1. md.zihadrana@gmail.com : admin :
সওজ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তাপসী বিশ্বাস এতো সম্পদ কোথায় পেলেন? - দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ

২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । সকাল ১১:৩০ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।

সংবাদ শিরোনামঃ
কিশোর গ্যাংয়ের মদতদাতাদের তালিকা করা হয়েছে : ডিএমপি কমিশনার ভালুকায় ছেলের হাতে বাবা খুন গুলফাম বকাউলের গনজোয়ারের নেপথ্যের রহস্য ! গুলশানে স্পা অন্তরালে অপরাধ জগতের ডন বাহার ব্ল্যাকমেলই সহ মাদক বাণিজ্য নারী দিয়ে ফাঁদ তীব্র গরমের অতিষ্ঠ জনজীবনে একটি প্রশান্তিময় ও দৃষ্টি নন্দিত উদ্যোগ বিশ্বনাথে পৌর মেয়রের উপর  কাউন্সিলর রাসনা বেগমের মামলা:  মেয়রের বিরুদ্ধে ঝাড়ু– মিছিল, উত্তেজনা তিতাস গ্যাসের সিবিএ সভাপতি মরহুম কাজিম উদ্দিন প্রধানের স্মরনসভা সমবায় লুটে আগষ্টিন পিউরিফিকেশনের সম্পদের পাহাড়ের উৎস কোথায় ? গুলশানে স্পা অন্তরালে দিনে ও রাতে চলছে বাহারের ব্ল্যাকমেলই সহ মাদক বাণিজ্য  এনআরবি লাইফ-প্রতিভা প্রকাশ সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪’ পেলেন ৫ কৃতিমান লেখক
সওজ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তাপসী বিশ্বাস এতো সম্পদ কোথায় পেলেন?

সওজ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তাপসী বিশ্বাস এতো সম্পদ কোথায় পেলেন?

বিশেষ প্রতিবেদক

সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তাপসী বিশ্বাস। তার বর্তমান কর্মস্থল গোপালগঞ্জ। তিনিও সড়ক ও জনপথ বিভাগের বিভিন্ন সার্কেল ও জোনে দায়িত্ব পালনকালে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে শত কোটি টাকা ও সম্পদের মালিক বনে গেছেন। তিনি খুলনা শহরে প্রেস ক্লাবের সামনে ১০ তলা বিশিষ্ট একটি আলীশান বাড়ী নির্মান করেছেন। এই বাড়ীর বর্তমান মুল্য ৩০/৪০ কোটি টাকা। এ ছাড়া বয়রাতে তার স্বামীর সাথে ৫ কাঠা জমি কিনেছেন যার বর্তমান বাজার মূল্য ৫ কোটি টাকা। তার বাবার বাড়ী তেরখাদায় আলীশান বাড়ী ও মন্দির নির্মাণ করেছেন। যার মুল্য কয়েক কোটি টাকা। তার আরেক ভাই মুক্তি দাসকে দিয়ে তার সকল অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তার খুলনার বাড়ীর পাশেই তার বোন লিপি দাসকে একটি ফ্ল্যাট কিনে দিয়েছেন। যার মুল্য কমপক্ষে ৫০ লক্ষ টাকা। বাবা,মা,ভাই, বোন ও অন্যান্য আত্মীয় স্বজনের নামেও প্রচুর সম্পদ করেছেন। ভারতে তার ভাই দেবদাস এর নামে প্রচুর জমি ক্রয় ও বাড়ী নির্মাণ করেছেন।
দুর্নীতির দায়ে ২০১২ সালে তিনি চাকুরী থেকে বরখাস্ত হয়েছিলেন। পরে রাজনৈতিক তদবীরে চাকুরী ফিরে পান। ২০১৮ সালে তার এই সম্পদের বিষয়ে নড়াইলের একজন ঠিকাদার দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ করলে সেটি তদন্ত করে ১ কোটি ৩৮ লক্ষ ৫৩ হাজার ৪৬৬ টাকার অবৈধ সম্পদের সত্যতা পায় দুর্নীতি দমন কমিশন। এ বিষয়ে উপ-পরিচালক ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে রমনা থানায় দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করেন যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নাজমুছ ছাদাত। কিন্তু মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে দায়মুক্তি মিলে যায়। প্রকৌশলী তাপসী বিশ্বাসের অবৈধ সম্পদ খুলনা শহরে দৃশ্যমান থাকলেও তাকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় দুদকের ওপর থেকে খুলনাবাসীর আস্থাই উঠে যায়। এ ছাড়া ভারতেও তাপসী বিশ্বাসের বাড়ী ও মার্কেট আছে বলে শোনা যাচ্ছে। দুদুক যদি এ বিষয়টি পুন: অনুসন্ধান করে তবে তাদের থলের বিড়াল বেরিয়ে পড়বে এটা নিশ্চিত এমটিই মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তাপসী বিশ্বাস বলেন, চাকুরী জীবনে তিনি কোন অসৎ পথ অবলম্বন করেন নি। যা বেতন পেয়েছেন আর কিছু আত্মীয় স্বজনের ধারে তিনি বাড়ীটা করেছেন। মার্কেটের জমিও আজ থেকে ১৫ বছর আগে কেনা বলে তিনি দাবী করেন। দুদকের অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি প্রসংগে তিনি বলেন, দুদক তদন্ত করে আমার সব কাগজপত্র সঠিক পেয়েই দায়মুক্তি দিয়েছে। তবে প্রকৌশলী প্রদীপ বসু ও তাপসী বিশ্বাসের এসব বক্তব্য সমর্থন করেননি এলাকার সচেতন মহল। তারা দৃঢ়তার সাথে বলেন যে, দুদক যদি আবার পুন: অনুসন্ধান করে তবে তারা দুজনেই ফেঁসে যাবেন। এ ক্ষেত্রে তারা দুদক চেয়ারম্যানের পদক্ষেপ কামনা করেছেন। (চলবে)

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2021
ভাষা পরিবর্তন করুন »