1. md.zihadrana@gmail.com : admin :
চন্দনাইশ - সাতকানিয়া (আংশিক) চিকিৎসক ঐক্য পরিষদ সম্মেলন - ২০২৩ - দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ

১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । দুপুর ১:৪১ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।

সংবাদ শিরোনামঃ
মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন ক্ষমতাসীন দলের পদ-পদবী ব্যবহার করে হোটেল ব্যবসার আড়ালে বাদলের মাদক,জুয়া ও রমরমা দেহ ব্যবসা বিশ্বনাথে অবশেষে অস্ত্র ও সহযোগী’সহ পুলিশের খাঁচার বন্দি কুখ্যাত ডাকাত আজির টংগী’তে অবস্থিত ‘জাবান হোটেল’ যেনো অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শনী ও মদ সেবনের নিরাপদ আড্ডাখানা বরখাস্তের পরও স্বপদে বহাল বিতর্কিত সেই অধ্যক্ষ প্রতিষেধকের অভাবে সেলিম মাদবরের মৃত্যু মিরপুরে মানব পাচার ও দেহ ব্যবসা চক্রের মূল হোতা মারুফের খুটির জোর কোথায়? হোটেল ক্লিনার থেকে কোটিপতি মারুফ ! সিরাজদিখানে ৯ দিন ধরে কৃষক নজরুল নিখোঁজ, আতংকে পরিবার ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ কর্তৃক বিশ্ব মা দিবস পালন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে মুহাম্মদ আলী মিঠুল
চন্দনাইশ – সাতকানিয়া (আংশিক) চিকিৎসক ঐক্য পরিষদ সম্মেলন – ২০২৩

চন্দনাইশ – সাতকানিয়া (আংশিক) চিকিৎসক ঐক্য পরিষদ সম্মেলন – ২০২৩

এস.এ.এম. মুনতাসীর, চট্টগ্রাম ব্যাূরো।
আজ দোহাজারী সাংগু কমিউনিটি সেন্টারে চন্দনাইশ – সাতকানিয়া (আংশিক) চিকিৎসক ঐক্য পরিষদ সম্মেলন – ২০২৩ সম্পন্ন হয়েছে। এতে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দোহাজারী পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব লোকমান হাকিম সংশ্লিষ্ট সবাইকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং গরীবের ডাক্তার হিসেবে পরিচিত পল্লী চিকিৎসকরা সবসময় সমাজের সেবা ও উপকার করেন। উনি ২০১০ সালের স্বাস্থ্যনীতি আইনকে সংশোধনের জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করেন এবং পাশাপাশি এই আইনের অপব্যবহার ও হয়রানিমূলক নির্যাতন যাতে কেউ না করে, সেই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি সবাইকে আশ্বাস করেন, সূখে ও দূ:খে সব সময় পল্লী চিকিৎসকদের পাশে আছেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চন্দনাইশ উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জাফর আলী হিরু, তিনি বলেন, পল্লী চিকিৎসকরা জাতির সেবা দিয়ে আসছেন আদিকাল থেকে, বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধ সময়কালে আহত যোদ্ধাদের তৎকালীন সময়ে পল্লী চিকিৎসকরা গ্রামগঞ্জে ও পাহাড়ে পর্বতে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তুলেছেন, এভাবে সারাদেশে তৃণমূল পল্লী চিকিৎসকরা সেবা দিয়ে মানুষের মন জয় করেছেন কারণ তৎকালীন সময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে এমবিবিএস ডাক্তার ছিলো না। ২০১০ এর স্বাস্থ্যনীতি আইন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি আরো বলেন, পল্লী চিকিৎসকরা করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবায় মাঠে ছিলেন। ঔষধপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে এমবিবিএস ডাক্তাররা যেভাবে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে একজন রোগীর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, সেই বিষয়গুলোও পল্লী ডাক্তারদের মাথায় রাখাতে হবে, বিশেষ করে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেদের মান উন্নয়নে আরো এগিয়ে আসতে হবে, পাশাপাশি সংগঠনে সবাইকে ঐক্য থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করে বলেন, সবাই ঐক্য বদ্ধ থাকলে আপনারা নিজেদের সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখতে পারবেন। আমরা বাঙালীরা ঐক্যবদ্ধ ছিলাম বলে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে পেরেছি। আপনারাও ঐক্য বদ্ধ হয়ে ন্যায্য দাবীগুলো নিয়ে নতুন সরকারের কাছে উপস্থাপন করলে আপনাদের বিষয়গুলো আগামীর নতুন সরকার, বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তিক দাবীগুলো মেনে নিবেন।আপনারা সুন্দরভাবে আপনাদের সেবা চালিয়ে যাবেন। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চন্দনাইশ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা: শেখ সাদী। তিনি বলেন, পল্লী চিকিৎসকদের সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করেন, আমরা বিশ্বাস নিয়ে কাজ করি, তাই আমাদের এই বিষয়ে আরো সচেতন ও দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করতে হবে। সরকার পল্লী চিকিৎসকদের মূল্যায়নের চেষ্টা করছে কিন্তু আমাদের নিজেদেরকে বিশ্বাস করতে হবে। পল্লী চিকিৎসকদের মাঝেও কিছু অদক্ষ লোক ঢুকে পড়েছে, যারা দীর্ঘ দিনের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে, সরকারও চেষ্টা করছে, পল্লী চিকিৎসকদের মূল ধারায় আনার জন্য।পল্লী চিকিৎসকদের আপডেট হওয়া দরকার, বিশ্বাসের অমর্যাদা যাতে না হয়, তার জন্য সরকারও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, এছাড়া আমরাই তো সরকারের অংশ । নব নির্বাচিত সভাপতি সুনীল কান্তি ভট্টাচার্য বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে এই পল্লী চিকিৎসকরা চিকিৎসা দিয়ে পাশে ছিলেন। এটা একটা মহান পেশা, ২০১০ সালের আইন অনুযায়ী আমরা ‘ডাক্তার’ লিখতে পারবো না কিন্তু চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের বাধা থাকার কথা নয়, আমাদের সেবা চালিয়ে যাবো এবং শীঘ্রই আমাদের নায্য দাবী আদায়ের জন্য যুক্তিক আন্দোলন ও সংগ্রাম চালিয়ে যাবো। শীঘ্রই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের বিষয়টি আন্তরিকভাবে দেখবেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, ডি আর এম এস কুতুবী, এম নোমান রেজভীর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, পল্লী চিকিৎসক আবু তাহের, সাধন রুদ্র,সিরাজুল ইসলাম, দেবাশীষ, আবদুর রহিম, রুপম বিশ্বাস, মো ইউচূপ, মো শাহেদ, টিকলু দে, গনেশ দে, আবদুল মালেক, বোরহান উদ্দিন, সন্তোষ দেব ও অজিত দেব প্রমুখ। অনুষ্ঠানে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন প্রবীন পল্লী চিকিৎসক অরুণ কান্তি দাস। সভায় বিভিন্ন বক্তরা পল্লী চিকিৎসকদের পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি দাবী জানান। অনুষ্ঠানে কক্সবাজার, সাতকানিয়া ও চন্দনাইশের পল্লী চিকিৎসক, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সরকারি কর্মকর্তা, ইলেকট্রনিকস ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত সম্মেলনে পল্লী চিকিৎসক বাবু সুনীল কান্তি ভট্টাচার্যকে সভাপতি ও এম নোমান রেজভীকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2021
ভাষা পরিবর্তন করুন »