পেট্রোবাংলা অবরুদ্ধ

স্টাফ রিপোর্টার:

মৌখিক পরীক্ষা ইচ্ছাকৃতভাবে স্থগিত করার অভিযোগে পেট্রোবাংলার সামনে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন চাকরি প্রত্যাশীরা। তারা রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় অবস্থিত পেট্রো বাংলার অফিসের প্রধান ফটকের সামনে বসে আন্দোলন করছেন। এতে করে পেট্রো বাংলার ভিতরে অবরুদ্ধ হয়ে আছেন সংস্থাটির শত শত কর্মকর্তা-কর্মীরা।

আজ রোববার বেলা ১১টা থেকে তারা এ কর্মসূচি পালন করছেন।

অবরোধ কর্মসূচি থেকে আন্দোলনকারীরা বলছেন, পেট্রোবাংলার অধীনস্থ কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের রাজস্বখাতে ১৭ ক্যাটাগরিতে কর্মচারী পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বারবার অজুহাত দেখিয়ে মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করা হচ্ছে। আমাদের দাবি দ্রুত যেন মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয় এবং ফলাফল প্রকাশ করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করা হয়। আমাদের এই এক দফা দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা আমাদের অবস্থান কর্মসূচি থেকে ফিরে যাব না। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাব।

সবা:স:জু-১৩৬/২৪

অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনার সংস্কার চান হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের শিক্ষার্থীরা

স্টাফ রিপোর্টার:

রাজধানীর শান্তিনগরে অবস্থিত হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ওয়াসিউল মাসুম ও প্রশাসনিক কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ মুক্তাদির কে কলেজ থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

তারা জানান, কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি, আওয়ামী লীগ নেতা মাইনুদ্দিন হাসান চৌধুরী ও স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য আফম বাহাউদ্দিন নাসিমের ঘনিষ্ঠ সহচর,স্বঘোষিত প্রশাসনিক কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ মুক্তাদির আওয়ামী প্রশাসনকে ব্যবহার করে কলেজে দুর্নীতি ও নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

মোহাম্মদ মুক্তাদির কলেজে কম্পিউটার শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হওয়ার পরে নানা রকম কৌশল অবলম্বন করে নিজেকে প্রশাসনিক কো-অর্ডিনেটর হিসেবে দাবি করে একছত্র আধিপত্য বিস্তার করে। আওয়ামী প্রশাসন কে ব্যাবহার করে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের জারিকৃত ২০২১ সালের জনবল কাঠামো এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি লঙ্ঘন করে, সিনিয়র শিক্ষকদের সম্পুর্ন অন্ধকারে রেখে কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা মাইনুদ্দিন হাসান চৌধুরীর ক্ষমতাবলে তার ঘনিষ্ঠ সহচর মুক্তাদিরের জোগসাজকের মাধ্যমে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে সিনিয়র দুইজন শিক্ষক কে বাদদিয়ে সিরিয়ালে থাকা তৃতীয় নাম্বরের ( মার্কেটিং) শিক্ষক ওয়াসিউল মাসুমকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করেন।

সম্প্রতি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করলে স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য বাহাউদ্দিন নাসিমের ঘনিষ্ঠ সহচর, অত্র কলেজের প্রশাসনিক কো-অর্ডিনেটর মুক্তাদির ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের ব্যবহার করে সাধারণ ছাত্র,ছাত্রী, কলেজের কর্মচারী, এবং শিক্ষক–শিক্ষিকা বৃন্দকে নানারকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। তারা যেনো আন্দোলনে সম্পৃক্ত হতে না পারে তার জন্য সে নানা রকম কৌশল অবলম্বন করে, এবং হুমকি প্রদান করে।

অভিযোগ আছে, মুক্তাদিরের বিরুদ্ধে কলেজের কোন অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদ করলে শিক্ষক, কর্মচারীদের, দলীয় প্রভাব খাটিয়ে মানসিক এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। কলেজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তফা ভূইয়াকে অফিস কক্ষে তার অনুসারী শিক্ষককে দিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে রক্তাক্ত করে। কলেজ কর্মচারীদের অভিযোগ থেকে জানা যায় বিভিন্ন দপ্তরের চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় মুক্তাদিরের যোগসাজকের মাধ্যমে নির্দিষ্ট পরীক্ষার্থীদের বিশেষ সুবিধা প্রদান করা হতো। এই বিষয়ে প্রতিবাদ করায় অত্র কলেজের কম্পিউটার অপারেটর মনিরুজ্জামানকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করলে (২৮,৪,২৪ ইং) রমনা থানায় সাধারণ ডায়েরি করে। সেখানেও সে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে এবং মনিরুজ্জামানকে নানা রকম ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে।

অত্র কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মচারী এবং সাধারণ ছাত্র ছাত্রীরা, অনতিবিলম্বে এ সমস্ত দলবাজ, দুর্নীতিবাজ শিক্ষকদের দ্রুত কলেজ থেকে অপসারণ করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম