যে সময়ে ইন্টারনেট ৩ ঘণ্টা থাকবে না

স্টাফ রিপোর্টার: 

কক্সবাজারে অবস্থিত দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের (এসএমডব্লিউ-৪) রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য রাতে ৩ ঘণ্টা ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ পরিষেবা বন্ধ থাকবে।

বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়, কক্সবাজারে স্থাপিত দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেমের (এসএমডব্লিউ-৪) চেন্নাই প্রান্তে চেন্নাই ল্যান্ডিং স্টেশনের নিকট এবং সিঙ্গাপুর প্রান্তে টুয়াস ল্যান্ডিং স্টেশনের নিকট কনসোর্টিয়াম কর্তৃক ক্যাবলের ত্রুটি নিরসনের লক্ষ্যে রোববার দিনগত রাত ৩টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

এ অবস্থায় এই সময়ে এসএমডব্লিউ-৪ এর মাধ্যমে কক্সবাজার থেকে চেন্নাই রুটে এবং সিঙ্গাপুর রুটে যুক্ত সার্কিটগুলোর মাধ্যমে সেবা সাময়িকভাবে ব্যাহত হবে।

গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএসসিপিএলসি।

 

সবা:স:জু-২৩১/২৪

 

টিকটক করতে গিয়ে ছয় মাসে দেশে ১০ তরুণের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার॥

চলতি বছরের ছয় মাসে টিকটক করতে গিয়ে ১০ তরুণ-তরুণী প্রাণ হারিয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। পাশাপাশি টিকটকের কুখ্যাত ‘ব্ল্যাক আউট চ্যালেঞ্জ’-এ অংশ নিতে গিয়ে দেশের কেউ মারা গেছে কিনা, তা তদন্তের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। সংগঠনটি বলছে, গত কয়েক বছর ধরে ছোট পরিসরে ভিডিও তৈরির চীনা প্ল্যাটফর্ম টিকটকের অপব্যবহার এতটা বেড়েছে যে, তা তরুণ-তরুণীদের জন্য মৃত্যুফাঁদ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

সংবাদমাধ্যম দ্য ভার্জ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ব্ল্যাক আউট চ্যালেঞ্জে টিকটক ব্যবহারকারীদের নিজের বেল্ট, টাই, জুতার ফিতা বা অনুরূপ কিছু দিয়ে শ্বাসরোধ করতে উৎসাহিত করা হয়। এই চ্যালেঞ্জ জিততে বেশিক্ষণ শ্বাসরোধ করে থাকতে গিয়ে অনেকেই মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছে। অভিভাবকরা দাবি করেছেন, টিকটকের ভয়ংকর ‘ব্ল্যাক আউট চ্যালেঞ্জ’ গ্রহণ করে তাঁদের সন্তানরা শ্বাসরোধে মারা গেছে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, অস্ট্রিয়ায় ব্ল্যাক আউট চ্যালেঞ্জে অংশ নিয়ে কিশোর-কিশোরীদের মৃত্যুর অভিযোগ এনে টিকটকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে।

মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশে সাধারণত টিকটকে ভাইরাল হতে ঝুঁকিপূর্ণ ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে তরুণ-তরুণীরা প্রাণ হারাচ্ছে। নারী ধর্ষণ, পাচারসহ টিকটককেন্দ্রিক অপরাধ প্রবণতাও বেড়েছে। তবে ‘ব্ল্যাক আউট চ্যালেঞ্জ’-এ কেউ মারা গেছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখতে হবে। তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে টিকটককে জবাবদিহির আওতায় আনার দাবি জানিয়ে আসছি। এ বিষয়ে এরই মধ্যে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। তবে প্ল্যাটফর্মটিকে জবাবদিহি নিশ্চিতে সরকারের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না।

এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগোযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, টিকটকের সঙ্গে আমার এটা নিয়ে কথা হয়েছে। তারা জানিয়েছে, ব্ল্যাক আউট চ্যালেঞ্জ তাদের কোনো চ্যালেঞ্জ নয়। এটা ব্যবহারকারীদের কেউ কেউ নিজেরাই তৈরি করে থাকতে পারে। তাদের প্ল্যাটফর্মে এমন কিছু থাকলে আমি সেটি বন্ধ করতে বলেছি। টিকটক কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেছে, টিকটকে কেউ এটা আর করতে পারবে না। টিকটককে এখন আমরা নিয়মিত মনিটরিংয়ের মধ্যে রেখেছি। তারা এখন প্রতিদিনই আমাদের কাছে প্রতিবেদন দিচ্ছে। আমরা আশা করছি, টিকটক তরুণদের সুরক্ষার পাশাপাশি বিধিবিধান মেনেই কাজ করবে।

 

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম