1. md.zihadrana@gmail.com : admin :
এডজিডির সেতু নির্মাণ প্রকল্পে ভৌতিক ব্যায় বেপরোয়া পিডি শেখ আবু জাকির সিকান্দার - দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ

৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । সন্ধ্যা ৬:১৯ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।

সংবাদ শিরোনামঃ
এডজিডির সেতু নির্মাণ প্রকল্পে ভৌতিক ব্যায় বেপরোয়া পিডি শেখ আবু জাকির সিকান্দার

এডজিডির সেতু নির্মাণ প্রকল্পে ভৌতিক ব্যায় বেপরোয়া পিডি শেখ আবু জাকির সিকান্দার

স্টাফ রিপোর্টার:
একমাসে ছয়,টি ভাউচারে দুই লাক্ষ টাকার সীল একহাজার বর্গফুটের অফিস সজ্জিত করনে কোটি কোটি টাকা ব্যায়। আটশত কোটি টাকার পরিবর্তে মাএ দেড়শ কোটি টাকার কার্যাদেশ সোয়া কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে পিডি পদ বাগানোর ঘটনা ঘটেছে এলজিইডির একটি প্রকল্পে।

স্হানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডির একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ(২য় পর্যায়) প্রকল্প।
প্রায় চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পটি শুরু হয় চলতি বছরের প্রথম দিকে। প্রকল্পের শুরুতে চমক দেখান এই প্রকল্পের পিডির দায়িত্ব পাওয়া শেখ মো: আবু জাকির সিকান্দার। এলজিইডি ভবনে কর্মকর্তা কর্মচারীদের মুখে মুখে শোনা যায় এলজিইডির ইতিহাসে সবথেকে বেশী টাকা ঘুষ দিয়ে পিডির পদ বাগিয়েছেন আবু জাকির সেকেন্দার। সম্পুর্ণ জিওবির অর্থায়নে এই প্রকল্পের পিডি হওয়ার জন্য ঘুষ গুনেছেন এক কোটি ২৫ লাক্ষ টাকা।

সুএ জানায় পিডি আবু জাকির সিকান্দার তার বিশাল অংকের ঘুষের টাকা রিটার্ন এবং যেমন বড় লগ্নি তেমন বেশী লাভপেতে শুরুতে ব্যপক অনিয়ম শুরু করেন।
প্রকল্পের কেনাকাটা, কনসালটেন্সী খাতের টাকা খরচের ভুয়া বিল- ভাউচার ঘুষ নিয়ে কার্যাদেশ দেওয়া ও অফিস ডেকোরেশনে অতিরিক্ত খরচ দেখান।
সুএ জানায় প্রকল্পের শুরুতে নীজের নামের সীল তৈরীর হিসাবে ব্যাপক অনিয়ম জানাযায়।
প্রকল্পের হিসাব খাতার ১২০ পৃষ্ঠার এই অনিয়মের সন্ধান মেলে।ওই হিসাবে দেখা যায় কোড নং ৩২৫৫১০৪-এ ১ম, ২য়,ও ৩য় কিস্তিতে প্রাপ্ত বরাদ্ধের পরিমান দু- লাখ টাকা ওই টাকার পুরোটায় খরচ করা হয় পিডির সীল তৈরীর জন্য।

গণপূর্তের বালিশ ও স্বাস্থ্যের পর্দা কেলেঙ্কারিকেও হার মানিয়েছে পিডির সীল বানানোর ভৌতিক হিসাব।
১০ মে ২০২৩ তারিখ ভাউচার নং ৭৮’এ ৪৭৫০০ টাকা, ভাউচার ৭৯’এ ৪৯০৭০ টাকা, ভাউচার ৮০’এ ২২৮০০ টাকা,মোট ১,১৯,৩৭০ টাকা ও ২৫ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে ৮০০ টাকা। ভাউচার ৯৪’এ ৪৮,৭০০ ও ১৭৬০ টাকা ও অন্য একটি ভাউচারে ২২,১৭০ টাকা মোট দু- লাক্ষ টাকার সীল বানানো হয়।আর এই সকল সীল তৈরী বা সরবরাহ করেছে মাটি এন্টারপ্রাইজ।

বর্তমান বাজার মুল্যে একটি অটো সীলর দাম সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা সেই হিসাবে পিডি আবু জাকির সেকেন্দার সীল কিনেছেন ৬৬৬টি।
একজন পিডি দু মাসে ৫/৬ টি ভাউচারে ওই সীলগুলো কিনেছেন। এই বিষয়ে এলজিইডির একাধিক পিডির সঙ্গে কথা বললে তাহারা বলেন সীল তৈরীর বিষয়ে কোন বিল ভাউচার করার বিধান নেই।
সুএ জানায় পাঁচ বছর মেয়াদী ওই প্রকল্পে প্রতিবছর কমপক্ষে আটশত কোটি টাকার কার্যাদেশ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও একবছরে পিডির শিকারোক্তিতে কার্যাদেশ দিয়েছেন ১৩০ কোটি টাকার আর কয়েকটি টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন।
নিয়ম আছে ৩০ কোটি টাকার অধিক টেন্ডার অনুমোদন নিতে হয় মন্ত্রণালয় থেকে যেহেতু ব্রীজ নির্মান প্রকল্প সুতরাং এর সিংহভাগ টেন্ডার ৩০ কোটি টাকার উপরে। কোন টেন্ডার হলেই পিডি আবু জাকির সেকেন্দার মন্ত্রণালয় থেকে টেন্ডার অনুমোদনের জন্য ঠিকাদারদের কাছ থেকে তিন থেকে পাঁচ পার্সেন্ট ঘুষের দাবি করেন। নির্মাণ সামগ্রী মূল্য অনেক বেড়ে যাওয়ায় ঠিকাদারেরা
ঘুষের টাকা দিতে চান না বিধায় ওই প্রকল্পের টেন্ডার কার্যাদেশ দেওয়ার অগ্রগতি নেই বললেই চলে।
আরডিইসি ভবনের ১০ তলায় ওই প্রকল্পের অফিস নির্ধারণ করা হয়েছে, প্রায় এক হাজার বর্গফুটের এই অফিসে ডেকোরেশনের জন্য ব্যয় দেখিয়েছেন প্রায় কোটি টাকা। ওই তলায় আশ পাশের প্রকল্প অফিসের কর্মচারীরা এই প্রতিবেদককে বলেন অফিস নয় যেন সেকেন্দার সাহেব একটি স্বর্গ বানিয়েছেন।একইভাবে পিডি প্রকল্পের কেনাকাটায় ও কনসালটেন্সির টাকা খরচে ইচ্ছামতো বিল ভাউচার, কোথাও ভুয়া ভাউচার তৈরি করে কোটি কোটি টাকা খরচ দেখিয়েছেন।
প্রকারান্তে শেখ আবু জাকির সেকেন্দার পিডির পথ পেতে যে সোয়া এক কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছেন ইতিমধ্যে ইনভেস্টের টাকা উঠিয়ে ফেলেছেন এবার তার লাভের পালা।
সূত্র জানায় আবু জাকির সিকান্দার চাকুরী শুরু থেকে নানান অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছে। এই প্রতিবেদক সীল তৈরি ও প্রকল্পের অন্যান্য অনিয়মের সম্পর্কে জানতে চাইলে পিডি এই প্রতিবেদক কে বলেন, আমি কি বাড়ির জমি বিক্রি করে প্রকল্প চালাব?

পিডি শেখ আবু জাকির সিকান্দারের অনিয়ম দুর্নীতি ও স্থাবর অস্থাবর সম্পতির তদন্তে নেমেছে বিভিন্ন সংস্থা পরবর্তীতে পাঠক সম্মুক্ষে প্রকাশ করা হবে।
এনসাট

একই তারিখে তিনটি বিলে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার সীল সহ দুই লাখ টাকার ৬৬৬ সীল।
একবছরে আটশত কোটি টাকার স্থলে ১৩০ কোটি টাকার কার্যাদেশ।অ ফিস নয় যেন স্বর্গজ মি বিক্রি করে প্রকল্প চালাবো?

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2021
ভাষা পরিবর্তন করুন »