
স্পোর্টস ডেস্ক:
সাবেক ক্রিকেটারদের টুর্নামেন্ট ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লিজেন্ডসে (ডব্লিউসিএল) ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ রোববার (২০ জুলাই) এজবাস্টোনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভারতের বেশ কয়েকজন তারকা ক্রিকেটার ম্যাচটি খেলতে আপত্তি জানালে আয়োজকরা ম্যাচটা বাতিল করে। গত এপ্রিলে পাহালগামে সন্ত্রাসবাদী হামলার দায় শুরু থেকেই পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে আসছে ভারত সরকার। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ছোটখাট যুদ্ধও হয়েছে। মূলত সেই ঘটনার জের ধরেই ম্যাচটি খেলতে আপত্তি জানিয়েছিল ভারতীয়রা।
ডব্লিউসিএলে পাক-ভারত ম্যাচ বাতিল হয়ে যাওয়ায় ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে পাকিস্তানি খেলোয়াড়রা। সাবেক অধিনায়ক সালমান বাট তো ভারতীয়দের বিশ্বকাপ বা অলিম্পিকের মঞ্চেও এই ‘জাতীয়তাবাদ’ ধরে রেখে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ বর্জন করে দেখানোর চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন। খেলার মাঠে রাজনীতি এনে আনায় ভারতীয়দের সমালোচনা করেছেন শহীদ আফ্রিদিও।
ডব্লিউসিএলে ম্যাচ বাতিলের পর বিতর্কের ছায়া ভারতের জাতীয় দলের ওপরও পড়ছে। ম্যানচেস্টারে অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফির চতুর্থ টেস্ট শুরুর আগে ডব্লিউসিএলে পাক-ভারত ম্যাচ বাতিল নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে মোহাম্মদ সিরাজকে। সিরাজ হতবাক হয়ে যান যখন তার কাছে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ বাতিল নিয়ে মতামত জানতে চাওয়া হয়। সোমবার (২১ জুলাই) ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চতুর্থ টেস্ট ম্যাচের আগে প্রাক-ম্যাচ সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েছিলেন সিরাজ। সেখানে এক প্রতিবেদক হঠাৎ করেই ওই ডব্লিউসিএল ম্যাচ বাতিল প্রসঙ্গে এই পেসারকে প্রশ্ন করে বসেন।
সিরাজ স্পষ্টতই বিরক্ত হয়ে যান প্রশ্নটি শুনে। তিনি বলেন, আমি জানি না। এরপর সাংবাদিক তাকে আরেকটি প্রশ্নে আরও অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলেন। ভারত কি ভবিষ্যতে আইসিসি টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলবে? এর উত্তরে সিরাজ আবারও বলেন, ‘আমি জানি না কী বলব। এরপর সিরাজ লর্ডসে তৃতীয় টেস্টের ট্র্যাজিক সমাপ্তি নিয়ে কথা বলেন। লর্ডসে সিরাজের দুর্ভাগ্যজনক আউট ছিল ভারতের ইনিংসের অবসানের কারণ। যেখানে শোয়েব বশিরের একটি বল পিচে পড়ার পর ঘুরে গিয়ে স্টাম্পে লাগলে সিরাজ বোল্ড হয়ে যান। রাবীন্দ্র জাদেজা তখন অপর প্রান্তে অপরাজিত থাকলেও ভারতের লড়াই থেমে যায় জয় থেকে ২২ রান দূরত্বে।
ম্যাচটির বেশিরভাগ সময়ই ভারত আধিপত্য বিস্তার করেছিল, বিশেষ করে জাসপ্রিত বুমরাহের অসাধারণ বোলিং পারফরম্যান্সে। বুমরাহ ম্যাচে সাতটি উইকেট নেন, যার মধ্যে প্রথম ইনিংসেই নেন ৫ উইকেট। নিজের সেই আউট নিয়ে সিরাজ বলেন বলে ভালো টাইমিং হচ্ছিল, তাই যখন আউট হলাম, খুবই কষ্ট পেয়েছিলাম। আমি এবং জাদেজা যেভাবে পার্টনারশিপ করছিলাম, মনে হচ্ছিল আমি আউট হব না। আত্মবিশ্বাস ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ব্যাপারটা সে রকম হয়নি। যদি আমরা সেই ম্যাচটা জিততাম ফলটা একেবারেই আলাদা হতে পারত।