শপথ নেওয়ার পর যা বললেন নতুন সিইসি

স্টাফ রিপোর্টার:

নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম মো. নাসির উদ্দীন বলেছেন, আমাদের নিয়ত সহি। জাতিকে আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার দিতে চাই। আর এ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার তাই করব।

রোববার (২৪ নভেম্বর) শপথ গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় সিইসি বলেন, যেকোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার সক্ষমতা আমাদের আছে। এর আগে তথ্য ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব থাকাকালে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এসেছি।

এর আগে, আজ দুপুরে নবগঠিত নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) বাকি চার নির্বাচন কমিশনার (ইসি) শপথ নেন। সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাদের শপথবাক্য পাঠ করান।

প্রসঙ্গত, প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) নিয়োগ পান সাবেক সচিব এ এম এম মো. নাসির উদ্দীন। তার সঙ্গে চার নির্বাচন কমিশনারের নামও ঘোষণা করা হয়।

তারা হলেন—সাবেক অতিরিক্ত সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমান মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব বেগম তাহমিদা আহমেদ ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাদের নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

নিয়োগ পাওয়ার পর সেদিন তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নাসির উদ্দীন বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার, তা তা করব, ইনশাআল্লাহ। যে দায়িত্ব এসেছে, তা আমাদের সুষ্ঠুভাবে পালন করতে হবে সবার সহযোগিতা নিয়ে।

প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার। এরপর আত্মগোপনে চলে যায় দলটির প্রভাবশালী এমপি-মন্ত্রী এবং দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। পরে ৫ সেপ্টেম্বর একযোগে পদত্যাগ করেন কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা।

এমন পরিস্থিতির মধ্যে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেন রাষ্ট্রপতি। নতুন এই কমিশনের ওপর আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব থাকবে।

সবা:স:জু-১৮১/২৪

শীতের সাথে ঘোর বিরোধ অতিথি পাখির 

জিহাদ হোসেন রাহাত

শীতের আগমন বার্তা পাওয়ার সাথে সাথে কনকনে ঠান্ডার কবল থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে যে পাখিরা নিজ দেশ হতে তুলনামূলক উষ্ণ অঞ্চল বা দেশে আশ্রয় নেয়, মূলত ঐ সকল পাখিকে বলা হয় অতিথি পাখি, যাদের আরেক নাম পরিযায়ী পাখি।

প্রতিবছর শীতের সময়টায় সবুজে ঘেরা আমাদের এই বাংলাদেশেও আগমন ঘটে অতিথি পাখির। এরা মূলত হিমালয় অঞ্চলের পাদদেশ আর শীতপ্রধান রাশিয়ার বিভিন্ন স্থান থেকে উষ্ণতার খোঁজে আসে এই দেশে।

 

সবুজে ঘেরা আমাদের এই পৃথিবীতে প্রায় পাঁচ লাখ প্রজাতির পাখি আছে। এ সংখ্যার মধ্যে বাংলাদেশে বাসা বেঁধেছে প্রায় ৭৪৪ প্রজাতির পাখি। আর এই মোট প্রজাতির মধ্যে প্রায় ৩০১ টি প্রজাতির পাখি এদেশের স্থানীয় বাসিন্দা। এদেরকে মূলত বলা হয় আবাসিক পাখি। আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে নিয়মিতভাবে আগমন ঘটে ১৭৬টি প্রজাতির পাখির।

 

অতিথি পাখিরা যেমন সুদর্শন ঠিক তেমনই সুশৃঙ্খল, গায়ের নজরকাড়া বাহারি রং এর কারনে এদের প্রতি মানুষের আকর্ষণও প্রবল। দেখলেই যেন জুড়িয়ে যায় হৃদয় ।

 

শীতের আগমন ঘটার সাথে সাথে ওদেরও আগমন ঘটে এই বাংলাদেশে। তারপর মার্চের শুরু থেকে এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত ওদের দেশে বরফ গলতে শুরু করলে ফিরে যেতে শুরু করে আপন ঠিকানায়।

 

১৮০০ সাল পর্যন্ত শীতের সময়টায় পাখিদের দেখা যেত না নিজ দেশে। তখন মানুষ ভাবতো শীতের সময়টায় পাখিরা পানির নিচে ডুব দিয়ে অথবা সরীসৃপ প্রাণীর ন্যায় গর্তে বসবাস করে। তবে একটা সময় এমন উদ্ভট ধারণা সম্পুর্ন ভিত্তিহীন প্রমাণ করে পৃথিবী খ্যাত বিজ্ঞানীরা। দেখা যায়, শীতকাল এলেই দেশের অভ্যন্তরে বসবাস করা পাখিরা করে আত্মগোপন।

 

 

সবে শুরু হয়েছে শীতকাল আর একমাস না পেরোতেই উত্তর মেরু আর হিমালয় পর্বত পাড়ি দিয়ে আগমন শুরু হবে অতিথি পাখিদের।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান