1. md.zihadrana@gmail.com : admin :
  2. dailysobujbangladesh@gmail.com : samiya masud : samiya masud
রিকশা এমদাদ বাহিনীর তাণ্ডবে অতিষ্ঠ বাড্ডাবাসী, থানায় মামলা - দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ

১৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । দুপুর ১:০৪ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।

রিকশা এমদাদ বাহিনীর তাণ্ডবে অতিষ্ঠ বাড্ডাবাসী, থানায় মামলা

রিকশা এমদাদ বাহিনীর তাণ্ডবে অতিষ্ঠ বাড্ডাবাসী, থানায় মামলা

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাড্ডায় রিকশা সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজি ও অবৈধ জমি বাণিজ্যের গডফাদার হয়ে উঠেছেন বাড্ডা সাবেক আওয়ামী লীগের সভাপতি এমদাদুল হক এমদাদ ওরফে রিকশা এমদাদ। তার অন্যতম দুজন সহযোগী বাঁধন ও তার ছোট ভাই পলক। এলাকায় বাঁধন ও পালকের ডান হাত হিসেবে কাজ করে মোঃ সাইফুজ্জামান রনি ও মোঃ পাপ্পু। তারা এলাকায় সন্ত্রাসী রাজত্ব সৃষ্টি করেছে সহযোগিতা করছে চাঁদাবাজিতে। আর চাঁদা আদায়ের দায়িত্বে আছে এমদাদের ভাগিনা হান্নান, বাপ্পী। এরাই মূলত বাড্ডা এলাকায় গড়ে তুলেছেন বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী। এছাড়াও মাদক, ছিনতাই, চুরিসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে এলাকার পরিবেশ নাভিশ্বাস করে রেখেছেন তারা। আর সাধারণ মানুষ বাধা দিলে নির্যাতনসহ প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে তারা।
মেরুল বাড্ডা, কবরস্থান রোড, ডিআইটি প্রোজেক্ট ও ডি আইটি সড়ক হয়ে পোস্ট অফিস গলি থেকে পাঁচতলা বাজার পর্যন্ত আধিপত্য বিস্তার করে একচেটিয়া চাঁদাবাজি করছে এমদদাদ। জানা যায় আর এই বাহিনীর কাজই হলো এলাকায় অটো রিকশা থেকে চাঁদাবাজি করা। বাড্ডা এলাকায় চলমান সকল অটো রিকশা থেকে সাপ্তাহিক ২৫০ বা মাসিক ১ হাজার টাকা করে চাঁদা দিতে হয় এই বাহিনীকে। আর এভাবেই শুধুমাত্র চাঁদা আদায় করে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। এছাড়াও নতুন কোনো অটোরিকশা সড়কে নামলে মালিককে গুনতে হয় ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা। কোনো রিকশা গ্যারেজ মালিক চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে হান্নান, বাপ্পী, পলক ও বাঁধন গ্রুপ তাদের নিজস্ব টর্চার সেলে নির্যাতন করার অভিযোগ রয়েছে। চাঁদাবাজির অভিযোগে পলক ও বাঁধন গ্রুপের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তাছাড়া পলক বর্তমানে হত্যা মামলার আসামি। তারা এসবের তোয়াক্কা না করে আবারো এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি তনন্ত সাপেক্ষে পলক ও বাঁধনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের প্রমাণ পায় বাড্ডা থানা পুলিশ। বাড্ডা থানা এলাকার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, নির্মাণাধীন ভবনসহ স্থাপনা তৈরির সময় মোটা অঙ্কের চাঁদাবাজির । সরাসরি চাঁদা দাবি না করতে পারলে অন্য কৌশল অবলম্বন করে এই চক্র। এর অংশ হিসেবে নির্মাণাধীন ভবনের মালিকদেরকে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী জোরপূর্বক ভয়ভীতির মাধ্যমে সরবরাহ করে বাজার মূল্যের অতিরিক্ত লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া। প্রায় সময় দোকানপাট ভাঙচুরে করে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করে।
অন্যদিকে আলিফ নগরে এমদাদুল হক এমদাদের রয়েছে একাধিক প্লট। যে তিনি গড়েছেন অবৈধ জমি বাণিজ্যে আর চাঁদাবাজি সিন্ডিকেটের টাকায়। ওইসব প্লটের দেখাশুনার দায়িত্বে আছে মো. মিজান ও জসীম নামের দুই ক্যাডার। মাটিকাটা থেকে শুরু করে সব বিষয় নজর দারিতে রাখেন এই ক্যাডার বাহিনীর সদস্যরা। কোনো নতুন ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হলে ইটা, বালু, রড এই বাহিনীর হাতে জিম্মি হয়ে পড়ে। জসীম এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু ও অবৈধ মাটিকারবারি। এসবের প্রেক্ষিতে একাধিক ভুক্তভোগী তাদের অভিযোগ জানাতে ভয় পাচ্ছে।
এ ব্যাপারে এমদাদুল হক এমদাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদককে এড়িয়ে যান। পরে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2021
ভাষা পরিবর্তন করুন »