1. md.zihadrana@gmail.com : admin :
কমিশন বানিজ্যে মেতেছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মশিউর ব্যবস্হা নিতে নারাজ কর্তৃপক্ষ - দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ

২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । সন্ধ্যা ৭:২৫ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।

সংবাদ শিরোনামঃ
মেয়র বলে কথা: একাধিক পত্রিকায় পৌরসভার দুর্নীতি ও ভূমিদুস্যতার সংবাদ প্রকাশিত হলেও নিরব প্রশাসন বাংলাদেশে উদ্বোধন হলো টাটা মটরস-এর ‘টাটা যোদ্ধা ঔষধ প্রশাসনের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের প্রত্যাক্ষ মদদে ইউনানী, আয়ুর্বেদিক কোম্পানির প্রাণঘাতী ঔষধে বাজার সয়লাব স্নাতকের মেধা তালিকায় তৃতীয় স্থানে অবন্তীকা মিথ্যা তথ্য দিয়ে এনআরবি ইসলামিক লাইফের সিইও হয়েছেন শাহ জামাল রায়গঞ্জের ব্রহ্মগাছা ইউনিয়ন পরিষদ লুটে গোলাম ছরওয়ার লিটন এর সম্পদের পাহাড়! ফিতা কাটা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ জবি ছাত্রী হলের মেডিকেল কার্যক্রম ফিলিস্তিনের ইসরাইলের গণহত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ সিভিল রাইটস্ সোসাইটি মানববন্ধন অবৈধপথে শত কোটি টাকার সম্পদের মালিক: রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির পরিচালকের বিরুদ্ধে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ: তদন্ত কমিটি গঠন! সরকারী দপ্তরে নির্বাচনী প্রচারণা!
কমিশন বানিজ্যে মেতেছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মশিউর ব্যবস্হা নিতে নারাজ কর্তৃপক্ষ

কমিশন বানিজ্যে মেতেছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মশিউর ব্যবস্হা নিতে নারাজ কর্তৃপক্ষ

 

আলী রেজা রাজু, ঢাকা:-

শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের
অধীনে একটি ইউনিয়নে তিনি দীর্ঘ ১০বছরের অধীক সময় ধরে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার (সেকমো )পদে চাকরি করলেও নিজ চেম্বারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মশিউর।ঔষধপত্রে নামের আগে ব্যবহার করেন ডাঃ। উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে পোস্টিং থাকলেও দীর্ঘ বৎসর ধরেই উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোস্টার ডিউটি করে আসছেন।

সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসায় উদ্বুদ্ধ করা,ঔষধ পত্রে বাড়তি ঔষধ লেখা,সরকারী ডিউিটি কালীন সময়ে প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখা,রোগীকে অহেতুক মেডিকেল টেস্ট করিয়ে অর্থবানিজ্যের মত গুরুতর অভিযোগ মিলেছে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী চিকিৎসক (সেকমো ) মশিউরের বিরুদ্ধে।
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা আরিনা,জারিফ,নাজমুন ও আবুবকরসহ একাধিক রোগীর স্বজনেরা জানান,হাসপাতালে মশিউর ডাক্তারের ডিউটি কালীন সময়ে স্বাস্থ্য সেবা নিতে গেলেই আগে টেস্ট করাতে বলে না হলে তিনি ঔষধপত্র দেননা।

অভিযোগের সত্যতা যাচায়ে সরেজমিনে অনুসন্ধান খোঁজ খবর নিলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। অনুসন্ধানকালীন সময়ে দেখা যায়, তিনি ১দিনে ১৬জন রোগীকে বিভিন্নধরনের মেডিকেল টেস্ট করার জন্য বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। বিগত বছর-মাস গুলোতেও তিনি একই ক্লিনিকে ধারাবাহিক ভাবে রোগীদের বিভিন্ন ধরনের মেডিকেল টেস্ট করতে পাঠিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা কমিশন উত্তোলন করেছেন যা সুষ্ঠ তদন্তে বেরিয়ে আসবে।

শার্শার ৫০শষ্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটিতে ৪ জন এমবিবিএস ডাক্তার থাকলেও সেকমো মশিউর কর্তৃক স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসা রোগীদের প্রাইভেট ক্লিনিকে অপ্রয়োজনীয় মেডিকেল টেস্টে করতে পাঠানো জনমনে প্রশ্নবিদ্ধ?।

 

রোগীদের অভিযোগ বিষয়ে জানতে সেকমো মশিউরের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন নিজামপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভবন না থাকায় উর্দ্ধতণের নির্দেশ মোতাবেক তিনি দীর্ঘ বৎসর যাবৎ শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডিউটি করছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন ও ইতিপূর্বে তিনি শামটা সাব সেন্টার, লক্ষনপুর সাব সেন্টার ও বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে দায়িত্বপালন করেছেন বলে জানান। ব্যক্তিগত চেম্বার বলতে হাসপাতালের পাশেই ফিরোজা ফার্মেসী তিনি রোগী দেখেন বলে তিনি স্বীকার করেন।

এ বিষয় জানতে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুস সালামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন হাসপাতালে থেকে রোগী বাইরে পাঠান না তিনি আমি দায়িত্বে আসার পর। ইতিমধ্যে একাধিক পএ-পএিকার সংবাদ প্রকাশিত হলেও ব্যবস্হা নিতে নারাজ কর্তৃপক্ষ।তাহলে ম্যানেজ হচ্ছেন উদ্ধতন কর্তৃপক্ষ?প্রশ্ন জনমনে। এবিষয়ে
খুলনা বিভাগীয় কর্মকর্তা মনজুরুল মোর্শেদ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্হা গ্রহণ করবে।
১৯৬২ সালে নির্মিত এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ( সরকারী স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র )আনুমানিক ৪ লাখ মানুষের একমাত্র ভরসাস্থল।এখানে প্রতিদিনিই শত শত অসহায় নিরীহ মানুষ সরকারী খরচে স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসে।সেকমো মশিউরের নীরব অর্থবানিজ্যের ফাঁদে উপজেলাটির অশিক্ষীত ও অজ্ঞ রোগীরা প্রতারিত হলেও দেখার কেউ নেই।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2021
ভাষা পরিবর্তন করুন »