাচিন রাবিন্দ্র ও আজাজ প্যাটেল। মিতব্যয়ী এই দুজনে চাপে রেখেছিল টাইগারদের। তাদের করা আট ওভারে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা নিতে পেরেছিল মাত্র ১৭ রান, হারিয়েছিল দুই উইকেট।

এদিন মিরপুরে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে নাসুমের তোপে পড়ে কিউইরা। শুরুতে রাচিনকে ফেরানোর পর ভয়ংকর অ্যালেনকেও ফেরার নাসুম। কিউইরা পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে এদিন নিতে পারে মাত্র ২২ রান, হারায় ২ উইকেট। পরে উইলকে নিয়ে লাথাম ৩৫ রানের জুটি গড়ে বড় রানের আশা দেখালেও তাকে ফিরিয়ে তা গুড়িয়ে দেন মেহেদি। এর পর আবার নাসুম শো। পরপর দুই উইকেট তুলে নিয়ে আশা জাগান হ্যাটট্রিকের। তাতেই ভিত নড়ে যায় কিউইদের। শেষের দিকে মোস্তাফিজের তোপে ৯৩ রানেই থামে সফরকারীরা। কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৮ বলে ৪৬ রান করেন উইল ইয়ং।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের হিসেবে ছোট স্কোর হলেও টার্গেটে খেলতে নেমে বাজে শুরু পায় বাংলাদেশ। উড়িয়ে মারতে গিয়ে লিটন ফেরেন মাত্র ৬ রানে। পরে একই ভাবে আউট হন সাকিব আল হাসানও (৮)। চাপ কাটাতে আসা মুশফিক কোনো রান করেই বাড়িয়ে দেন আরো। অবশ্য সেখানে হাল ধরেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ও নাঈম। ২৯ করে নাঈম ফিরলে বাড়ে শঙ্কা। অবশ্য একবার দারুণ ভাবে আউটের হাত থেকে বেঁচে যান টাইগার অধিনায়ক। আর শেষের বন্ধুর পথটা তরুণ আফিফকে নিয়ে পারি দিয়েই গড়েন ইতিহাস।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2021
ভাষা পরিবর্তন করুন »