৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । রাত ২:৫১ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
এনামুল,পঞ্চগড়,প্রতিনিধিঃ
পরিক্ষার ফি পরিশোধ না করায় শ্রেনীকক্ষ থেকে অষ্টম শ্রেনির এক ছাত্র কে বের করে দিয়েছে মাদ্রাসার এক শিক্ষক। ঘটানাটি ঘটেছে খারিজা ভাজনী দাখিল মাদ্রাসায়।
বুধবার (৭জুন) সকাল ১১ ঘটিকায় পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার টেপ্রীগঞ্জে এই ঘটনাটি
ঘটে সেই শিক্ষার্থীর নাম আল আমিন হোসেন তার সাথে কথা বলে জানা যায় পরিক্ষার ফি ৩০০ শত টাকার মধ্যে ২০০ শত টাকা শিক্ষকের হাতে দেওয়ার পর বাকি ১০০ শত টাকা তার বাবার সাথে কথা বলে দু এক দিনের ভেতের দিয়ে দিবে, এই কথা শোনার পর সহকারী শিক্ষক ইংরেজী মোঃ শহিদুল ইসলাম তাকে ধাক্কা দিয়ে শ্রেনী কক্ষ থেকে বের করে দেয়। আরও বেশ কিছু শিক্ষার্থী দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ কে বলেন আমরা মাদ্রাসায় এসে প্রক্ষলণ কক্ষ ব্যবহার করতে পারি না অন্য মানুষের বাসায় গিয়ে ব্যবহার করতে হয় এসময় তারা মাদ্রাসার নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা বলে , মুহুর্তেই পুরো এলাকায় ঘটনাটি ছড়িয়ে পরলে সেই মাদ্রাসায় এসে জরো হতে থাকে স্থানীয় লোকজন, এক পর্যায়ে মাদ্রাসার সেই শিক্ষকের শাস্তির দাবি করেতে থাকে ,ক্রমেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে।
পর্যায়ক্রমে স্থানীয় কিছু লোকজন দৈনিক সবুজ বাংলাদেশকে জানায় এই মাদ্রাসার কিছু জমি এবং পুকুর চুক্তিতে বর্গা দেওয়া হয় সেখান থেকে বছরে আনুমানিক জমি থেকে প্রায় ১ লক্ষ এবং পুকুর থেকে ৫০,০০০ হাজার টাকা পায় মাদ্রাসার কতৃপক্ষ।
অভিযুক্ত শিক্ষক শহিদুল ইসলামের বিষয় জানতে চাইলে মাদ্রাসার সুপার আব্বাস আলী শিক্ষার্থীর পক্ষ না নিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের সাফাই গান।
পরবর্তীতে মাদ্রাসার ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি বর্তমান টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম রহমান সরকার বলেন আমি ৩ মাস হলো দায়িত্ব গ্রহণ করেছি বিগত সময়ে কে কি করেছে আমি জানি না তবে যে ঘটনাটি ঘটেছে তার সুষ্ঠ তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে শিক্ষক শহিদুল ইসলামকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
Leave a Reply